ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি : ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার ও জমি-সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সোমবার (৩ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনেও গোপীনাথপুর ও হামিরদী দুই গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ২০টি ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, রোববার দু’পক্ষের সংঘর্ষের জেরে সোমবার সকালে মিন্টু নামের এক ছেলেকে মারধর করে কুদ্দুস মাতুব্বর দলের লোকজন। এরপর পরই দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও সড়কের ইট নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় বেশকিছু বাড়িঘরে ভাঙচুর, লুটপাট চালানো হয়। এ ঘটনায় আহতরা ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তানজীরুল ইসলাম মামুন জানান, রোববার (২ নভেম্বর) হামিরদী ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর জেরে আজকে আবারও সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ১৫ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন জানান, রোববার (২ নভেম্বর) সূত্র ধরে রোববার সকাল থেকে দুই দল গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়ায়। এতে বেশ কিছু বাড়ি ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে সাইমন মাতুব্বর ও কুদ্দুস মাতুব্বারের দলের লোকজনের মধ্যে একটি জমি মাপা নিয়ে শালিস হওয়ার কথা ছিল। শালিস বৈঠকে বসা নিয়ে দুই দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এই সংঘর্ষ বিকেল তিনটা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলতে থাকে। এতে উভয় পক্ষের আহত হয়েছেন ৫৫ জন।

