বৃহস্পতিবার, জুন ৩০, ২০২২
ফলাফল পাওয়া যায় নি
সকল ফলাফল দেখুন
Somoyer Kotha
Advertisement
  • হোম
  • বাংলাদেশ
    • শিক্ষা
    • অর্থনীতি
    • নির্বাচন
    • তথ্য প্রযুক্তি
    • অপরাধ
  • জাতীয়
  • দেশজুড়ে
    • জেলার খবর
  • রাজনীতি
  • রাজশাহী বিভাগ
    • রাজশাহী জেলা
    • চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা
    • জয়পুরহাট জেলা
    • নওগাঁ জেলা
    • নাটোর জেলা
    • পাবনা জেলা
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধুলা
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
  • অন্যান্য
    • ধর্ম
    • বিনোদন
    • লাইফ স্টাইল
    • সম্পাদকীয়
    • কৃষি কথা
  • হোম
  • বাংলাদেশ
    • শিক্ষা
    • অর্থনীতি
    • নির্বাচন
    • তথ্য প্রযুক্তি
    • অপরাধ
  • জাতীয়
  • দেশজুড়ে
    • জেলার খবর
  • রাজনীতি
  • রাজশাহী বিভাগ
    • রাজশাহী জেলা
    • চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা
    • জয়পুরহাট জেলা
    • নওগাঁ জেলা
    • নাটোর জেলা
    • পাবনা জেলা
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধুলা
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
  • অন্যান্য
    • ধর্ম
    • বিনোদন
    • লাইফ স্টাইল
    • সম্পাদকীয়
    • কৃষি কথা
ফলাফল পাওয়া যায় নি
সকল ফলাফল দেখুন
Somoyer Kotha
ফলাফল পাওয়া যায় নি
সকল ফলাফল দেখুন

গল্প নয়, সত্যি

ডিসেম্বর ১, ২০২০
0
গল্প নয়, সত্যি

পরীক্ষিৎ চৌধূরী : অবশেষে সুখবর আসা শুরু হলো। রাজধানীতে যাত্রা শুরু করলো ন্যাশনাল অটিস্টিক একাডেমি। অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার এবং নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটিজ শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষার মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করতে আপাতত ঢাকায় ভাড়া বাসায় অস্থায়ী ভিত্তিতে নির্মিত হলো জাতীয় অটিস্টিক একাডেমি, ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম অ্যান্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটিজ, সংক্ষেপে নান্ড।

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের এই একাডেমির মাধ্যমে বৃত্তিমূলক ও অন্যান্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষম করে গড়ে তোলা হবে। দেওয়া হবে আবাসিক সুবিধা। উপযুক্ত আইসিটি প্রশিক্ষণও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। শিক্ষক, অভিভাবক ও অন্যান্য অংশীদারদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতেও জাতীয় একাডেমি কার্যকর উদ্যোগ নেবে। বাংলাদেশে তৃণমূলপর্যায়ে সহায়তা প্রদানের জন্য একটি বিশেষ শিক্ষক ও অভিভাবক প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করা এবং খেলাধুলা, সংগীত, শিল্প এবং পেশাগত যেমন-কারিগরি, ভোকেশনাল ও আইটি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অটিস্টিকদের বিকল্প দক্ষতা প্রদান করাই জাতীয় অটিস্টিক একাডেমির মূল উদ্দেশ্য।

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু নিজেদের ভিতরে এমনভাবে গুটিয়ে থাকতে পারে যে, সে হয়তো কোনো দিন মুখে একটি শব্দ উচ্চারণ না করে জীবন কাটিয়ে দেবে কিংবা একেবারে দৈনন্দিন কাজগুলো পর্যন্ত নিজে করতে পারবে না। সে জন্যে কাউকে তাদের সাহায্য করতে হবে। এ রকম শিশুদের মা-বাবারা এক ধরনের অসহায় আতঙ্ক নিয়ে দিন কাটান। তারা ভাবেন, যখন তারা থাকবেন না তখন তাদের অটিস্টিক শিশুদের কে দেখেশুনে রাখবে? আমাদের প্রধানমন্ত্রীর একটি ঘোষণা সব অটিস্টিক শিশুদের মা-বাবার বুকের ভেতর এক ধরনের স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে। তিনি এই অভিভাকদেরকে আশ্বস্ত করেছেন, আমাদের রাষ্ট্র অভিভাবকহীন সকল অটিস্টিক শিশু কিংবা প্রতিবন্ধীর দায়িত্ব নেবে। তাঁর ঘোষণা অনুযায়ী একটা ট্রাস্ট ফান্ড তৈরি করে এই অসহায় শিশুদের একটি সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তা সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হয়। তারই পথ ধরে সৃষ্টি হয় এই একাডেমি।

