অনলাইন ডেস্ক : বৃটেন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বিশ্বে কয়েকটি দেশে করোনার টিকা প্রয়োগের পর এবার লাতিন আমেরিকার দেশ মেক্সিকোতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার লাতিন আমেরিকার প্রথম ব্যক্তি হিসাবে একজন মেক্সিকান নার্সকে ফাইজার/বায়োএনটেকের উৎপাদিত করোনার টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। মেক্সিকোতে টিকা প্রদান শুরু করার অল্প সময়ের ব্যবধানে চিলি ও কোস্টারিকা দেশ দু’টিও টিকা দেওয়া শুরু করেছে।
বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণের তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে মেক্সিকো। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
মেক্সিকোতে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও জার্মান ভিত্তিক বায়োএনটেকের উদ্ভাবিত করোনা টিকার ৩ হাজার ডোজের প্রথম চালানটি হাতে পাওয়ার পরই দেশটি তাদের টিকা প্রয়োগ শুরু করলো।
মেক্সিকো সিটির রুবেন লেয়ারো হাসাপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের প্রধান মারিয়া আইরিন রামিরেজ (৫৯) স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে প্রথম এই টিকা গ্রহণ করলেন। এ সময় দেশটির সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, আমরা ভয়ের মধ্যে আছি, তবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আর আমি এই সারিতে থাকতে চাই বলেও জানান মারিয়া।
মেক্সিকো ফাইজারের এই টিকার ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজ ক্রয় করেছে। যার মধ্যে বেলজিয়াম থেকে বুধবার দেশটিতে প্রথম চালান হিসাবে ৩ হাজার ডোজ পাঠানো হয়।
টিকা প্রদানের এই কর্মসূচি দেশটির টেলিভিশগুলো সরাসরি সম্প্রচার করেছে। এ বিষয়ে মেক্সিকান সরকার এক বিবৃতি জানায়, ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) মধ্যে দেশের প্রথম সারির অর্থাৎ যারা সরাসরি এই মহামারীর সঙ্গে লড়াই করছে সেসব স্বাস্থ্যকর্মীকে এই টিকা প্রদান করা হবে।
এছাড়াও বৃহস্পতিবার সকালে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্সআইরেসে রাশিয়ার উৎপাদিত টিকা স্পুটনিক ফাইভ এর ৩ লাখ ডোজের একটি চালান পৌঁছেছে। যা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দেশটির জনগণের মধ্যে প্রদানের কাজ শুরুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।
লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে সর্বাধিক মৃত্যু এবং আক্রান্তের দিক দিয়ে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। তবে দেশটিতে টিকার প্রয়োগ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।