অনলাইন ডেস্ক : পাহাড়ে অস্থিরতার পেছনে কোনো ক্রীড়নক থাকলে খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াত ইসলামের আমির ডা. শফিকুল রহমান। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল রহমান বলেন, ‘এগুলো কীসের লক্ষণ? হঠাৎ করে পাহাড়ে এমন অস্থিরতার নেপথ্যে কারা আছে? অবিলম্বে উপযুক্ত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদের পেছনে কোনো ক্রীড়নক থাকলে তাকেও খুঁজে বের করতে হবে।’
জামায়াতের আমির বলেন, ‘খাগড়াছড়ি অখণ্ড বাংলাদেশেরই অংশ। জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের অনস্বীকার্য দায়িত্ব। এ বিষয়ে যথাযথ দৃষ্টি দেওয়া এখন অত্যন্ত প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে অন্তত ৩ জন নিহত হয়েছেন এবং একজন মেজরসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও ১৫ জন সদস্য আহত হয়েছেন।’
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদে আন্দোলনকারীদের সড়ক অবরোধ আর প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারার মধ্যেই গুইমারা উপজেলায় গোলাগুলি ও সংঘর্ষে অন্তত তিনজন নিহত হয়। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মেজরসহ ১৩ সেনাসদস্য, গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ওসিসহ তিনজন পুলিশ সদস্য এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে।
এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না।
এদিকে, সংঘর্ষের পর গুইমারা উপজেলায় মারমাদের বাজার হিসেবে পরিচিত রামসু বাজারে দোকানপাট ও বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও গুলিতে আহত কিছু ব্যক্তির ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
জুম্ম ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, সংঘর্ষের সময় পাহাড়িদের বাড়িঘর ও দোকানপাট পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে স্থানীয় বাঙ্গালিরা এসব ঘটনার জন্য পাহাড়ি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করছে।-ইত্তেফাক