নান্ডের অস্থায়ী এই ক্যাম্পাস উদ্বোধন করা হলেও একাডেমি প্রতিষ্ঠার জন্য ঢাকার অদূরে পূর্বাচলে ৩ দশমিক ৩ একর জায়গা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত একাডেমিতে ১৫তলা প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ১০তলা আবাসিক ভবন, ৬ তলাবিশিষ্ট একটি ছাত্র ছাত্রী হোস্টেল, ৫শ আসনবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক মানের অডিটোরিয়াম এবং বিশেষায়িত সুইমিংপুল ও খেলার মাঠ থাকবে।

বর্তমান সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বিশ্বাস করে। কোনো ধরনের সীমাবদ্ধতার কারণে কেউ যেন পিছিয়ে না পড়ে সেলক্ষ্যে গৃহীত সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে এটি অন্যতম। সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, নান্ড যেন শুধুমাত্র অটিস্টিক শিশুদের পরিচর্চায় সীমাবদ্ধ না থাকে। এটি যেন সারাদেশের শিক্ষকদের অটিস্টিক শিশুদের পরিচর্চায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে অবদান রাখে।

আমাদের দেশে অটিজম ও নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটিজ (এনডিডি) ধারণাটির বহুল পরিচিতির পেছনে যার অবদান সবচেয়ে বেশি তিনি হলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কন্যা বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি সায়মা ওয়াজেদ হোসেন। প্রতিবন্ধী ব্যক্তি যে সমাজের বোঝা নয়; তাদেরকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার মাধ্যমে আমাদের উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়া যায়, এ ধারণাটি তৈরি করেছেন তিনিই। তাঁর নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ অটিজম বিষয়ে সারাবিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর মেধা ও শ্রমকে সব কর্মকাণ্ডে ব্যবহারের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। মূলত এই সব বিষয় নজরে রেখে অটিজম শিশু এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ঢাকার মিরপুরে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ক্যাম্পাসে অটিজম রিসোর্স সেন্টার ও একটি অবৈতনিক বিদ্যালয় স্থাপন করে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিনামূল্যে বিভিন্ন সেবা দেয়া হচ্ছে। ঢাকা সেনানিবাসে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ‘প্রয়াস’ নামে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় এর শাখা করার কাজ চলছে। পাশাপাশি প্রতিটি সেনানিবাসে শাখা প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অটিজমে আক্রান্তদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিনামূল্যে থেরাপিউটিক, কাউন্সেলিং ও অন্যান্য সেবা এবং সহায়ক উপকরণ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা শিশু হাসপাতালসহ ১৫টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শিশু বিকাশ কেন্দ্র স্থাপন করে অটিজম ও নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল সমস্যাজনিত শিশুদের চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে জেলা ও

