নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ মঙ্গলবার। দুপুর ১:৫১। ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫।

এক ম্যাচ হাতে রেখেই বাংলাদেশের সিরিজ জয়

সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫ ৩:৫৩
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশের দাপুটে পারফরম্যান্স। তাতে সিলেটে আজ জয় ৯ উইকেটে। যে জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখে নিশ্চিত করল বাংলাদেশ।

প্রথম ম্যাচে ১৩৭ রান তাড়া করে ৩৯ বল হাতে রেখে জিতেছিল বাংলাদেশ। লক্ষ্য অপেক্ষাকৃত ছোট হলেও বাংলাদেশ জিতেছে ৪১ বল হাতে রেখে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ওভারপিছু রান তুলেছিল ১০.২২ রেটে। কিন্তু লক্ষ্য তাড়ায় গতকাল রান রেট ছিল বেশ কম—৭.৮৯।

আগের ম্যাচে বাংলাদেশের চার ব্যাটারের তিনজনেরই ব্যাটিং স্ট্রাইক রেট ছিল ১৬৫-এরও বেশি। কিন্তু আজ স্বাগতিক কোনো ব্যাটারই ব্যাটিং স্ট্রাইক রেটকে ১৪০-এর ঘরে নিতে পারেননি।

আরও পড়ুনঃ  ওয়াইড বলে অদ্ভুত আউট হলেন ব্যাটার

মামুলি লক্ষ্য তাড়ায় দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমান ও তানজিদ হাসান তামিম ৪০ রান যোগ করেছিলেন। ব্যক্তিগত ২৩ রান করে ইমন ডাচদের শিকার হলে ভাঙে এ জুটি। এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক লিটন দাস। দেখেশুনে খেলে দুজনেই খেলা শেষ করে এসেছেন। ৪৬ বলে ৬৪ রান করে অবিচ্ছিন্ন থাকেন তাঁরা। ৪০ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫৪ করেন তানজিদ। ৪টি চার ও ২টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংসটির স্ট্রাইক রেট ১৩৫। আর ১৮ বলে ১৮ করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক লিটন।

এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে ১০৩ রান তোলে নেদারল্যান্ডস। বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে যা ডাচদের সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। আগের সর্বনিম্ন ছিল ১৩১ রান। ২০১২ সালে দ্য হেগে এ রান তুলেছিল ডাচরা।

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহীতে বিভিন্ন অপরাধে গ্রেপ্তার ১০

ইনিংসের শুরু থেকে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে সফরকারী নেদারল্যান্ডস দল। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বল হাতে ঝড় তুলেছিলেন তাসকিন আহমেদ, স্পিনে দুর্বোধ্য হয়ে উঠেছিলেন সাইফ হাসান। বল হাতে এ দিনও আঁটসাঁট বোলিং করেছেন তাসকিন আহমেদ (২/২২), মোস্তাফিজুর রহমান (২/১৮)। এ দুই পেসারের সঙ্গে নাসুম আহমেদও জ্বলে উঠে ২১ রানে ৩ উইকেট তুলে নিলে ১৭.৩ ওভারে ১০৩ রানে গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস।

আরও পড়ুনঃ  আবারও যুদ্ধের সতর্কবার্তা ইরানের, ঘরে ঘরে প্রস্তুতির আহ্বান

দলীয় ১৪ রানে জোড়া উইকেট হারিয়ে ডাচদের ব্যাটিং বিপর্যয়ের শুরু। একপর্যায়ে ৬৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। তখন অবশ্য মনে হয়েছিল, এক শর নিচেই হয়তো অলআউট হয়ে যাবে নেদারল্যান্ডস। কিন্তু সেটা হয়নি ৯ নম্বরে নামা আরিয়ান দত্তের কারণে। ৩টি চার ও ১টি ছয়ে ২৪ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন এ টেল এন্ডার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান আসে ওপেনার বিক্রমজিতের ব্যাটে। এ দুজনের বাইরে দুই অঙ্কের রান করেছেন আরও একজন—শারিজ আহমেদ (১২)। শেষ জুটিতে ১৮ বলে ২২ রান যোগ করেন দত্ত ও ড্যানিয়েল ডোরাম।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।