ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরে পানিতে ডুবে দুই নাতি ও দাদি নিখোঁজ হন। পরে এক নাতি ও দাদির মরদেহ উদ্ধার করা হলেও অপর নাতি এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভাসানচর গ্রামের চৌধুরী বাজার এলাকায় কুমার নদে এই ঘটনা ঘটে।
মরদেহ উদ্ধার হওয়া দাদির নাম মালা বেগম (৬৮)। তিনি পশ্চিম ভাসানচর গ্রামের দিরাজউদ্দিন মৃধার স্ত্রী।
দুই নাতির নাম—দিরাজউদ্দিনের ছেলে তোতা মৃধার ছেলে তৌসিফ (৭) ও দিরাজউদ্দিনের আরেক ছেলে সারফুদ্দিন মৃধার ছেলে সোয়াদ (৬)।
মৃত ও নিখোঁজ সবাই পশ্চিম ভাসানচর গ্রামের মৃধা বাড়ির সদস্য। এর মধ্যে দাদি মালা বেগম ও তৌসিফের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোয়াদ এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
অম্বিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বারি চৌধুরী বলেন, দুপুরে বাড়ির পাশে কুমার নদে গোসল করতে গিয়ে আপন চাচাতো ভাই দুই শিশু সোয়াদ ও তৌসিফ পানিতে নামে। এক পর্যায়ে তারা ডুবে যায়। ওই সময় তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে দাদি মালা বেগমও পানিতে ডুবে যান।
স্থানীয় বাসিন্দা সাগর মোল্লা বলেন, তৌসিফ ও সোয়াদ ভাসানচর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। দুই নাতিসহ দাদির নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে এলাকার লোকজন জানতে পারেনি। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার দিকে নদীতে দুটি মৃতদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী ফরিদপুর দমকল বাহিনীকে খবর দেন। মৃতদেহ উদ্ধারের পর মালা বেগম ও তৌসিফের পরিচয় শনাক্ত হয়।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার মোহাম্মদ নিসার আলী বলেন, বিকেল পৌনে ৫টার দিকে দুটি মৃতদেহ নদীতে ভেসে উঠেছে বলে খবর পাই। সন্ধ্যা ৬টার দিকে সেখানে গিয়ে তাদের উদ্ধার করলে মৃতদেহের পরিচয় জানা যায়। এ সময় অপর এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে বলে এলাকাবাসী আমাদের জানান। কিছু সময় খোঁজার পর সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় আমরা অভিযান সমাপ্ত করি। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত যদি নিখোঁজ শিশুটির দেহ উদ্ধার না হয় তাহলে শুক্রবার সকাল থেকে আবার অভিযান শুরু করা হবে।