-২-

উপজেলা হাসপাতালে অটিজম আক্রান্তদের শনাক্ত করে তাদের কাউন্সিলিং ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইনস্টিটিউট ফর পেডিয়াট্রিক নিউরো-ডিজঅর্ডার এন্ড অটিজম’-এর মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইসিডিডিআরবির মাধ্যমে অটিস্টিক শিশুদের প্রাথমিক পরিচর্যাকারী হিসেবে মায়েদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া অটিজম ও স্নায়ু-বিকাশজনিত সমস্যা প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করার জন্য বিশেষজ্ঞ গ্রুপের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের উপযোগী করে স্ক্রিনিং টুলস প্রণয়ন কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ‘বিশেষ সফটওয়্যার’ তৈরি করে অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধীদের কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়ার ওপরও গুরুত্বারোপ করেছেন। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন প্রত্যেক শিশুকে শিগগিরই ‘প্রিভিলেজ কার্ড’ দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। সেবা-সহযোগিতায় বিশেষ অগ্রাধিকার পাবে এমন কার্ডের অধিকারীরা। যাতে চিকিৎসা, কেনাকাটা, শিক্ষা, গাড়ি পার্কিংসহ সবক্ষেত্রে তারা বিশেষ সুবিধা পাবেন। এ সমস্যা মোকাবিলায় বেসরকারিভাবেও নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। ইতোমধ্যে ঢাকায় অটিস্টিক শিশুদের শিক্ষা দেওয়ার বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।

বাংলাদেশ ইতোমধ্যে অনেক স্বাস্থ্য সূচক যেমন গড় আয়ু, মোট শিশু জন্মদান হার এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হারের ক্ষেত্রে উন্নতি অর্জন করেছে এবং কার্যকর মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য যথাযথ পথে রয়েছে। স্বাস্থ্যকর গড় আয়ু বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এখন মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্বের স্বীকৃতি রয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্য ছাড়া কোনো স্বাস্থ্যই পরিপূর্ণতা পায়না।

মানসিক স্বাস্থ্য সত্যিকারেই একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ যা মোটেও উপেক্ষা করা যায় না। ২০৩০ সালের মধ্যে সকল দেশ সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ (ইউএইচসি) অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০৩০ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) এজেন্ডার অংশ হিসেবে সকল দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে ইউএইচসি অর্জন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। এর আলোকে অটিজম মোকাবিলায়ও বাংলাদেশ অনেকদুর এগিয়ে গেছে। এমনকি বিশ্ব সম্প্রদায়ের কৌশল কি হতে পারে সে পথ দেখাতেও সায়মা হোসেন ওয়াজেদের হাত ধরে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিচ্ছে।

অটিজমের বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও পদক্ষেপ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ যা কাজ করেছে, তা গর্ব করার মতো। এটা সম্ভব হয়েছে রাজনৈতিক ইচ্ছা এবং সংশ্লিষ্টদের সাড়ায়। নানান সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও জাতীয় উন্নয়নে অটিজম আক্রান্তদের সম্পৃক্ত করতে সরকার কাজ করছে। এসডিজির সাথে সমন্বিত করে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অটিজম ও অন্যান্য এনডিডি আক্রান্তদের জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর্লি চাইল্ডহুড সেন্টারগুলোতে অন্তত দুজন প্রতিবন্ধী শিশু ভর্তি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের নাটক, সিনেমা ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অটিজম আক্রান্তদের সুযোগ দেওয়ারও একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষায় বাংলাদেশ ‘আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি’কে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। অটিজমে আক্রান্তসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের আর্থসামাজিক প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় তাদের পরিবার ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যে রেজুলেশন গৃহীত হয় তাও বাংলাদেশ উত্থাপন করেছিল।

অটিজম হলো একটি ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য সমস্যা। সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল (সি ডি সি) এর তথ্য অনুসারে আমেরিকাতে প্রতি ৮৮ জন শিশুর মধ্যে একজন অটিজমে আক্রান্ত। তবে এর মধ্যে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের আক্রান্তের হার অনেক বেশি। যেমন প্রতি ৫৪ জন ছেলের মধ্যে একজন এবং ২৫২ জন মেয়ের মধ্যে ১ জন অটিজমে আক্রান্ত। তবে বাংলাদেশে অটিজম সম্পন্ন ব্যক্তিদের একটি বড়ো অংশই নারী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের দেশে গ্রামের চেয়ে শহরে বাড়ছে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুর সংখ্যা। প্রতি হাজারে ১ দশমিক ৪ জন গ্রামে ও শহরে ২দশমিক ৫ জন অটিজম বৈশিষ্ট্য শিশুর জন্ম হয়। এধরনের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু ও তাদের পরিবারের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে আমাদের সক্ষমতাকে আরো বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে নাগরিক হিসেবে তাদেরও রয়েছে সমঅধিকার।

