নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা সোমবার। বিকাল ৩:০৩। ১৯ মে, ২০২৫।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঝড়ে পড়া আম মাত্র সাড়ে ৩ টাকা কেজি

মে ১৯, ২০২৫ ১:৩২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ফয়সাল আজম অপু : চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত কয়েকদিনের ঝড়-বৃষ্টিতে আমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং অনেক আম ঝড়ে পড়ে গেছে। আর এই অপরিপক্ব আম মাত্র সাড়ে তিন থেকে চার টাকায় বিক্রি করছেন আম চাষি ও স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে সামান্য কিছু টাকা পেলেও দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে আমচাষিদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত শুক্রবার (১৬ মে) ও শনিবার রাতের ঝড়-বৃষ্টিতে জেলার পাঁচ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোমস্তাপুর উপজেলায়। ঝড়ে ঝরে পড়েছে ফজলি, গোপালভোগ, আশ্বিনা, খিরসাপাতি, গুটিসহ বিভিন্ন জাতের অপরিপক্ব আম। এসব আম বাধ্য হয়েই সাড়ে তিন থেকে চার টাকা কেজি দরে আচারের আম হিসেবে বিক্রি করছেন চাষিরা। তবে কেউ কেউ বাগান থেকে কুড়িয়ে নিয়ে এসেও পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন।

আরও পড়ুনঃ  ডিপ টিউবওয়েল নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১ যুবক নিহত, আহত ১০

আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা বলেন, গত দুই দিন জেলায় ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় গাছ থেকে অনেক অপরিপক্ব আম ঝরে পড়েছে। এসব আম গ্রামের মানুষজন কুড়িয়ে সাড়ে তিন থেকে চার টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। আমের জাতভেদে একেক রকম দামে বিক্রি হয়েছে এসব আম। তবে এই আম কয়েকদিন পরেই ১০০-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা যেত।

আমচাষি জাইদুল হক বলেন, শুক্রবার রাতে হঠাৎ ব্যাপক বৃষ্টির সঙ্গে ঝড় হয়। এতে অনেক আম গাছ থেকে পড়ে নষ্ট হয়। এসব আম গ্রামের অনেকেই কুড়িয়ে সাড়ে তিনি থেকে চার টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছে।

আরও পড়ুনঃ  নগরীতে বিভিন্ন অপরাধের গ্রেপ্তার ১৫

পাইকারি ব্যবসায়ী রবিউল হক বলেন, ঝড়ে পড়া আম তেমন কাজে লাগে না। তা ছাড়া আমগুলো পরিপক্ব নয়। তাই আচার করেন অনেকেই। তবে অনেক বেশি আম হওয়ার কারণে বাধ্য হয়েই বিক্রি করতে হয়।

আরেক ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন বলেন, ঝড়ে পড়া আমে দাগ পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। তাই বেশির ভাগ সময় আম পরিপক্ব থাকলে তা স্থানীয় জুস ফ্যাক্টরিতে চলে যায়। তবে এখন আম অপরিপক্ব হওয়ায় জুসের পাল্প করা যাবে না। তাই কম দামে কিনে ট্রাকে করে ঢাকায় পাঠিয়ে দিই।

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহীতে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা : আমবাগান থেকে মরদেহ উদ্ধার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী বলেন, গত দুই দিনে জেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। তবে গোমস্তাপুরে ক্ষতির পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। ঝড়ে আম ও লিচুর অনেক ক্ষতি হয়েছে। অনেক অপরিপক্ব আম গাছ থেকে ঝরে পড়েছে। এসব আম তেমন কোনো কাজে না আসায় কম দামে বিক্রি হয়।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৭ হাজার ৫০৪ হেক্টর জমির আম বাগান থেকে ৩ লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিকটন আম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।