অনলাইন ডেস্ক : ভোটের ফলাফল শিট এবং কুসুম্বা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তালা প্রতীকের প্রার্থী রবিউল ইসলাম রানার ও ভোটের ফলাফল শিট।ভোটের ফলাফল শিট এবং কুসুম্বা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তালা প্রতীকের প্রার্থী রবিউল ইসলাম রানার ও ভোটের ফলাফল শিট।
গত সোমবার সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বায়। এ নির্বাচনে ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তালা প্রতীকের ইউপি সদস্য প্রার্থী রবিউল ইসলাম রানা একটি ভোটও পাননি। সে অর্থে ভোট গণনায় তাঁর নিজের ভোটটিও উধাও। উদ্ভূত এ পরিস্থিতিতে তিনি নিজের ভোটটি খুঁজে পেতে নির্বাচন অফিসে ঘুরছেন এবং পুনরায় ভোট গণনার দাবি তুলেছেন।
গত মেয়াদে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন প্রার্থী রবিউল ইসলাম রানা।
জানা গেছে, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে তালা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কুসুম্বা ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রানা। তালা মার্কা প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকেই বিজয়ী হওয়ার লক্ষ্যে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে তিনিও প্রচার-প্রচারণা চালান। পোস্টার লাগানো হয় ওয়ার্ডের সর্বত্র। বিতরণ করা হয় লিফলেট। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটও প্রার্থনা করেন তিনি। ভোটের দিন কেন্দ্রে নিজের তালা প্রতীকের এজেন্টও ছিল। অথচ সোমবার দিন শেষে ভোট গণনায় দেখা যায়, তিনি একটি ভোটও পাননি। ফলাফল শিটে দেখা যায়, রবিউল ইসলাম রানার তালা প্রতীকে একটি ভোটও পড়েনি। এদিকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য প্রার্থী, ভূপেন চন্দ্র মণ্ডল টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৮৯৩ ভোট, আজিজুল হক মোরগ প্রতীকে পেয়েছেন ৬৮২ ভোট এবং ময়নুল ইসলাম আপেল প্রতীকে পেয়েছেন ৭৩৫ ভোট।
রবিউল ইসলাম রানা বলেন, ‘আমি, আমার স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ আমার আত্মীয়স্বজন আর শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভোট কোথায় গেল? আমার কর্মী-সমর্থক ও এজেন্টদের ভোট কোথায় গেল? তাঁরা কেউই কি আমাকে ভোট দেননি? ভালো কথা! তাহলে আমার নিজের ভোটটি গেল কোথায়?’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসারই বলতে পারবেন। তবে প্রার্থী চাইলে এ ব্যাপারে আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন।’