মান্দা ( নওগাঁ) প্রতিনিধি : মান্দায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আটককে কেন্দ্র করে দুই শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর জেরে টানা দুইদিন ধরে প্রসাদপুর-জোতবাজার সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই সড়কে চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুসুম্বা ইউনিয়ন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা-ভ্যান সমিতি এবং জোতবাজার অটোরিকশা-ভ্যান সমিতির সদস্যরা সিরিয়াল পদ্ধতিতে যাত্রী পরিবহণ করে আসছিল। গত রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে জোতবাজার সমিতির সদস্য উজ্জল কুমার চৌধুরী সিরিয়াল ভেঙে যাত্রী উঠালে বিরোধের সূত্রপাত হয়।
পরদিন সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুসুম্বা ইউনিয়ন সমিতির সদস্য মনসুর রহমান মনো যাত্রী নিয়ে জোতবাজার স্ট্যান্ডে গেলে সেখানে তাকে আটক করে মারধর করা হয়। পরে তার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ কুসুম্বা সমিতির আরও চারটি গাড়ি আটক করে জোতবাজার সমিতির সদস্যরা।
এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষের মধ্যে। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ওই সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল। এতে করে জোতবাজার, ফতেপুর, চকশৈল্যা, দামনাসসহ পূর্বমান্দার যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।
ঘটনার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে প্রসাদপুর বাজার চৌরাস্তার মোড়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে কুসুম্বা ইউনিয়ন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা-ভ্যান সমিতি। মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি ইদ্রিস আলী, সাধারণ সম্পাদক অহিদুল ইসলাম, সদস্য আমজাদ হোসেন, মনসুর রহমান, পরিমল চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী বলেন, ‘জোতবাজার সমিতির সদস্যরা আমাদের পাঁচটি গাড়ি অন্যায়ভাবে আটক করে রেখেছে। আমাদের চালকদের মারধরও করা হয়েছে। দ্রুত দ্বন্দ্ব মীমাংসা না হলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে।’
এ বিষয়ে জোতবাজার সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ বুলেট বলেন, ‘কুসুম্বা সমিতির তিনটি গাড়ি আমাদের হেফাজতে আছে। যাত্রী ওঠানো নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই সমস্যা হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হলে গাড়িগুলো ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।