অনলাইন ডেস্ক : লেবানন জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় বুধবার দক্ষিণে দুইজন নিহত হয়েছে। ইসরাইল বলেছে তারা হিজবুল্লাহ কর্মীদের লক্ষ্য করে ওই হামলা চালিয়েছিল। ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটির সাথে যুদ্ধবিরতি থাকা সত্ত্বেও সর্বশেষ এই হামলা চালানো হয়।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বৈরুত থেকে এএফপি জানায়, টায়ার অঞ্চলের আইন বাল শহরে একটি ‘ইসরাইলি শত্রু ড্রোন’ একটি গাড়িতে আঘাত করলে এতে একজন নিহত হয়। পরে আরো জানায়, সীমান্তের কাছে ইয়াতের এলাকায় পৃথক হামলায় ‘একজন নিহত ও অপর এক আহত হয়েছে’।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানায়, তাদের বাহিনী টায়ার এলাকায় একজন হিজবুল্লাহ কর্মীকে আঘাত করেছে। এই অঞ্চলে সুনির্দিষ্ট ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য তাকে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো স্থাপনের জন্য দায়ী করা হয়। ইসরাইলি সেনাবাহিনী আরো বলেছে, তারা ইয়াতের এলাকায় হিজবুল্লাহর অভিজাত রাদওয়ান বাহিনীর একজন কমান্ডারকে হত্যা করেছে।
ইয়াতেরের একজন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালিত জাতীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘর্ষের সময় একজন ক্ষতিগ্রস্ত তার বাড়ির ধ্বংসাবশেষ সরাতে বুলডোজার ব্যবহার করা এক ব্যক্তি হামলায় নিহত হয়েছেন।
লেবাননে ইসরাইলি হামলার এটি ছিল টানা তৃতীয় দিন।
নভেম্বরে হিজবুল্লাহর সাথে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা শত্রুতা বন্ধ করার লক্ষ্যে যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরাইল তার উত্তর প্রতিবেশীর ওপর অভিযান চালিয়েছে।
যুদ্ধবিরতির অধীনে, হিজবুল্লাহকে লেবাননের লিটানি নদীর উত্তরে তার যোদ্ধাদের ফিরিয়ে নিতে এবং দক্ষিণে অবশিষ্ট সামরিক অবকাঠামো ভেঙে ফেলতে বলা হয়।
ইসরাইল লেবানন থেকে তার সমস্ত বাহিনী প্রত্যাহার করতে বলেছিল। তবে তারা পাঁচটি এলাকায় সৈন্য রেখেছিল যা তারা ‘কৌশলগত’ বলে মনে করে।
ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়ার সাথে সাথে দক্ষিণে লেবাননের সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং সেখানে হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ভেঙে ফেলেছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবের ভিত্তিতে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দক্ষিণ লেবাননে একমাত্র লেবাননের সেনা ও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের অস্ত্র বহন করার এবং সমস্ত অ-রাষ্ট্রীয় গোষ্ঠীর নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানানো হয়।
ইসরাইলকে আক্রমণ বন্ধ করতে এবং অবশিষ্ট সৈন্য প্রত্যাহার করতে চাপ দেয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লেবানন।
মঙ্গলবার, মার্কিন উপ-মধ্যপ্রাচ্য দূত মরগান ওর্টাগাস বলেছেন, যুদ্ধের পর হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার জন্য লেবাননের এখনও ‘আরও কিছু’ করার আছে।