সময়ের কথা ডেস্ক : পাকিস্তানের কট্টরপন্থী ইসলামীগোষ্ঠী টিটিপির সঙ্গে এক মাসের অস্ত্রবিরতিতে চুক্তি হয়েছে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন সরকারের। যদি দুই পক্ষই রাজি থাকে সেক্ষেত্রে এই বিরতির মেয়াদ আরও বাড়তে পারে।
পাকিস্তান সরকারের একজন মুখপাত্র সোমবার রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
টিটিপি বা তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান নিজেদেরকে আফগানিস্তানের তালেবানগোষ্ঠীর পাকিস্তান শাখা বলে দাবি করে। আফগানিস্তানের তালেবানগোষ্ঠীর মতোই পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক সরকারকে উচ্ছেদ করে নিজেদের সরকার গঠন করতে চায় টিটিপি। পাকিস্তানজুড়ে শরিয়া আইন চালুর দাবিতে গত বেশ কয়েক বছর ধরেই তৎপরতা চালাচ্ছে তেহরিক ই তালেবান।
আগে কয়েকবার টিটিপি ও পাকিস্তানের সরকারের মধ্যে সমঝোতায় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে সেসব উদ্যোগ।
বর্তমান শান্তি চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত উভয়পক্ষের অস্ত্রবিরতি চলবে।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরি বলেন, ‘নিষিদ্ধ গোষ্ঠী তেহরিক ই তালেবান পাকিস্তানের সঙ্গে জন্য সম্পূর্ণ অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে পাকিস্তানের সরকার। এই অস্ত্রবিরতির মেয়াদ আরও বাড়তে পারে।’
নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাইকে হত্যাচেষ্টার মাধ্যমে পশ্চিমা বিশ্বে পরিচিতি পায় টিটিপি। রয়টার্সের তথ্যমতে, টিটিপির একের পর এক আত্মঘাতী হামলা ও বোমা হামলায় এরই মধ্যে পাকিস্তানের কয়েক হাজার সামরিক-বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
২০১৪ সালে গোষ্ঠীটি আফগান সীমান্তের কাছে পেশোয়ারে সামরিক বাহিনী পরিচালিত একটি বিদ্যালয়ে হামলা চালিয়ে ১৩২ শিশুসহ ১৪৯ জনকে হত্যা করে।
সর্বশেষ গত শনিবারও তারা দেশটির উত্তর ওয়াজিরিস্তানে একটি বোমা হামলার দায় স্বীকার করে। ওই হামলায় চার সেনা নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। টিটিপি বলছে, দুই দিন আগে তাদের চার যোদ্ধাকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালিয়েছে তারা।
এদিকে, পুরোপুরি অস্ত্রবিরতির জন্য পাকিস্তান সরকারের হাতে থাকা কয়েকজন সদস্যের মুক্তি দাবি করেছে টিটিপি। টিটিপির এক মুখপাত্র রয়টার্সকে এ তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, যদি আলোচনার মাধ্যমে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়, সেক্ষেত্রে বন্দি সদস্যদের মুক্তি দেওয়া হলে আলোচনায় বসতে তৈরি আছে টিটিপি।
পাকিস্তান সরকার ও আফগানিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত গনি সরকার একে অপরকে তালেবান গোষ্ঠীকে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য দায়ী করে এসেছে।
1