স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি)-এর মাননীয় উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রথিতযশা অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিক্ষা সংস্থা এসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিজ (Association of Commonwealth Universities)-এর কাউন্সিল সদস্য হিসেবে মনোনিত হয়েছেন।
উচ্চশিক্ষায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, গুণগত মানোন্নয়ন ও শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিশ্বের প্রাচীনতম এবং সম্মানজনক এই সংস্থাটি ১৯১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে সংস্থাটির সদস্য সংখ্যা ৪০০-এরও বেশি, যা কমনওয়েলথভুক্ত বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে প্রতিনিধিত্ব করে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর এসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিজ (এসিইউ) কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে যুক্তরাজ্য, কানাডা, শ্রীলংকা, নামিবিয়া ও বাংলাদেশ—এই পাঁচ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেওয়া হয়। বাংলাদেশ থেকে একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম এই মর্যাদাপূর্ণ পদে মনোনিত হন। তিনি ১ আগস্ট ২০২৫ থেকে ৩১ আগস্ট ২০২৮ পর্যন্ত এসিইউ কাউন্সিলে দায়িত্ব পালন করবেন। এই সময় তিনি বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও শ্রীলংকার বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জের এই কৃতিসন্তান অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম নিভৃতে নিরলস পরিশ্রম করে তাঁর সততা, সাহসী নেতৃত্ব, প্রজ্ঞা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনন্য উচ্চতায় এগিয়ে নিয়েছেন।
অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম বাউবিতে উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ৩১ বছর ধরে অধ্যাপনায় যুক্ত ছিলেন। তাঁর পূর্ববর্তী বর্ণাঢ্য একাডেমিক জীবনে তিনি মনবুশো (Monbusho) স্কলারশিপ-এর আওতায় জাপানে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে জার্মানির আলেকজান্ডার ভন হামবুল্ড ফাউন্ডেশন ফেলোশীপ (Alexander von Humboldt Foundation), যুক্তরাজ্যে কমনওয়েলথ একাডেমিক স্টাফ ফেলোশীপ (Commonwealth Academic Staff Fellowship) এবং নেদারল্যান্ডে ইরাসমাস মুন্ডাস ফেলোশীপ (Erasmus Mundus Fellowship)-এর আওতায় পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন।
অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলামের এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা অঙ্গনে গৌরবের নতুন অধ্যায় রচনা করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, তাঁর মেধা, গবেষণা অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বগুণ এশিয়া অঞ্চলের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এই গৌরবময় অর্জনের জন্য বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা গর্বিত ও আনন্দিত। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার তাঁর অধিকতর সফলতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছে।