নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ বুধবার। রাত ৩:২৩। ২৭ আগস্ট, ২০২৫।

ফিরে এসেছে শিশু-কিশোরদের প্রতিভা বিকাশের মঞ্চ ‘নতুন কুঁড়ি’

আগস্ট ২৬, ২০২৫ ৬:৫২
Link Copied!

প্রায় দুই দশক পর টেলিভিশনে উচ্চারিত হলো সেই পরিচিতি সুর—‘‘আমরা নতুন, আমরা কুঁড়ি…।’’ বিটিভিতে প্রচারিত এই সুরের খবর মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। মানুষ জানতে পারেন, শীঘ্রই শুরু হচ্ছে শিশু-কিশোরদের প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ‘নতুন কুড়ি’। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম ভিত্তি এই ‘নতুন কুড়ি’। দেশের সংস্কৃতির ইতিহাসে যে কয়েকটি আয়োজন বিনোদনের গণ্ডি পেরিয়ে নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও সত্তা নির্মাণের অংশ হয়েছে, তার মধ্যে ‘নতুন কুঁড়ি’ অন্যতম।

‘নতুন কুঁড়ি’র যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান টেলিভিশনে। কবি গোলাম মোস্তফার ‘কিশোর’ কবিতা থেকেই ‘নতুন কুঁড়ি’ নামের উৎপত্তি। সেই কবিতার প্রথম ১৫ লাইন হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানের সূচনাসংগীত, যা একসময় পুরো নতুন প্রজন্মের কণ্ঠে বেজে উঠত। স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সালে মোস্তফা মনোয়ারের হাতে পুনর্জন্ম ঘটে ‘নতুন কুঁড়ি’র। তখন থেকেই এটি শিশু-কিশোরদের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত মঞ্চে পরিণত হয়। বাংলাদেশ টেলিভিশনের পর্দায় সাপ্তাহিক সেই আয়োজন যেন হয়ে উঠেছিল এক জাতীয় উৎসব। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শহর—সবখানেই ‘নতুন কুঁড়ি’ নিয়ে শিশু-কিশোরদের মাঝে তৈরি হয়েছিল এক ধরনের উৎসাহ ও উদ্দীপনা।

‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতার মঞ্চে যাঁরা শৈশবেই প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন, তাঁদের অনেকেই পরবর্তী সময়ে হয়ে উঠেছেন দেশের নাটক, সংগীত, চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যমের অগ্রগণ্য মুখ। রুমানা রশিদ ঈশিতা, তারিন জাহান, মেহের আফরোজ শাওন, নুসরাত ইমরোজ তিশা, সামিনা চৌধুরী-সহ অনেকের প্রথম পাঠ ছিল এই ‘নতুন কুঁড়ি’। বলা যায়, ‘নতুন কুঁড়ি’র মঞ্চই তাঁদের শিল্পীজীবনের স্বপ্নযাত্রার সূচনা করে দিয়েছিল।

২০০৫ সালে ‘নতুন কুঁড়ি’ হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলেও এই প্রতিযোগিতার স্মৃতি থেকে গেছে অসংখ্য মানুষের হৃদয়ে। সেই মঞ্চে দাঁড়ানো প্রতিযোগীরা কেউ আজ প্রতিষ্ঠিত শিল্পী, কেউবা অন্য পেশায় নিয়োজিত। ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতা শুরুর সংবাদে অনেকেই স্মৃতিকাতর হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ লিখেছেন অংশগ্রহণের দিনগুলোর কথা, কেউ শেয়ার করেছেন পুরোনো ছবির অ্যালবাম—কখনো পুরস্কার হাতে দাঁড়িয়ে থাকা, কখনো মহড়া কিংবা যাত্রাপথের মধুর মুহূর্ত। সেইসব ছবিতে ধরা পড়েছে এক প্রজন্মের স্বপ্ন, সৃজনশীলতা আর শৈশবের নির্মল আনন্দ।

