অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আল্টিমেটামের জবাবে তাকে পাল্টা সতর্কবার্তা দিয়েছে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আজ রোববার মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীনের বৈধ অধিকার ও জাতীয় স্বার্থের ওপর আঘাত হেলে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে বেইজিং।
“বাণিজ্য যুদ্ধ ইস্যুতে চীনের অবস্থান অপরিবর্তনীয়; আর তা হলো— আমরা এই যুদ্ধ চাই না, তবে আমরা এতে ভয়ও পাই না। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার জন্য উচ্চমাত্রার শুল্কের হুমকি কোনো কার্যকর পথ নয়। যদি যুক্তরাষ্ট্র ভুল পথে যায়, তাহলে নিজের বৈধ অধিকার ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য চীন নিশ্চিতভাবেই কঠিন পদক্ষেপ নেবে।”
সম্প্রতি যুদ্ধাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামে ব্যবহারের উযোগী খনিজ পদার্থগুলোর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করতে বিধিনিষেধ জারি করেছে চীন। এতে বেইজিংয়ের ওপর ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
চীনের এই সিদ্ধান্তকে শত্রুতাপূর্ণ উল্লেখ করে শুক্রবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, “বেইজিং যদি এই অপ্রত্যাশিত অবস্থান থেকে সরে না আসে, যদি রপ্তানিনীতি শিথিল না করে— তাহলে আগামী ১ নভেম্বর থেকে চীনের ওপর ১০০ শতাংশ অতিরিক্ত রপ্তানি শুল্ক চাপানো হবে। অর্থাৎ, বর্তমানে দেশটির ওপর যে শুল্ক বিদ্যমান, সেটির ওপর আরও ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপবে।”
ট্রাম্প এই হুমকি দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পর রোববার এক বিবৃতিতে তার জবাব দিলো চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
গত আগস্ট মাসে চীনের সঙ্গে ‘শুল্কযুদ্ধ’ শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের। ট্রাম্প চীনের ওপর ধার্যকৃত রপ্তানি শুল্কের পরিমাণ ৩০ শতাংশ থেকে ১৪৫ শতাংশে উন্নীত করেন ট্রাম্প। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর র্নিধারিত শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ১২৫ শতাংশ বর্ধিত করে। পরে ওই মাসেই বেইজিং-ওয়াশিংটন এবং বর্ধিত শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়।
নভেম্বর মাসে সেই ৯০ দিনের মেয়াদ শেষ হবে। ট্রাম্প যদি সত্যিই তার হুমকিতে অনড় থাকেন, তাহলে নভেম্বর থেকে চীনা পণ্যের ওপর ধার্য মার্কিন শুল্ক পৌঁছা্বে ২৪৫ শতাংশে।
সূত্র : আরটি