স্টাফ রির্পোটার : এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় কয়েকটি পণ্যের দাম। তেল, চিনি, মাংস, ডিম ও ইলিশ মাছের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে স্থিতিশীল রয়েছে চাল, সবজি ও মুদির সামগ্রীসহ অন্য পণ্যের দাম।
বাজারে কার্প জাতীয় মাছের দাম স্থিতিশীল থাকলেও কমেছে দেশি ও নদীর মাছ। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে নগরীর সাহেববাজারে সবজির পর্যাপ্ত আমদানি থাকলেও দাম কমেনি। গত সপ্তাহের মতই স্থিতিশীল রয়েছে। কেজি প্রতি সবজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ১০০ টাকা। তেলের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ৪ টাকা, চিনি ২ টাকা, গরু ও মুরগির মাংস কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা ও ডিম হালি প্রতি বেড়েছে ৪ টাকা।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় নগরীর সাহেববাজারে গিয়ে দেখা যায়, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪৫ টাকা, রসুন ৮০ টাকা, আদা ১০০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা। সবজির বাজারে করলা ৬০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, ঢেড়স ৪০ টাকা, বরবটি ৫৫ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, আলু ২০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, লাউ ৩০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, কুরিকচু ৪০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, পেঁপে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০। অন্য দিকে এই সকল সবজি পাশের বাজার মাস্টারপাড়া এলাকায় কেজি প্রতি ৫ থেকে ৮ টাকা কম দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুদি সামগ্রীর বাজারে ৫ লিটারের রূপচাঁদা তেল বিক্রি হচ্ছে ৬৯৫ টাকা, তীর ৬৭৫ টাকা, ফ্রেশ ৬৭০ টাকা, বসুন্ধরা ৬৭৫ টাকা, চিনি কেজি প্রতি ৭৮ টাকা, মসুর ডাল ১০০ টাকা, সোনা মুগ ১৪০ টাকা, ছোলা বুট ৭০ টাকা, খেসারি ডাল ৮০ টাকা, কালাই ডাল ১৩০ টাকা, লবন ৩০ টাকা। চালের বাজারে আটাশ চাল ৫০ টাকা, মিনিকেট ৬০ টাকা, জিরাশাল ৬০ টাকা, বাসমতি ৬৮ টাকা, পায়জাম ৬০ টাকা, নাজিরশাল ৬৬ টাকা, কাটারিভোগ ৮৫ টাকা, শরনা ৪৮ টাকা, কালজিরা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, চিনিগুড়া ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, আউশ ৫৫ টাকা, বালাম ৬৫ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সাহেববাজারের শাহ্ আলম এন্ড সন্সের মালিক শাহ্ আলম জানান, তেল ও চিনি বাদে প্রতিটি পণ্যের দাম গত সপ্তাহের মত রয়েছে। তবে তেল ও চিনির দাম আরো বাড়তে পারে। ডিমের বাজারে সাদা ডিম হালি প্রতি ৩২ টাকা, লাল ডিম ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডিম বিক্রেতা শামীম আহমেদ জানান, কয়েকদিন থেকেই পাইকারি ভাবে একটু বেশি দামে আমাদের ডিম কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে।
মুরগির বাজারে গিয়ে দেখা যায় কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়েছে মুরগির দাম। দেশি মুরগি কেজি প্রতি ৩৬০ টাকা, সোনালী ২৬০ টাকা, ব্রয়লার ১৪০ টাকা, লেয়ার মুরগি ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুরগি বিক্রেতা মিঠু জানান, গত তিন দিন থেকে মুরগির আমদানি একটু কম। এখন নগরীতে শিক্ষার্থীরা এসেছে মেসগুলো খুলেছে তাই চাহিদা বেড়েছে। মুরগি ক্রেতা তানিয়া সুলতানা জানান, গত সপ্তাহের চেয়ে আজ মুরগির দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে যে মুরগি ২৫০ টাকায় কিনেছি আজ সেই মুরগি ২৬০ টাকায় কিনতে হয়েছে। বাজারে অন্য পণ্যের দামও আজ বেশি।
গরুর মাংসে কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে এখন ৫৬০ টাকা ও খাসির মাংস ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান জানান, হাটে গরুর আমদানি কম। আমাদের এখন বেশি দামে গরু কিনতে হচ্ছে তাই হঠাৎ দাম বেড়েছে গরুর মাংসে।
মাংস ক্রেতা লিটন আহমেদ জানান, হঠাৎ করেই গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহেই ৫৫০ টাকা কেজি দরে মাংস কিনলাম আজ ৫৬০ টাকায় সেই মাংস কিনতে হচ্ছে।
মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কার্প জাতীয় মাছের দাম গত সপ্তাহের মতই স্থিতিশীল রয়েছে। রুই মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল মাছ ১৬০ থেকে ৬৫০ টাকা, চিতল মাছ ৪৫০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকা, সিলভার ও কার্প জাতীয় মাছ ১৩০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে বেড়েছে ইলিশ মাছের দাম। কেজি প্রতি ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ১৬শো টাকায়। কমেছে দেশি ও নদীর মাছের দাম। ৫০ থেকে ১৫০ টাকা কমে দেশি ও নদীর মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪শো থেকে ৮শো টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিলো ৪শো থেকে এক হাজার টাকা। মাছ বিক্রেতা আইনুল হক জানান, কার্প জাতীয় মাছের দাম গত সপ্তাহের মতই রয়েছে। কিন্তু নদী ও দেশি প্রজাতির মাছের আমদানি অনেক বেশি তাই দাম কমেছে।
51