মোহা: আসলাম আলী, স্টাফ রিপোর্টার বাঘা : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার এক কিটনাশক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তিন লাখ টাকা চাঁদা নেওয়া অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম এর বিরুদ্ধে। এছাড়াও ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে তার বক্তব্য নিতে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি প্রথম আলোর রাজশাহীর চীফরির্পোটার আবুল কালাম আজাদ এর ভাই তোমার মত সাংবাদিককে গোনার সময় আমার নাই বলে সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বলেন, ‘চাঁদা নিয়েছি, তোমার কাছ থেকেও নেবো’। ভুক্তভোগী মো. রবিউল হাসান একই এলাকার ব্যবসায়ী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আদালতের নির্দেশে পূর্বের একটি জের মামলা আপস-মীমাংসা হওয়ার পরও বিবাদী মো. রেজাউল করিম পূর্ব শত্রুতার জেরে তার কাছ থেকে পুনরায় তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি বলেন, চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রেজাউল করিম একাধিকবার তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন, যার অডিও প্রমাণ তার মোবাইলে সংরক্ষিত রয়েছে। হুমকি দিয়ে তিনি ইতোমধ্যে তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে আদায় করেছেন। এছাড়া ও দুই লাখ টাকা ক্যাশ নিয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগী।
তিনি আরও বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে রেজাউল করিম ও তার অনুসারীরা বাউসা ইউনিয়নে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, বাড়িঘর ভাঙচুরসহ নানা অপরাধে জড়িত পড়েছে। একবার তাকে গ্রেপ্তার করে মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হলেও সে আবারও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
ভুক্তভোগী মো. রবিউল হাসান বলেন, ‘আমার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছে। আমার দেওয়া চেক থেকে আখের মেম্বারের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা উঠিয়েছেন তিনি। বাকি দুইলাখ নগদে নিয়েছেন। এখন তারা আরও টাকার দাবি করছেন। কিন্তু আমার কাছে আর কোনো টাকা নেই যে, আমি তাকে দিবো। আজ প্রায় ১৫ দিন ধরে আমি গৃহবন্দি, বের হতে পারছি না। ওই নেতা আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন।’
এবিষয়ে বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের প্রতিবেদককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং বলেন, ‘আমি চাঁদা নিয়েছি, প্রয়োজনে আপনার কাছ থেকেও নেবো বলে হুমকি দেন এই নেতা। একইসঙ্গে তিনি প্রতিবেদকের আর্থিক অবস্থা, পড়াশোনা এবং ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েও কটূক্তি করেন।
এবিষয়টি বাউসা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিমকে মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করে তার ফোনটি রিসিভ হয় নাই। ফলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব আশরাফ আলী মলিন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে এবিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, ‘আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলাম না। যেহেতু এখন জেনেছি, এ বিষয়ে সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।