স্টাফ রির্পোটার : মাত্র একঘণ্টার ব্যবধানে ৬ লাখ টাকা ছিনতাই নাটকের রহস্য উদঘাটন করলো নগর পুলিশ। রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান , নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভদ্রা-জামালপুর গ্রামের মৃত হাবিব উদ্দিন এর ছেলে নূরে হাবিব ডুজন (৩৮) বোয়ালিয়া মডেল থানায় লিখিত অভিযোগে জানান যে, সোমাবার (১১ জানুয়ারি) বিকেল অনুমান ৩:১০ টায় প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড, আলুপট্টি শাখায় তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে ছয় লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন। টাকা শপিং ব্যাগে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার পথে ৩.১৫ টায় কুমারপাড়াস্থ এসএ পরিবহণের সামনে দিয়ে ডিজিএফআই অফিসের পার্শ্বে পৌঁছালে রাণীবাজারের দিক থেকে একটি কালো কালারের মোটর সাইকেলে ২ ব্যক্তি মাথায় হেলমেট পরিহিত অবস্থায় এসে মোটর সাইকেলে ধাক্কা দিয়ে তার কাছে থাকা টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে আলুপট্টির দিকে চলে যায়। এই অভিযোগে বোয়ালিয়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
মামলার পর পুলিশ কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক-এর নির্দেশ ও পরিকল্পনায় অফিসার ইনচার্জ নিবারণচন্দ্র বর্মন পিপিএম এর নেতেৃত্বে তদন্তকারী অফিসার এসআই মো. গোলাম মোস্তফাসহ পুলিশ টিম সর্বাত্মক অভিযান চালায়। তদন্তকালে বাদী নূরে হাবিব ডুজন (৩৮) কে ঘটনার বিষয়ে ব্যাপক ও নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড-এর সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ ও নূরে হাবিব ডুজন (৩৮) এর অ্যাকাউন্ট এর স্টেটমেন্ট সংগ্রহপূর্বক পর্যালোচনায় দেখা যায়, বাদীর ওই অ্যাকাউন্টে মাত্র ৮৩/ টাকা আছে এবং ওই ব্যাংকে তার অ্যাকাউন্ট থেকে সোমবার কোনো টাকা উত্তোলন করেন নি। সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজেও ব্যাংকে তার অবস্থানের কোনো তথ্যচিত্র নাই। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে নূরে হাবিব ডুজন ঘটনার বিষয়ে একেক সময় একেক ধরনের কথাবার্তা বলতে শুরু করে। একপর্যায়ে সে স্বীকার করে এবং লিখিতভাবে জানায় তার বড় ভাই মো. রওশন আলী (আমেরিকা প্রবাসী) এর ডিপিএস থেকে ৬ ছয় লক্ষ টাকা উত্তোলন করে খরচ করে দিয়েছেন। প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড, শ্যামলী শাখা, ঢাকায় তার ডিপিএস ছিল। সে ডিপিএস থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা উত্তোলন করায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ৬ ছয় লক্ষ টাকা কেটে নিয়ে অবশিষ্ট টাকা তাকে প্রদান করে। নূরে হাবিব ডুজন এর বড় ভাইয়ের টাকা তাকে না জানিয়ে খরচ করে দেয়ায় সে ছয় লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার অবতারণা করেছে। মামলাটির তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করায় পেনাল কোড ১৮২ ধারায় প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে। খবর আরএমপি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
104