নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ মঙ্গলবার। রাত ৮:৩৫। ১৯ আগস্ট, ২০২৫।

ঋণের টাকার জন্য মুখে বিষ ঢেলে রিকশা চালককে হত্যা, সুদের কারবারি গ্রেফতার

আগস্ট ১৯, ২০২৫ ৪:১৮
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে ঋণের টাকার জন্য এবার ফজলুর রহমান (৫৫) নামে এক রিকশাচালককে মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গত শুক্রবার রাতে তিনি মারা যান।

তবে এক ভিডিওতে রিকশাচালক ফজলুর অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম বলে গেছেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আনজুয়ারা বিবির দায়ের করা মামলায় ধুলু মিয়া (৪৪) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত ফজলুর রহমান জেলার মোহনপুর উপজেলার ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের বেলনা গ্রামের বাসিন্দা। আর এ ঘটনায় গ্রেফতার ধুলু মিয়া কেশরহাট পৌরসভার বাসিন্দা।

মামলার এজাহারে আনজুয়ারা উল্লেখ করেন, তার স্বামী ফজলুর শহরে রিকশা চালান। তিনি সেখানেই থাকতেন। মাঝে মধ্যে বেলনা গ্রামে আসতেন। রাজশাহী শহর থেকে গত ১৪ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে কেশরহাটে যান। সেখান থেকে গ্রামের বাড়ি বেলনার উদ্দেশে রওনা দেন। পরে রাত ১১টার দিকে তাদের বাড়ি সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানের সামনে ফজলুরকে হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে যায়।

আরও পড়ুনঃ  আজ শ্রী কৃষ্ণের জন্মতিথি ও শুভ জন্মাষ্টমী

একপর্যায়ে প্রতিবেশীরা সেখানে জড়ো হয়ে দেখতে পান, ফজলুরের মুখ থেকে অনবরত লালা পড়ছে এবং মুখ দিয়ে বিষের গন্ধ বের হচ্ছে। তখন তাকে মোহনপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় ফজলুর তার বড় ছেলে শাহ আলমকে (২৫) জানান, ধুলুসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৫ থেকে ৬ জন মিলে হাত-পা বেঁধে তাকে বিষ খাইয়েছেন। পরে শুক্রবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফজলুরের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুনঃ  বিশ্ববাজারে যৌথভাবে হালাল পণ্য উৎপাদন করতে পারে মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ: ড. ইউনূস

ফজলুরের চাচাতো ভাই এনামুল হক অভিযোগ করেন, ধুলু সুদের কারবার করেন। গ্রামের আরও লোকজনকে টাকা ধার দিয়েছেন। ২০২২ সালে ধুলুর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ধার নেন ফজলুর। সেই টাকার সুদ বাবদ ৪৩ হাজার টাকা পরিশোধ করেন তিনি। কিন্তু আরও ৩০ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন ধুলু। এ টাকা তিনি দিতে পারেননি। এ নিয়ে সালিশও হয়েছে। সালিশে ১৫ হাজার টাকায় মীমাংসা করা হয়েছিল। কিন্তু ধুলু মানেননি। এ নিয়ে তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  জেলেনস্কি চাইলে ‘প্রায় সঙ্গে সঙ্গে’ এই যুদ্ধ শেষ করতে পারেন : ট্রাম্প

ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কাওসার সরদার জানান, ধুলুর কাছে আলু চাষের জন্য কিছু টাকা ঋণ নিয়েছিলেন ফজলুর। পরে বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসী বসেছিল। সেখানে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। শুনেছি, মারা যাওয়ার আগে একটি ভিডিওতে ফজলুর একজনের নাম বলেছেন। তিনি ঋণে জর্জরিত ছিলেন। অনেক এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। এ কারণে বাড়িতেই থাকতেন না। শহরে গিয়ে রিকশা চালাতেন।’

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহনপুর থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, ‘মারা যাওয়ার আগে ফজলুর রহমান অভিযুক্ত একজনের নাম ভিডিওতে বলে গেছেন। তাকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।’

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।