অনলাইন ডেস্ক : দেশে করোনাভাইরাসে একদিনে ফের ৫০ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৬৮। এর আগে ৩০ জুন একদিনে রেকর্ড ৬৪ জনের মৃত্যু হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ হাজার ৯২৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৭ হাজার ৪৫৩ হয়েছে। আইইডিসিআরের ‘অনুমিত’ হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৯১৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৫৬ জনে। সোমবার কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত বুলেটিনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা এই তথ্য জানান। এদিকে ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষা, শনাক্তের সংখ্যা ও মৃত্যু বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তে ১৩ হাজার ৩৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আগের দিন ১০ হাজার ৬২৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাতে শনাক্ত হয়েছিল ২ হাজার ৪৫৯ জন। আগের দিন করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা গিয়েছিলেন ৩৭ জন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তা দুই লাখ পেরিয়ে যায় শনিবার। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনে সর্বোচ্চ। আর ১৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ১৭ জুলাই তা আড়াই হাজার ছাড়িয়ে যায়।
সোমবার নিয়মিত বুলেটিনে জানানো হয়, দেশের ৮০টি পরীক্ষাগারে গত একদিনে ১৩ হাজার ৩৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দেশে এ পর্যন্ত মোট ১০ লাখ ৪১ হাজার ৬৬১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৯১ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যার বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ, মৃতের হার ১ দশমিক ২৯ শতাংশ।
নাসিমা সুলতানা বলেন, গত একদিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩৫ জন পুরুষ এবং ১৫ জন নারী। ৪২ জন হাসপাতালে এবং ৮ জন বাড়িতে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম ও ১ জনের বয়স ৯০ বছরের বেশি। এ ছাড়া ২ জনের বয়স ৮১-৯০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের ৭১-৮০, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ২০ জন, ৯ জনের ৫১-৬০, ১১ জনের ৪১-৫০, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে একজন এবং ২১-৩০ বছরের মধ্যে ছিল একজন। এই ৫০ জনের মধ্যে ২১ জন ঢাকা বিভাগের, ৭ জন চট্টগ্রাম, ১০ জন খুলনা, ৫ জন রাজশাহী, ২ জন বরিশাল, ২ জন রংপুর এবং ৩ জন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা।
এ পর্যন্ত বিভাগভিত্তিক মৃত্যুর সংখ্যায় ঢাকা বিভাগে ১ হাজার ৩০৫, যা ৪৮ দশমিক ৯১ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৬৭৩ জন, যা ২৫ দশমিক ২২ শতাংশ, রাজশাহী ১৪৪ জন, যা ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ, খুলনা ১৭৩ জন যা ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ, বরিশাল ১০০ জন যা ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ, সিলেটে ১২৫ জন, যা ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ, রংপুরে ৯০ জন যা ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৮ জন যা ২ দশমিক ১৭ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বুলেটিনে আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৮২৩ জনকে, আর এ সময়ে ছাড় পেয়েছেন ৮০২ জন। বর্তমানে মোট আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৬১২ জন। ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪৮৪ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৯ হাজার ৪৩২ জন।