দীর্ঘদিন ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতা না থাকায় আক্ষেপ রয়েছে অনেকের মনে। কোনো পাড়া-মহল্লার প্রতিভাবান শিশুকে দেখলেই শিক্ষক-অভিভাবকদের মনে প্রশ্ন জাগত—“এখন যদি নতুন কুঁড়ি থাকত, তবে হয়তো এই শিশু জাতীয় মঞ্চে উঠে যেত।” সেই আক্ষেপের অবসান হতে যাচ্ছে। আবারও শুরু হচ্ছে ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতা। এবার আয়োজন আরও বিস্তৃত। ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতা ৩টি বিভাগে (অভিনয়, নৃত্য ও সংগীত) মোট ৯টি বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়সমূহ হচ্ছে : অভিনয়, আবৃত্তি, গল্পবলা/কৌতুক, সাধারণ নৃত্য/উচ্চাঙ্গ নৃত্য, দেশাত্মবোধক গান/আধুনিক গান, নজরুল সংগীত, রবীন্দ্র সংগীত, লোকসংগীত ও হামদ-নাত।

আরও পড়ুনঃ  পাকিস্তানের উপপ্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে জামায়াত প্রতিনিধি দলের বৈঠক

৬ বছর থেকে ১৫ বছর বয়সি ছেলে ও মেয়েরা এসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এই বয়সসীমাকে দুটি শাখায় ভাগ করা হয়েছে। ‘ক’ শাখার বয়সসীমা ৬ বছর থেকে ১১ বছরের নিম্নে এবং ‘খ’ শাখার বয়সসীমা ১১ বছর থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত। ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আবেদন গ্রহণ/রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া গত ১৫ই আগস্ট শুরু হয়েছে। আবেদন/রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া আগামী ৫ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।

অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক প্রতিযোগীরা বিটিভির ওয়েবসাইট (www.btv.gov.bd)-এ প্রবেশ করে নতুন কুঁড়ি ব্লকে গিয়ে গুগল ফর্ম যথাযথভাবে পূরণ করে বিনামূল্যে অনলাইনে আবেদন সাবমিট করতে পারবে। এছাড়া, বিটিভির ওয়েবসাইট থেকে ম্যানুয়্যাল আবেদন ফর্ম ডাউনলোডপূর্বক নির্ধারিত কাগজপত্র সংযুক্ত করে ই-মেইলে (notunkuribtv@gmail.com) কিংবা রেজিস্ট্রি ডাকযোগে বা কুরিয়ার সার্ভিসে ‘নতুন কুঁড়ি’, বাংলাদেশ টেলিভিশন, সদর দপ্তর, রামপুরা, ঢাকা-১২১৯ বরাবর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিনামূল্যে আবেদন প্রেরণ করতে পারবে। আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে নির্ধারিত স্থানে নাম ও তারিখ লিখে প্রতিযোগীর জন্মসনদ, সদ্যতোলা ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি এবং পিতা অথবা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত কপি সংযুক্ত/আপলোড করতে হবে। কোনো কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন না পৌঁছালে কিংবা মোবাইল ফোনে কারো এসএমএস প্রাপ্তিতে ত্রুটি দেখা গেলে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীরা স্পট রেজিস্ট্রেশন করে অডিশনে অংশ নিতে পারবে। প্রত্যেক প্রতিযোগীকে অডিশনের সময় অডিশন স্থানে (আঞ্চলিক/বিভাগীয়/ঢাকা পর্ব) এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও জন্মনিবন্ধন সনদের কপিসহ উপস্থিত হতে হবে। একজন প্রতিযোগী সর্বোচ্চ ৩টি বিষয়ে আবেদন করতে পারবে। আবেদনকারীদের গুগল ফর্ম অথবা ম্যানুয়্যাল ফর্মের যেকোনো একটি পদ্ধতি অনুসরণ করে আবেদন করতে হবে।

