নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ শুক্রবার। সকাল ৭:৪৩। ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫।

ট্রাম্পের শুল্কের জেরে ভারত-চীনের অর্থনৈতিক পুনর্গঠন

আগস্ট ৩১, ২০২৫ ৬:৩৯
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সপ্তাহান্তে চীনে পৌঁছেছেন, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক এখনও আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। বুধবার থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্য, যেমন হীরা ও চিংড়ি, ৫০% শুল্কের আওতায় এসেছে। ট্রাম্প বলেছেন, এটি ভারতের রাশিয়ার তেলের ক্রয় অব্যাহত রাখার জন্য একটি শাস্তি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শুল্ক ভারতের সক্রিয় রপ্তানি খাতকে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবিত করতে পারে এবং দেশের উচ্চতর অর্থনৈতিক লক্ষ্যগুলোর জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও তার ধীরগতি সম্পন্ন অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন, যখন মার্কিন শুল্ক চীনের পরিকল্পনাকে ব্যাহত করতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে, বিশ্বের দুই সর্বাধিক জনবহুল দেশের নেতারা তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনরায় স্থাপনের দিকে নজর দিতে পারেন, যা পূর্বে সীমান্ত বিরোধ ও অবিশ্বাসের কারণে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ছিল।

আরও পড়ুনঃ  ডিবি পরিচয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেপ্তার ৭

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অর্থ
ভারত ও চীন অর্থনৈতিক মহাশক্তি – যথাক্রমে বিশ্বের ৫ম ও ২য় বৃহত্তম অর্থনীতি। ভারতের অর্থনীতি ২০২৮ সালে প্রায় ৪ ট্রিলিয়ন ডলার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং বৃদ্ধির হার ৬% এর ওপরে থাকবে। চীনের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন ভারতকে মার্কিন শুল্কের প্রভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহীতে বিভিন্ন কর্মসূচি

কিন্তু সম্পর্কটি জটিল। সীমান্ত বিরোধ, লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ২০২০ সালের সংঘর্ষ, ভিসা ও বিনিয়োগে বাধা, ২০০টির বেশি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ – সবই সম্পর্কের জন্য চ্যালেঞ্জ। তিব্বত, দলাই লামা, জলসম্পদ বিরোধ ও পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনাও রয়েছে।

অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সম্ভাবনা
মোদি চীনে যাওয়ার সময় শেনঝেন কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) বৈঠকে অংশ নেবেন। SCO-র সদস্য দেশগুলো হল চীন, ভারত, পাকিস্তান, ইরান ও রাশিয়া। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন চীনের জন্য দক্ষিণের দেশগুলোর সমর্থন বৃদ্ধি করতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  বড়াইগ্রামের অপহৃত বিকাশ কর্মীকে টাঙ্গাইল থেকে উদ্ধার, জড়িত ভুয়া পুলিশ আটক

দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে ভারত চীনের কাছ থেকে কাঁচামাল ও উপাদান আমদানি করে, এবং দ্রুত ভিসা অনুমোদন ও সরাসরি বিনিয়োগ সুবিধা পাওয়া গেলে লাভবান হতে পারে। ভারতের মধ্যে চীনা স্মার্টফোনের বাজারে ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ অংশ রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক বৈঠক দিয়ে সম্পর্কের সমস্ত সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়, তবে মোদির চীনে সফর কিছু বিদ্যমান মনমর্যাদা দূর করতে এবং ওয়াশিংটনকে স্পষ্ট বার্তা দিতে সাহায্য করতে পারে যে ভারতের কাছে বিকল্প আছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।