নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ শনিবার। রাত ৩:৪৯। ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫।

যথাযোগ্য মর্যাদায় বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ এর ৫৪ তম শাহাদত বার্ষিকী পালন

সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫ ৪:৩৮
Link Copied!

মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোরের শার্শায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের সাহসী সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মাদ শেখের ৫৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে তার সমাধিতে গার্ড অব অনার প্রদান করেছেন যশোর ৪৯ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কাশিপুরে অবস্থিত এ বীরশ্রেষ্ঠের সমাধিতে যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার ও শ্রদ্ধাঞ্জালি অর্পণ করেন ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর নূর উদ্দিন আহমেদ, সহকারী পরিচালক সোহেল আল মুজাহিদ।

এ ছাড়া সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শার্শা উপজেলা প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠের পরিবারের সদস্যরা, রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অনুষ্ঠান শেষে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয় এবং সকলের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  নুরের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন

যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী জানান, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ এবং চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডা. কাজী নাজিব হাসান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নিয়াজ মাখদুম ও শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম প্রমুখ।

আরও পড়ুনঃ  আরপিওর ৪৬টি অনুচ্ছেদ সংশোধন করছে ইসি

উল্লেখ্য, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডীবরপুর ইউনিয়নের মহিষখোলা গ্রামে (বর্তমান নাম নূর মোহাম্মদ নগর) জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আমানত শেখ ও মা জেন্নাতুন্নেছা। তিনি ১৯৫৯ সালের ১৪ মার্চ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে (ইপিআর) যোগদান করেন। দীর্ঘদিন দিনাজপুর সীমান্তে চাকরি করার পরে ১৯৭০ সালের ১০ জুলাই যশোর সেক্টরে বদলি হন তিনি। পরবর্তীতে ল্যান্স নায়েকে পদোন্নতি পান। ১৯৭১ সালে যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৮ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোর জেলার গোয়ালহাটি ও ছুটিপুরে পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে নান্নু মিয়াসহ তিন সঙ্গীকে বাঁচাতে গিয়ে তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করার অনন্য নজিরস্থাপন করেন। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে শক্রপক্ষের গুলিতে আহত নূর মোহাম্মদ আশংকাজনক অবস্থায় ও নিজের জীবনের কথা না ভেবে যুদ্ধ চালিয়ে যান এবং গুলি চালাতে চালাতে সামনের দিকে অগ্রসর হন। এক সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। পরে শার্শা উপজেলার কাশিপুর সীমান্তের মুক্ত এলাকায় তাকে সামরিক মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বীরত্ব ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতি স্বরূপ সরকার তাকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।