দেশের ৬৪টি জেলাকে ১৯টি অঞ্চলে বিভক্ত করে ১৯টি অডিশন কমিটির মাধ্যমে ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত প্রাথমিক বাছাই সম্পন্ন হবে। ২৩শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বিভাগীয় বাছাই অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় ৮ বিভাগ থেকে প্রতিটি শাখার প্রতিটি বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ৫ জন করে মোট ৭২০ জন প্রতিযোগী বাছাই করা হবে। বাছাইকৃত ৭২০ জন প্রতিযোগী ঢাকা পর্বের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। ২রা অক্টোবর ২০২৫ থেকে ৩১শে অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত ঢাকা পর্বের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ২রা নভেম্বর ২০২৫ থেকে ৬ই নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত ‘নতুন কুঁড়ি’র ফাইনাল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ফাইনাল প্রতিযোগিতায় প্রতিটি শাখার প্রতিটি বিষয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী এবং দুই শাখার শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পীকে পুরস্কার, নগদ অর্থ ও সনদ প্রদান করা হবে।

আরও পড়ুনঃ  বড়াইগ্রামে শাখা-সিঁদুর পড়া ৩ মুসলিম নারী আটক!

গত ১৭ই আগস্ট রামপুরায় বিটিভি ভবনে ‘নতুন কুঁড়ি’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে গিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলম বলেন, শহিদ জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বিটিভিতে নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনা সরকার রাজনৈতিক কারণে এই প্রতিযোগিতা বন্ধ করে দেন। বর্তমান সরকার রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে গিয়ে ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতা শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে। উপদেষ্টা আরও বলেন, যাঁরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের সবারই আকাঙ্ক্ষা ছিল একটা নতুন বাংলাদেশ। আর নতুন বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের জন্য এই ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের শিল্পী, গায়ক ও সংস্কৃতিকর্মী তৈরি হবে বলেও উপদেষ্টা আশাপ্রকাশ করেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ টেলিভিশনের কর্মকর্তারা ‘নতুন কুড়ি’ প্রতিযোগিতার সার্বিক বিষয় সমন্বয় করছেন। গত ২১শে আগস্ট তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলমের সভাপতিত্বে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলাপ্রশাসকদের সঙ্গে ‘নতুন কুড়ি’ প্রতিযোগিতার সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় উপদেষ্টা বলেন, ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক বাছাইয়ে জেলাপ্রশাসন এবং বিভাগীয় বাছাইয়ে বিভাগীয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি প্রতিযোগিতার বিচার কার্যক্রমে নিরপেক্ষতা নিশ্চিতকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতায় যেন ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের শিশু-কিশোররা অংশগ্রহণ করতে পারে, সেই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য তিনি জেলাপ্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রকৃত বাস্তবতা হলো, ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতায় শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণের বিষয়টি কেবল তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল নয়। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের প্রেরণা, সঠিক দিকনির্দেশনা এবং অভিভাবকদের সচেতনতা ও সহযোগিতা মুখ্য ভূমিকা পালন করে। শিশুর মনে যতই স্বপ্ন উঁকি দিক না কেন, যদি পাশে পথপ্রদর্শক শিক্ষক ও সহানুভূতিশীল অভিভাবক না থাকেন, তবে সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে পারে না।

অনেক সময় দেখা যায়, প্রতিভাবান শিশুরা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চাইলেও শিক্ষকদের উদাসীনতা বা অভিভাবকদের অনাগ্রহের কারণে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। এর ফলে শুধু একটি শিশুই নয়, গোটা সমাজই একটি সম্ভাবনাকে হারিয়ে ফেলে। অন্যদিকে, যারা সঠিকভাবে উৎসাহ পায়, যাদের পাশে শিক্ষক ধৈর্য নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন এবং অভিভাবক আত্মবিশ্বাস জোগান, তারাই প্রতিযোগিতার মঞ্চে নিজেদের মেধা ও সৃজনশীলতাকে বিকশিত করার সুযোগ পায়। একটি শিশুর প্রতিভা বিকাশ প্রকৃতপক্ষে শিক্ষক, অভিভাবক ও পরিবেশ—এই ত্রিমাত্রিক সহযোগিতার ফসল।

