নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ মঙ্গলবার। রাত ১:২০। ১৯ আগস্ট, ২০২৫।

জেলেনস্কি চাইলে ‘প্রায় সঙ্গে সঙ্গে’ এই যুদ্ধ শেষ করতে পারেন : ট্রাম্প

আগস্ট ১৮, ২০২৫ ৫:৪৩
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের ওপর আরও চাপ বাড়িয়েছেন, যাতে তারা রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার জন্য চুক্তি মেনে নেয়। তিনি দাবি করেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি চাইলেই “প্রায় সঙ্গে সঙ্গে” এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারেন।

সোমবার (১৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সোমবার হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকের আগে মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেন, যেকোনো আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছাতে হলে রাশিয়ার দখলে থাকা ক্রিমিয়াকে (ইউক্রেনের কাছে) ফিরিয়ে আনা বা ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়টি বাদ দিতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫ উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার

ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে রোববার বলেন, “ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যদি চান, তাহলে প্রায় তাৎক্ষণিকভাবে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করতে পারেন, অথবা তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারেন। মনে রাখবেন কিভাবে সব শুরু হয়েছিল— ক্রিমিয়া ফিরে পাওয়া যায়নি, ন্যাটোতেও যোগ দেওয়া যায়নি। কিছু বিষয় কখনও পরিবর্তন হয় না।”

আল জাজিরা বলছে, ট্রাম্পের এই মন্তব্যের মধ্যেই ইউরোপীয় নেতারা জেলেনস্কির সঙ্গে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, কারণ ব্রাসেলস ও কিয়েভের আশঙ্কা, ট্রাম্প এমন কোনো সমঝোতা স্বাক্ষর করতে পারেন যা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষে অত্যধিক সুবিধাজনক হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন সাথী গ্রেপ্তার

ট্রাম্পের মন্তব্যের কিছুক্ষণ পর জেলেনস্কি বললেন, পূর্বে ক্রিমিয়াসহ কিছু ক্ষেত্রে পুতিনের কাছে ইউক্রেনের ছাড় দেওয়া শুধু তাকে আরও আক্রমণ চালাতে উৎসাহিত করেছে।

তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “আমরা সবাই চাই এই যুদ্ধ দ্রুত ও নির্ভরযোগ্যভাবে শেষ হোক। এবং শান্তি স্থায়ী হতে হবে। যেমনটা বছরের আগে হয়নি— যখন ইউক্রেনকে ক্রিমিয়া ও পূর্বাঞ্চলের কিছু অংশ (ডনবাস) ছাড়তে হয়েছিল এবং পুতিন তা ব্যবহার করেছিল নতুন আক্রমণের জন্য। ১৯৯৪ সালের নিরাপত্তা নিশ্চয়তাও কাজ করেনি।”

জেলেনস্কি আরও বলেন, “ক্রিমিয়া তখন ছাড়ানো উচিত ছিল না, যেমন ২০২২ সালের পরেও ইউক্রেনীয়রা কিয়েভ, ওডেসা বা খারকিভ ছাড়েনি। ইউক্রেনীয়রা তাদের ভূমি ও স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছেন।”

আরও পড়ুনঃ  পাকিস্তানের পতাকায় আলোকিত দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা

যদিও ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিতে কিছু ভূখণ্ড বিনিময়ের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হতে পারে, তবে জেলেনস্কি বারবার নিশ্চিত করেছেন যে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড “দখলকারীর” হাতে দেওয়া হবে না।

ইউরোপীয় নেতারা — যাদের মধ্যে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্জ ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ — সোমবারের হোয়াইট হাউস বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন। ট্রাম্পকে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন বজায় রাখার জন্য চাপ দিতেই এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন তারা।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।