চারঘাট প্রতিনিধি: চারঘাটে আসন্ন ঈদ-উল আযাহা উপলক্ষে পশুর হাটগুলোতে সামাজিক দুরত্ব না মেনে চলছে জমজমাট কেনাবেচা। সরকারি বিধি তোয়াক্কা না করে কোরবানির পশু কেনাবেচায় হাটগুলোতেও বাড়ছে অনেক মানুষের সমাগম । মানা হচ্ছে না সামাজিক দুরুত্ব, মুখে নেই মাস্ক। অথচ এব্যাপারে প্রশাসনের নেই কোন নজরদারি।
উপজেলার চারঘাটের মিয়াপুর গ্রামে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় গত ২৮ মে। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। গত একমাসে উপজেলা হাসপাতালের ডাক্তারসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৩৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। করোনা লগ্নে হাট-বাজারগুলোতে সবধরনের সমাগম এড়িয়ে চলতে বলা হলেও, বিধি নিষেধ মানছেন না অধিকাংশ মানুষই। হাটগুলোতে সমাগম হচ্ছে ঢাকা থেকে আগত পাইকারদের। ফলে করোনা ছড়ানোর আশংকা রয়ে গেছে।
এঅবস্থায় উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে সামাজিক দুরুত্ব মেনে ও বিধি অনুযায়ী মাস্ক পরে কেনাকাটা করা নির্দেশনা থাকলেও অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতারা মানছেন না। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কোরবানি উপলক্ষে নন্দনগাছির পশুরহাটে হাজার খানেক ক্রেতা-বিক্রেতা ছাগল কেনাবেচায় ব্যস্ত। বিধি অনুযায়ী সেখানে মোটেও সামাজিক দুরুত্ব মানা হচ্ছে না, আবার অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক নেই। একই অবস্থা উপজেলার চারঘাট ও সারদার বাজার সংলগ্ন কাচাঁবাজার ও পশুরহাট।
এ প্রসঙ্গে সারদা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কাজি শেহাব উদ্দীন তনু বলেন, বিধি অনুযায়ী পশুর হাটে পশু কেনাবেচার জন্য হাট ইজারাদারদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কিন্তু ইজারাদাররা কর্ণপাত করছেন না। এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে পশুহাট ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশাসনের কাছ থেকে কোন নির্দেশনা বা সভা-সেমিনার আহ্বান করা হয়নি। একই কথা বলেন নন্দনগাছি বাজার কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট বসানোর জন্য ইজারদারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং কোন অসুস্থ পশু যেন হাটে বিক্রয় না হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখাতে বলেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সামিরা বলেন, উপজেলার প্রতিটি সাধারণ হাট-বাজার ও পশুর হাটে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তবে অনলাইনে কোরবানির পশু কেনাবেচার ওপর গুরুত্বরোপ করছে প্রশাসন। বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, খুব দ্রুতই সভার আহ্বান করা হবে।