আরও পড়ুনঃ  রিমান্ডের পর অসুস্থ, আইসিইউতে শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে

শিক্ষক ও অভিভাবকরা যদি শিশু-কিশোরদের অনুশীলনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দেন এবং মানসিক সাহস জোগান, তাহলে শিশু-কিশোররা প্রতিযোগিতায় শুধু ভালোই করবে না; বরং তাদের আত্মবিশ্বাস বহু গুণে বৃদ্ধি পাবে। ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতায় বিষয় নির্ধারণের প্রসঙ্গটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শিশু-কিশোরদের মানসিকতা, বয়স ও আগ্রহকে উপেক্ষা করে যদি বিষয় নির্ধারণ করা হয়, তবে তা তাদের সৃজনশীলতাকে বিকশিত না করে উলটো শৃঙ্খলিত করে ফেলে। অপ্রাসঙ্গিক বা চাপিয়ে দেওয়া বিষয় শিশুর মনের দরজা খুলে দেয় না, বরং তাকে দ্বিধাগ্রস্ত ও বিমুখ করে তোলে। অন্যদিকে, বিষয় নির্বাচনে যদি শিশু-কিশোরদের স্বাভাবিক আগ্রহ, কল্পনা ও আবেগকে বিবেচনায় রাখা হয়, তাহলে তারা তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবে।

‘নতুন কুঁড়ি’-র মতো প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য হলো, শিশুদের অন্তর্নিহিত প্রতিভাকে আবিষ্কার ও বিকশিত করা। আর এই কাজটি সম্পূর্ণভাবে সম্ভব তখনই, যখন শিক্ষক হবেন সহমর্মী পথপ্রদর্শক, অভিভাবক হবেন সাহসদাতা, আর পরিবেশ হবে উৎসাহব্যঞ্জক। একটি শিশুর হাতে যখন তুলে দেওয়া হয় উপযুক্ত বিষয়, আর তাকে ঘিরে থাকে বিশ্বাস ও ভালোবাসা, তখনই তার ভেতরের লুকানো সম্ভাবনাটি প্রস্ফুটিত হয়।

‘নতুন কুঁড়ি’ শিশু-কিশোরদের কাছে শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং শিল্পজীবনের প্রথম পাঠশালা। অল্প বয়সে মঞ্চে দাঁড়িয়ে গানের সুর তোলা, কবিতার ছন্দে ভেসে যাওয়া বা নাটকের সংলাপ উচ্চারণ করা—এসব অভিজ্ঞতা শিশু-কিশোরদের সারাজীবনের আত্মবিশ্বাস গড়ে দেয়।

আজকের দিনে যখন ইউটিউব, ফেসবুক কিংবা টিকটক শিশু-কিশোরদের বিনোদনের প্রধান মাধ্যম, তখন ‘নতুন কুঁড়ি’র মতো একটি আয়োজনে ফিরে আসা নিঃসন্দেহে ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে। ‘নতুন কুঁড়ি’র মঞ্চে শিশু-কিশোররা শিখবে—কীভাবে শিল্পের ভাষায় নিজেকে প্রকাশ করতে হয়। এখানে প্রতিযোগিতা যেমন থাকবে, তেমনি থাকবে শেখার আনন্দ, সহযোগিতার চেতনা এবং আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার সুযোগ। এবারের ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতা স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে এবং এর মাধ্যমে উঠে আসবে ভবিষ্যতের গুণী শিল্পী—এমনটাই প্রত্যাশা।

লেখক : মো. মামুন অর রশিদ
বিসিএস তথ্য ক্যাডারের সদস্য এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা পদে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে কর্মরত

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।