নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা বুধবার। রাত ৩:১৪। ১৪ মে, ২০২৫।

মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় ১৭ মে

মে ১৩, ২০২৫ ৩:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : মাগুরার আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায়ের দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৩ মে) বেলা ১১টার দিকে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আগামী শনিবার (১৭ মে) দিন ধার্য করেন বিচারক এম জাহিদ হাসান।

এর আগে, জেলা কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে আনা হয়। এ পর্যন্ত মামলার বাদীসহ মোট ২৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১২ মে) সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়ে দুপুর ১২টায় শেষ। প্রথম দিন কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় মঙ্গলবার (১৩ মে) আবারও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা মামলার বিভিন্ন তথ্য ও প্রমাণ বিশ্লেষণ করে আদালতে যুক্তি তুলে ধরেন।

আরও পড়ুনঃ  পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার সামনে যাওয়ার চেষ্টা জনতার

চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মকুল বলেন, মাগুরার চাঞ্চল্যকর আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার যুক্তিতর্কের দিন ধার্য ছিল। আদালতে সকালে এই বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের উপস্থিতিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। এরপর মামলার রায়ের জন্য ১৭ মে দিন ধার্য করেন আদালত।

এই মামলায় মোট ২৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলাটিতে সাতটি জব্দ তালিকা ছিল। এই সাতটি জব্দ তালিকায় ১৬ জন সাক্ষী ছিলেন। যার মধ্যে ১২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে তাদের জব্দ তালিকাকে সত্যায়ন করেছেন। জব্দ করা আলামতকে আদালতে সত্যায়ন করেছেন। এই মামলায় তিনটি মেডিকেল সার্টিফিকেট ছিল। পাঁচ ডাক্তার মেডিকেল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর করেছিলেন। তারা ইতোমধ্যে আদালতে সাক্ষী দিয়ে মেডিকেল সার্টিফিকেটকে সমর্থন করে বক্তব্য দিয়েছেন এবং মেডিকেল সার্টিফিকেটে তারা তাদের স্বাক্ষর শনাক্ত করেছেন। এ মামলায় ২৯ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়ে আদালতে আসামি হিটু শেখের বিরুদ্ধে ২০০০ সালে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধিত আইন ২০০৩ এর ৯ এর দুই ধারাকে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সম্পূর্ণ রূপে সক্ষম হয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  রাজনৈতিক দলের বিচারের বিষয়ে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত : চিফ প্রসিকিউটর

গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচার কাজ শুরু হয়।

আরও পড়ুনঃ  শ্রীলঙ্কায় সিরিজ জিতে দেশে ফিরলেন তামিম-জাওয়াদরা

প্রসঙ্গত, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রাম থেকে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছর বয়সী শিশুটি। ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টাও করা হয়। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ মার্চ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।