নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ রবিবার। সকাল ১১:৪৩। ১৭ আগস্ট, ২০২৫।

বরিশালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের মধ্যে উত্তেজনা

ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫ ৯:৪৪
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটলে উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসে কলেজ প্রশাসন।

দীর্ঘ সময়ের বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে ৩টায় উভয় পক্ষ জানিয়েছে- তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভুল বোঝাবুঝি থেকে একটি ঘটনা ঘটেছে। যেখানে তৃতীয় পক্ষ ফায়দা লুটতে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। তবে কলেজ অধ্যক্ষসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের মহানগর এবং জেলার নেতাদের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধানের দিকে গড়িয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  রাকসু নির্বাচনে সাবেক সমন্বয়কের স্বতন্ত্র প্রার্থিতা ঘোষণা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলার সদস্য সচিব এস এম ওয়াহিদুর রহমান বলেন, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বরিশালে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) থেকেই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে একটি কর্মসূচি ছিল। সেখানে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। সেখানে যারা হামলা চালিয়েছে তারা নিজেদের ছাত্রদলের কর্মী পরিচয় দিয়েছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে ছাত্রদলের মহানগরের নেতারা ও আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ঘটনাস্থলে আসি।

তিনি বলেন, এরপর আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যার মধ্যে হাতেম আলী কলেজে যারা রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিচালনা করবে তাদের এ কলেজেরই হতে হবে, বহিরাগত কেউ এসে এখানে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।

আরও পড়ুনঃ  গোদাগাড়ীতে ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও প্রতিবন্ধীদের সহায়ক উপকরণ বিতরণ

সভা শেষে বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি বলেন, স্লোগানকে কেন্দ্র করে হাতেম আলী কলেজে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তার পেছনে নামধারী কিছু ছাত্র রয়েছে। এরা ছাত্রদলের কেউ না। আমরা এটিকে বড় আকারের কিছু হতে দিতে চাই না। তাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। যেখানে কলেজ প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করেছে।

তিনি বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা সরকারবিরোধী আন্দোলনে আমরা সবাই হাতে হাত মিলিয়ে রাজপথে ছিলাম, আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। বিষয়টি সমাধানের পাশাপাশি তিন-চারটি বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। যেখানে দুই পক্ষই সম্মত হয়েছি।

আরও পড়ুনঃ  দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি জানে না: ডা. জাহিদ

এদিকে সভা শুরুর আগে যদিও কলেজের অধ্যক্ষ হারুণ অর রশিদ হাওলাদার বলেন, কলেজের একটি অনুষ্ঠান ছিল, এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করতে চেয়েছেন। আর সেই মিছিলে যোগ দিতে বহিরাগত সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এলে ছাত্রদলের অনুসারীরা তাতে ক্ষুব্ধ হন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি, হাতাহাতি হয়, তবে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।

যদিও বৈঠক শেষে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সবাই একযোগে কাজ করার ঘোষণা দেওয়ায় তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।