নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা সোমবার। সকাল ১১:৪৬। ৩০ জুন, ২০২৫।

বিএনপি কারও ওপর নির্যাতন করতে চায় না: শামা ওবায়েদ

এপ্রিল ৫, ২০২৫ ৫:৪৮
Link Copied!

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি : বিএনপির কোনো কর্মীর ওপর ফুলের টোকা পড়লেও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আইনের আশ্রয়ে আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগীয়) শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু।

ফরিদপুরের সালথায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি পরিদর্শনকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সংঘর্ষস্থল উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মুরুটিয়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি পরিদর্শন করেন।

এ সময় স্থানীয় ও উপজেলা বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। শামা ওবায়েদ ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী।

আরও পড়ুনঃ  এনবিআরের শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার

পরিদর্শনকালে শামা ওবায়েদ ওই গ্রামের বাসিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফছার মাতুব্বরকে ঘটনার জন্য দায়ী করেন এবং তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করেন।

তিনি বলেন, যদি আফছার চেয়ারম্যান এই সমাজে সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে চান, তাহলে তাকে দলমত নির্বিশেষে মিলেমিশে চলতে হবে। আর যদি এ ধরনের অন্যায় কাজ করেন, তাহলে তাকে আইনের আওতায় নেব।

শামা ওবায়েদ আরও বলেন, আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার, বিএনপি কারও ওপর নির্যাতন করতে চায় না। কেউ যদি খালেদা জিয়ার, তারেক রহমানের কিংবা আমার কোনো নেতা-কর্মীর ওপর ফুলের টোকা দেয়, তাহলে তাকে আইনের আশ্রয় নিতে হবে। আমরা সালথায় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করতে চাই। সেই শান্তি যদি কেউ বিনষ্ট করে অশান্তি তৈরি করেন, তাদের কাউকে প্রশাসনের ছাড় দেওয়া উচিত না।

আরও পড়ুনঃ  ‘যারা পিআর পদ্ধতি চাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল করা’

স্থানীয় বিএনপি নেতা মিন্টু মিয়াকে নিরাপদ দাবি করে তিনি বলেন, মিন্টুর দোষ ছিল রোজার মাসে বিএনপির ইফতার পার্টিতে যোগ দেওয়া। এ কারণে নিরাপরাদ লোকের বাড়িতে হামলা হয়েছে -এটা মেনে নেওয়া যায় না।

এ সময় তিনি নেতা-কর্মীদের ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানান। এছাড়া এ ঘটনা সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীরা কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনার কথা জানান।

আরও পড়ুনঃ  কুমিল্লায় হিন্দু নারীকে ধর্ষণ ইস্যুতে জামায়াত আমিরের কঠোর বার্তা

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের প্রায় ২০টি বসতঘর ভাঙচুরসহ দুটিতে আগুনও দেওয়া হয়। এছাড়া আহত হন ২৫ জন। এ ঘটনায় এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন মাঝারদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হারুন মিয়ার ছেলে মিন্টু মিয়া এবং অপরপক্ষের নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আফছার মাতুব্বরের সমর্থক বেলায়েত মোল্যা।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।