এখানে একটি কথা উল্লেখ না করলেই নয়। অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর ন্যায় বাংলাদেশেও নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবলিটিজ, অটিজম এবং শিশুদের মনঃস্বাস্থ্যের বিষয়ে ভ্রান্ত পর্যবেক্ষণ রয়েছে। এমনকি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের মধ্যেও রয়েছে। এছাড়া যে সকল কর্মকর্তা অটিজম বিষয়ক নীতিনির্ধারণের বিষয়ে সম্পর্কিত রয়েছেন তাদেরও রয়েছে সীমাবদ্ধতা।

-৩-

অটিজমের শিকার একজন মানুষ আর দশজন সুস্থ্ স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে কোনোদিক দিয়ে কম নয়। তাদের দরকার শুধু একটি সহমর্মিতায় ভরা পরিবেশ, শেখার সুযোগ আর তাদের প্রতি সমতাপূর্ণ দৃষ্টি। এটুকু দিতে পারলেই এই মানুষগুলো সমাজের সবাইকে সাথে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।

গল্পটি মাত্র দুই মাস আগের। এক দেশের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর স্বপ্ন ছিল সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে গল্প করবে। তার ইচ্ছে প্রধানমন্ত্রী তাকে ভিডিও কল করবেন। আর এ জন্য প্রতিদিন অপেক্ষায়ও থাকতো সে। এই স্বপ্নের কথা জানিয়ে একটা ভিডিও বার্তাও সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়েছিল। ভিডিও প্রকাশের এক দিনের মাথায় দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজে ভিডিওকল করেছেন শিশুটিকে। তার সঙ্গে গল্প করেছেন। শুনেছেন কবিতা আবৃত্তি। বেশ কিছু সময় ধরে গল্পও শুনেছেন ছোট্ট মেয়েটির কাছ থেকে। শিশুটির নাম মামিজা রহমান রায়া। প্রধানমন্ত্রীর নাম শেখ হাসিনা।

আরেকটি ছবি দেখা যাক। বিভিন্ন উৎসবে মানুষের কাছে প্রধানমন্ত্রী যেসব কার্ড পাঠান, অটিস্টিক শিশুদের আঁকা কাডর্ই পাঠান। যার কার্ড নির্বাচিত হয় তাঁকে সম্মানি হিসেবে এক লাখ করে টাকাও প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্ড সাধারণত ২০ থেকে ২৫ হাজার কপি ছাপানো হয়। অটিস্টিক শিশুদের আঁকা ছবি দিয়ে ২০০৯ সাল থেকে ‘প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দিবসের কার্ড’ তৈরি হয়। অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিশুদের হাতে আঁকা ছবি দিয়েই শুভেচ্ছা কার্ড বানিয়ে তা পাঠিয়ে আসছেন শেখ হাসিনা। যে দেশের প্রধানমন্ত্রী অটিজম নিয়ে বেড়ে ওঠা শিশুদের নিয়ে এভাবে মানবিকতার দুয়ার খুলে দেন, সে দেশের এই শিশুদের জন্য একটি স্বপ্নের পৃথিবী গড়ে উঠা খুব বেশি দূবে নয়। – পিআইডি ফিচার

শেয়ার
  • 18
  •  
  •  
  •  
  • ট্রেন্ডিং
  • মন্তব্য
  • নতুন
ডিগ্রী পরীক্ষায় দেশ সেরা ভবানীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজের রক্সিমা

ডিগ্রী পরীক্ষায় দেশ সেরা ভবানীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজের রক্সিমা

জানুয়ারি ২৫, ২০২১
সোনা চোরাচালানের নতুন রুট রাজশাহী

আসামীদের স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দি দুইটি সোনার বার উদ্ধার

অক্টোবর ৭, ২০২০
নগরীতে ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

নগরীতে ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

নভেম্বর ১৯, ২০২০
নগরীতে ৫০০ পিস ইয়াবাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

নগরীতে ৫০০ পিস ইয়াবাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

অক্টোবর ৩১, ২০২০
বাগমারায় জোঁকা বিল প্রকল্পে জোর পূর্বক মাছ লুটের অভিযোগ

বাগমারায় জোঁকা বিল প্রকল্পে জোর পূর্বক মাছ লুটের অভিযোগ

0

Burnley v Lincoln City Betting: Clarets set for more cup joy on home soil

0

Orlando City provides Jason Kreis a chance at redemption – will he take it?

