স্টাফ রিপোর্টার : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন আমাদের করতেই হবে। তিনি আরো বলেন, আমাদের গুড গভর্নেন্স দরকার। নারীদের ক্ষমতায়ন ছাড়া উন্নয়ন অসম্পূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আজ রাজধানীর বেইলি রোডের পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স ভবনের সেমিনার হলে “পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন ভাবনা” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা।
পার্বত্য অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন, কৃষিভিত্তিক জীবিকা, মানসম্মত শিক্ষা ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণসহ উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে গ্রুপভিত্তিক আলোচনা হয়। সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন সচিব মোঃ আব্দুল খালেক।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা তাঁর বক্তব্যে বলেন, যার যার স্থান থেকে ক্ষমতায়ন বাস্তবায়ন করা দরকার। তিনি নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তিনি জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামে লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্টে মোট বরাদ্দের ৪০% ব্যয় করা হবে এবং প্রকল্পের অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহারের ওপর জোর দেন তিনি।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা জানান, পার্বত্য অঞ্চলের ২০০টি স্কুল আধুনিকায়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ রয়েছে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, ডিজিটাল কনটেন্ট এবং শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আইবিএ ও বুয়েট-এর ক্যাম্পাস পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. মোঃ মহব্বত উল্লাহ, যিনি পার্বত্য অঞ্চলের জন্য উপযোগী উন্নত ফসলের জাত, টেকসই ভূমি ব্যবহার, বৃষ্টির পানি সংগ্রহ, এবং সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অংশীজন মন্ত্রণালয়ের এ অভিনব উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ভাবনায় তাদের মতামত তুলে ধরেন। তাদের মতামতের ভিত্তিতেই পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টগণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকলকে অবহিত করেন।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মং রাজা সাচিং, সুদত্ত চাকমা (উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান), এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মোঃ মনিরুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণ, তিন জেলার জেলা প্রশাসক, তিন পার্বত্য জেলার প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।