অনলাইন ডেস্ক : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের জানাজা আজ বাদ জুমা ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হবে। শহরের রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কামাল ইবনে ইউসুফের জানাজা করার অনুমতি প্রশাসন দেয়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা থেকে তার লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স ফরিদপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ জানাজা শেষে বিকাল ৩টায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
বুধবার বেলা ১টার দিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যান ৫ বারের সাবেক সংসদ সদস্য কামাল ইবনে ইউসুফ।
ওই দিন বাদ এশা গুলশানের আজাদ মসজিদে প্রথম জানাজা শেষে তার লাশ ঢাকার বসুন্ধরার বাসভবনে রাখা হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতে তার লাশ ফরিদপুর শহরের ময়েজ মঞ্জিলে এসে পৌঁছলে সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের স্ত্রী, মেয়ে ও পরিবারের সদস্যরা লাশবাহী গাড়ির সঙ্গে ফরিদপুরে এসেছেন।
চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন। ২৯ নভেম্বর তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। এক সপ্তাহ ধরে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ স্ত্রী ও চার মেয়ে রেখে গেছেন।
১৯৪০ সালের ২৩ মে ফরিদপুরে জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ। তার পিতামহ চৌধুরী মঈজউদ্দিন বিশ্বাস জমিদার ছিলেন। তার বাবা চৌধুরী ইউসুফ আলী (মোহন মিয়া) ছিলেন ব্রিটিশ শাসনামলে মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় নেতা।
১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর ১৯৭৯ সালে দলটিতে যোগ দেন চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ। তিনি ফরিদপুর ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্টে কাউন্সিলর (ডিডিসি) ছিলেন। ফরিদপুর-৩ আসন থেকে তিনি দ্বিতীয়, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম জাতীয় সংসদে ধানের শীষ প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৮১ সালে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তার সরকারের স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নমন্ত্রী, ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং ২০০১ সালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী ছিলেন চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ।