স্টাফ রিপোর্টার : বাজারে আগাম উঠেছে শীতের সবজি শিম। দাম প্রতিকেজি ১৬০ টাকা। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম ১২০ টাকা কেজি। ফুলকপির দামও ব্রয়লার মুরগির কাছাকাছি। প্রতি কেজি ফুলকেপি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা দরে। এক সপ্তাহ আগেও ফুলকপির দাম ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।
শুক্রবার রাজশাহীর বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। কাঁচাবাজারগুলোতে বেড়েই চলেছে সবজির দাম। গতসপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে কেজি প্রতি সবজির দাম বেড়েছে ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা পর্যন্ত। সবজির দামে ক্রেতারা দিশেহারা হয়ে ঘুরছেন এ দোকান থেকে ও দোকান।
বাজারে প্রতিকেজি সবজির দাম সর্বনিম্ন ৪০ টাকা। তবে, সেঞ্চুরিতে ঠেকা পেঁয়াজের দাম দু-সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। দেশি পেঁয়াজ ৮৫ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দু-সপ্তাহ আগে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হলেও দাম বেড়েছে কাঁচামরিচের। প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। অন্যান্য সবজির মধ্যে করলা ৬০ টাকায়, কাঁকরোল ৫০ টাকা, আলু ৩৫ টাকা, ঝিঙ্গা ৪৫ টাকা, শসা ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, দেশি গাজর ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সোলেমান আলী নামের সবজি বিক্রেতা জানান, বাজারে প্রতি কেজি সাদা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায় যা গত সপ্তাহে ছিলো ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। ৬৫ টাকা দরের দেশি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়, ৫৫ টাকার করলা ৬০ টাকায়, ৩০ টাকার কাকরোল ৪০ টাকা, ৩০ টাকার আলু ৩৫ টাকা, ৩০ টাকার ঝিঙ্গা ৪৫ টাকা, ৫০ টাকার শসা ৬০ টাকা, ২৫ টাকার মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, ৩৫ টাকার পটল ৪০ টাকা, ২৫ টাকার চাল কুমড়া ৩৫ টাকা, ২০ টাকার মুলা ৩০ টাকা, বরবটি ৩০ টাকা, ৩০ টাকার পেঁপে ২০ টাকা, ২৫ টাকার ঢেঁড়স ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিকেজি সাদা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায় যা গত সপ্তাহে ছিলো ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এদিকে প্রতিকেজি সোনালী মুরগি ১৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৫০ টাকা এবং লেয়ার ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫২০ থেকে ৫৩০ টাকায়, খাসির মাংস ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায়। বাজারে এখন সিলভার কার্প ১২০-১৩০ টাকা, পাঙ্গাশ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, চিংড়ি ও গলদা চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, পাবদা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, কালবাউশ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও রুই মাছ ওজনভেদে প্রতিকেজি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা, কাতল ২৫০ টাকা, শিং ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, ট্যাংরা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা সবজির দাম নিয়েই বেশি উদ্বিগ্ন। সাইফুল নামের এক ক্রেতা জানান, সবজির দাম শুনে মাথা খারাপ হওয়ার অবস্থা। বাড়তেই আছে দাম। ৪০ টাকার বেগুন ৮০ টাকা। ৪০ টাকার কম সবজি নাই। পালং শাক কিনলাম ৮০ টাকা কেজি। দামের কারণে সবজি ছোঁয়া যাচ্ছে না।
বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বন্যা ও অতিরক্তি বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা তৈরিতে নষ্ট হয়েছে সবজির আবাদ। ফলে বাজারে সরবরাহ কম। এতে সবজির দামও বাড়ছে।