0

Why F1 must fight to restore the Nürburgring to the calendar

0
বাগমারায় জোঁকা বিল প্রকল্পে জোর পূর্বক মাছ লুটের অভিযোগ

বাগমারায় জোঁকা বিল প্রকল্পে জোর পূর্বক মাছ লুটের অভিযোগ

জুন ৩০, ২০২২
দারুচিনি প্লাজা মার্কেট নির্মাণ  কাজের অগ্রগতি নিয়ে সভা

দারুচিনি প্লাজা মার্কেট নির্মাণ কাজের অগ্রগতি নিয়ে সভা

জুন ৩০, ২০২২
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জাকের পার্টির সাংগঠনিক সভা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জাকের পার্টির সাংগঠনিক সভা

জুন ৩০, ২০২২
মোহাম্মদপুর টিকাপাড়া জামে মসজিদের  উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে রাসিক মেয়র

মোহাম্মদপুর টিকাপাড়া জামে মসজিদের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে রাসিক মেয়র

জুন ৩০, ২০২২

আরও দেখুন

বাগমারায় জোঁকা বিল প্রকল্পে জোর পূর্বক মাছ লুটের অভিযোগ

বাগমারায় জোঁকা বিল প্রকল্পে জোর পূর্বক মাছ লুটের অভিযোগ

জুন ৩০, ২০২২
দারুচিনি প্লাজা মার্কেট নির্মাণ  কাজের অগ্রগতি নিয়ে সভা

দারুচিনি প্লাজা মার্কেট নির্মাণ কাজের অগ্রগতি নিয়ে সভা

জুন ৩০, ২০২২
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জাকের পার্টির সাংগঠনিক সভা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জাকের পার্টির সাংগঠনিক সভা

জুন ৩০, ২০২২
মোহাম্মদপুর টিকাপাড়া জামে মসজিদের  উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে রাসিক মেয়র

মোহাম্মদপুর টিকাপাড়া জামে মসজিদের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে রাসিক মেয়র

জুন ৩০, ২০২২
পরবর্তী পোস্ট
ভর্তি পরীক্ষা লিখিতভাবে নেয়ার দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন

ভর্তি পরীক্ষা লিখিতভাবে নেয়ার দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন

প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : ইয়াকুব শিকদার
প্রধান কার্যালয় : বহরমপুর (সিটি বাইপাস), জিপিও-৬০০০, রাজপাড়া, রাজশাহী।

মেইল: somoyerkotha24news@gmail.com  মোবাইল : ০১৮১৭-১২২২৪৩

© 2021 সময়ের কথা ২৪.কম

ফলাফল পাওয়া যায় নি
সকল ফলাফল দেখুন
  • হোম
  • বাংলাদেশ
    • শিক্ষা
    • অর্থনীতি
    • নির্বাচন
    • তথ্য প্রযুক্তি
    • অপরাধ
  • জাতীয়
  • দেশজুড়ে
    • জেলার খবর
  • রাজনীতি
  • রাজশাহী বিভাগ
    • রাজশাহী জেলা
    • চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা
    • জয়পুরহাট জেলা
    • নওগাঁ জেলা
    • নাটোর জেলা
    • পাবনা জেলা
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধুলা
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
  • অন্যান্য
    • ধর্ম
    • বিনোদন
    • লাইফ স্টাইল
    • সম্পাদকীয়
    • কৃষি কথা

© 2021 সময়ের কথা ২৪.কম

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Create New Account!

Fill the forms bellow to register

All fields are required. Log In

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In