নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা শনিবার। রাত ১১:৩১। ১৪ জুন, ২০২৫।

জুলাইয়ের আত্মত্যাগের উদ্দেশ্য ছিল গণতন্ত্রকে অবমুক্ত করা : রিজভী

জুন ৮, ২০২৫ ৯:১৭
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘জুলাইয়ের আত্মত্যাগের লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্রকে অবমুক্ত করা। কিন্তু বাংলাদেশে গণতন্ত্রের দুর্ভাগ্য, অবাধ নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি হয়।’

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরো বলেন, ক্ষমতায় আসলেই সবাই তা চিরস্থায়ী করতে চান। অন্তর্বর্তী সরকারও এ ধারায় পড়েছে কিনা তাই প্রশ্ন। সবার সমর্থন পেয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তারপরও টানাপোড়েনে রয়েছে গণতন্ত্র।

তিনি বলেন, আগামী বছরের এপ্রিল মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে রমজান মাসের সঙ্গে প্রচার কার্যক্রমের সময়কাল মিলে যাবে, যা জনসাধারণের জন্য ভোগান্তির কারণ হবে। তাই জনগণের সুবিধার কথা বিবেচনা করে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায়, সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  দারুণ লড়েও সিঙ্গাপুরের কাছে হৃদয়ভাঙা হার হামজাদের

এদিকে দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের মেহেদীবাগে নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করার সময় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলছেন, কাদের জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে? কাদের জন্য সুবিধা সৃষ্টি করা হচ্ছে? এতে লাভবান কারা হচ্ছে? তাহলে আগামী নির্বাচনও কি যারা ক্ষমতায় আছে, তারা প্রভাবিত করে তাদের দিকে নিয়ে যাবে বা তাদের মতো করে নির্বাচন করবে?

আরও পড়ুনঃ  কমনওয়েলথ বাংলাদেশের সংস্কার প্রক্রিয়ায় সহায়তায় আগ্রহী

তিনি বলেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় এবং এ বিষয়ে একটি ঐকমত্য প্রায় গঠিত হয়েছে। বিচারিক কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং তা স্বাভাবিক গতিতেই চলবে, সরকার এতে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। যখন এই বিষয়গুলো স্পষ্ট, তখন হঠাৎ করে নির্বাচন এপ্রিলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় বিস্ময় সৃষ্টি হয়েছে। অথচ এর আগেই- সেপ্টেম্বর, অক্টোবর কিংবা নভেম্বরে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব।

আরও পড়ুনঃ  ইসরাইলি হামলার গোপন তথ্য ফাঁস : সিআইএ বিশ্লেষকের ৩৭ মাসের জেল

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, নানা দিক বিবেচনা করেই সবাই মিলে ডিসেম্বরকে নির্বাচন আয়োজনের জন্য যৌক্তিক সময় হিসেবে নির্ধারণ করেছিলেন। কারণ, এরপরই শুরু হবে পবিত্র রমজান মাস, যখন নির্বাচন পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়ে। তার পরপরই রয়েছে পাবলিক পরীক্ষা, বৈরী আবহাওয়া ও কালবৈশাখীর মতো নানা প্রতিবন্ধকতা। এসব কারণে এপ্রিলে নির্বাচন করার প্রস্তাবের পেছনে বাস্তব কারণ কী- তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে।-বাসস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।