হেলাল উদ্দীন, বাগমারা : কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিয়ে ড. মুহাম্মদ আবদুল মুমীত এঁর লেখা “ঘটনাবহুল ৩৬ জুলাই” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস- চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. কুদরত-ই- জাহান প্রধান অতিথি থেকে “ঘটনাবহুল ৩৬ জুলাই” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। রাজশাহীর বাগমারা প্রেসক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি রাশেদুল হক ফিরোজ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ভবানীগঞ্জ ক্লিনিকের পরিচালক জামায়াত ইসলামের বাগমারা আসনের প্রার্থী আবদুল বারী সরদার, বিএনপির উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল গাফফার, এনসিপির উপজেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী আলী মুর্তজা, নলডাঙ্গা উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আনসারি, বাগমারা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আসাদুল ইসলাম, ভবানীগঞ্জ সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক মামুনুর রশিদ।
গ্রন্থের লেখক ড. মুহাম্মদ আবদুল মুমীত বাগমারা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে একাডেমিক সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত। তিনি রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখির সঙ্গে জড়িত। শিক্ষা নিয়ে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
গত বছররের ছাত্র-জনতার কোটা বিরোধী আন্দোলনের পটভূমি, ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা ও তথ্য চিত্র দিয়ে সমৃদ্ধ করা হয়েছে গ্রন্থটি। কোটা বিরোধী আন্দোলন কবে থেকে শুরু এবং কীভাবে শেষ হলো তা উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে কালো প্রকাশনী। জুলাই বিপ্লব কীভাবে সফল হয়েছিল, কোন কোন পথ ধরে ছিল জুলাই বিপ্লবের প্রবাহের প্রতিটি শিরা উপশিরা তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। জুলাইয়ের ৩৬ দিনের দিনলিপি রয়েছে।
বক্তারা বলেছেন, বইটিতে জুলাই আন্দোলনের প্রতিটি বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে। কোনো দল বা ব্যক্তির মাধ্যমে প্রভাবিত না হয়ে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে গ্রন্থটিতে। এমন সময়ে গ্রন্থটি প্রকাশ করা হয়েছে,যা যুগোপযোগী। জুলাই ইতিহাস বিকৃতি ঠেকাতে ড. মুহাম্মদ আবদুল মুমীতের “ঘটনাবহুল ৩৬ জুলাই” অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে বাগমারা ছাড়াও আশপাশের উপজেলার সূধীজন, জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ফুলবাড়ি রেনেসাঁ হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক ও বাংলাদেশ বেতার রাজশাহীর উপস্থাপক কামাল উদ্দীন।