নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা বৃহস্পতিবার। ভোর ৫:৩৪। ২২ মে, ২০২৫।

কানের লাল গালিচায় শুভ্র সিমি, সবুজ রেশমি শাড়িতে শর্মিলা

মে ২০, ২০২৫ ৮:৫০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : প্রথম বার কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হচ্ছে সত্যজিৎ রায়ের ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’। মুক্তির ৫৫ বছর পর বড় পর্দায়, সময়ের গায়ে লাগা ধুলো ঝেড়ে নতুন আলোয় ঝকঝকে হয়ে উঠেছে সে ছবি। সোমবার সন্ধ্যায় ফ্রান্সের কান শহরে আয়োজিত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জমজমাট প্রাঙ্গণে হেঁটে এলেন ছবির দুই মুখ্য চরিত্রের অভিনেত্রী— শর্মিলা ঠাকুর ও সিমি গারেওয়াল।

লাল গালিচা ঝলমল করে উঠল শর্মিলার সোনালি পাড় সবুজ রেশমি শাড়ির ছটায়, সাদা পোশাকে স্নিগ্ধতা ছড়ালেন সত্যজিতের ‘দুলি’ সিমি। সঙ্গী হলেন সত্যজিৎ অনুরাগী আমেরিকান পরিচালক ওয়েস অ্যান্ডারসন। আন্তর্জাতিক দর্শকের সামনে তৈরি হল এক নতুন ইতিহাস।

আরও পড়ুনঃ  পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত আইজিপি (গ্রেড-২) হলেন ১২ পুলিশ কর্মকর্তা

পর্দায়ও সাদা শাড়ি আর রূপদস্তার গয়নায় সেজেছিলেন সাঁওতালি মেয়ে। লাল কার্পেটে তার পাশেই ছিলেন আর এক নায়িকা ‘অপর্ণা’, শর্মিলা ঠাকুর। এ দিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে ছবিটি উপস্থাপন করবেন ওয়েস অ্যান্ডারসন। সারা বিশ্ব তাকে চেনে সত্যজিৎ অনুরাগী হিসাবে। তার বিখ্যাত ছবি ‘দি দার্জিলিং লিমিটেড’-এ বার বার ধরা পড়েছে সেই অনুপ্রেরণা।

দৃশ্য নির্মাণ থেকে আবহ অ্যান্ডারসন তুলে এনেছেন ‘চারুলতা’, ‘তিনকন্যা’ বা ‘জয়বাবা ফেলুনাথ’কে। ঘটনাচক্রে ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’র সঙ্গেও এক আশ্চর্য যোগ রয়েছে অ্যান্ডারসনের। সত্যজিৎ যে বছর সদলবলে পালামৌয়ের জঙ্গলে শুটিং করছেন, সেই ১৯৬৯ সালেই জন্ম আমেরিকান পরিচালকের।

আরও পড়ুনঃ  ব্রিজের ওপর ১৩ বগি রেখেই চলে গেল ট্রেন

১৯৭০ সালে সুনীল গাঙ্গুলীল উপন্যাস অবলম্বনে ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ মুক্তি পেয়েছিল। যদিও মূল কাহিনিকে কিছুটা নিজের মতো করে তুলেছিলেন সত্যজিৎ। নগরকেন্দ্রিক চার যুবকের মনের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা সাদা আর কালো চিন্তাপ্রবাহ ১১৫ মিনিট নড়াচড়া করে বেড়িয়েছিল পালামৌয়ের জঙ্গলে। সবুজ নয়, সে জঙ্গল তখন প্রবল গ্রীষ্মে জ্বলন্ত। তবু, স্নিগ্ধ।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, রবি ঘোষ আর শমিত ভঞ্জের বিপরীতে সেই স্নিগ্ধতারই তিনটি রূপ যেন তুলে ধরেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর, কাবেরী বসু এবং সিমি গারেওয়াল। এই ছবি ২০তম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা চলচ্চিত্রের জন্য গোল্ডেন বিয়ারের পুরস্কারে মনোনীত হয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ  রাতের মধ্যে ১৯ অঞ্চলে ঝড় হতে পারে

এ ছবি তৈরি হয়েছিল প্রিয়া ফিল্মসের অসীম দত্ত, নেপাল দত্তের প্রযোজনায়। তাই এ ছবির প্রিন্ট সংরক্ষিত ছিল প্রিয়ার পক্ষে পূর্ণিমা দত্তের কাছেই। ওয়েস অ্যান্ডারসন এবং সন্দীপ রায়ের উদ্যোগে ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশন, জানুস ফিল্মস, দ্য ক্রাইটেরিয়ন কালেকশনের সহযোগিতায় ল ইম্যাজিন রিট্রোভাটা-তে দ্য ফিল্ম ফাউন্ডেশনের ওয়ার্ল্ড সিনেমা প্রজেক্ট-এ ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ ছবিটি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আর্থিক ভার বহন করেছে গোল্ডেন গ্লোব ফাউন্ডেশন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।