নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ বৃহস্পতিবার। সন্ধ্যা ৬:৫৯। ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫।

নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আলোচনায় আসা কে এই সুশীলা কার্কি

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫ ৮:৫১
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : নেপালে জেন-জেড প্রজন্মের নেতৃত্বে চলমান আন্দোলনে নতুন মোড় এসেছে। দুর্নীতি ও রাজনৈতিক অচলাবস্থার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ তরুণেরা দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছে। বুধবার এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এই প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয় বলে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রয়টার্সকে জানিয়েছেন।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত কেউ নেতৃত্বে আসবে না। নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার কারণেই সুশীলা কার্কির নাম সামনে এসেছে। তিনি নেপালের ইতিহাসে একমাত্র নারী প্রধান বিচারপতি ছিলেন এবং রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ অবস্থান ধরে রেখেছেন।

আরও পড়ুনঃ  বরেন্দ্রের পানিসংকট মোকাবিলায় জনসচেতনতার বিকল্প নেই

এই প্রস্তাব এসেছে এমন এক প্রেক্ষাপটে, যখন জেন-জেড আন্দোলনের তরুণেরা সরকারের প্রস্তাবিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধকরণ আইনকে কেন্দ্র করে সহিংস আন্দোলন শুরু করে এবং সরকারের পতন ঘটায়।

গত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত ২২ জন নিহত হন। বিক্ষুব্ধরা পরে দেশটির পার্লামেন্ট ভবন, প্রেসিডেন্টের কার্যালয়, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, রাজনৈতিক দলের কার্যালয় ও শীর্ষ নেতাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন।

কে এই সুশীলা কার্কি?

১৯৫২ সালের ৭ জুন নেপালের বিরাটনগরে জন্ম নেওয়া সুশীলা কার্কি রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৭২ সালে বিরাটনগরের মহেন্দ্র মরাং ক্যাম্পাস থেকে তিনি বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৫ সালে ভারতের বারাণসীর বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৭৮ সালে ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

আরও পড়ুনঃ  আফগানিস্তানে নারী সহায়তা কর্মীদের ওপর বিধিনিষেধ শিথিলের আহ্বান জাতিসংঘের

১৯৭৯ সালে বিরাটনগরে আইন পেশায় যোগ দেন কার্কি। পরে ১৯৮৫ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবেও কাজ করেন। ২০০৭ সালে তিনি সিনিয়র অ্যাডভোকেট হন। ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের অ্যাড-হক বিচারপতি এবং ২০১০ সালের ১৮ নভেম্বর স্থায়ী বিচারপতি নিযুক্ত হন। ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করার পর ১১ জুলাই ২০১৬ থেকে ৭ জুন ২০১৭ পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির পদে ছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  নীল বিকিনিতে সমুদ্রপাড়ে ঝড় তুললেন মিমি

তাঁর বিচারিক মেয়াদে বহু গুরুত্বপূর্ণ রায় এসেছে। বিশেষ করে ট্রানজিশনাল জাস্টিস ও নির্বাচনী বিরোধ নিয়ে। তবে ২০১৭ সালে তাঁর বিরুদ্ধে সংসদে অভিশংসন প্রস্তাব আনা হয়েছিল, যা প্রবল জনচাপ ও আদালতের নির্দেশে পরে প্রত্যাহার করা হয়।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি নেপালি কংগ্রেসের নেতা দুর্গা প্রসাদ সুবেদীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সুবেদীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল বারাণসীতে পড়াশোনার সময়।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।