স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর পাইকারী বাজারে কমেছে সব ধরনের মাছের দাম। এর প্রভাবে খুচরা বাজারেও কম দামেই পাওয়া গেছে মাছ। দাম কম থাকায় সাধারণ ক্রেতারা খুশি হলেও আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় হতাশ মৎস্য চাষিরা।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় শুক্রবার সকালে রাজশাহী নওদাপাড়া মাছের আড়তে বেড়েছিল পুকুরে চাষ করা মাছের সরবরাহ। এই বাজারে আগের চেয়ে শুক্রবার রুই, কাতলা, মৃগেল, পাঙাশ, সিলভার কার্পসহ সব ধরনের মাছের দাম কম ছিল বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
নওদাপাড়া বাজারে মাছের একজন সাধারণ ক্রেতা বলেন, এই বাজারে পাইকারিরা যে দামে পান, আমরাও সে দামে পাই। একটু সাশ্রয়ে মাছ পাওয়া যায় বলেই এই বাজারে আসি। একসঙ্গে বেশি করে মাছ কিনে নিয়ে গিয়ে ফ্রিজে রাখি। প্রতিদিন তো আর মাছ কিনতে আসা হয় না।
আড়তটিতে শুক্রবার পাইকারিতে মাঝারি আকারের কাতল ২২০ টাকা, বড় সিলভার কার্প ২৩৫ টাকা, মৃগেল ১৮০ টাকা, রুই ১২০ টাকা, পাঙ্গাস ১০০ টাকা, সরপুঁটি ১০০ টাকা, বাটা ৯০ টাকা এবং ফলি ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। পুকুরে চাষ করা এসব মাছের দাম কম হলেও এই বাজারেই ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে নদী-নালা খাল-বিলের মাছের দামের ক্ষেত্রে। এসব মাছের দাম ছিল কিছুটা বেশি। ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা নওদাপাড়া মাছের আড়তগুলো থেকে প্রতিদিন পাইকারি দরে মাছ কিনে শহরের অলিগলি আর স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে থাকেন। পাইকারিতে কম দামে কিনতে পাওয়ায় খুচরা বাজারেও কমেছে দাম।
আড়তে মাছ কিনতে গিয়ে একজন খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, আমদানি ভালো আছে। তাই দাম আশা অনুযায়ী ভালো পাচ্ছি। এখানে সব রকমের মাছ পাওয়া যায়। এখান থেকে কিনে আমরা বিক্রি করি।
আড়তে মাছ বিক্রি করতে গিয়ে চাষি সোহরাব আলী বলেন, দিন দিন ফিডের দাম বাড়ছে। কিন্তু হঠাৎ করেই মাঝে মাঝে মাছের দাম কমে যাচ্ছে। এতে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। তিনি বলেন, ক’দিন আগে পুকুরে অক্সিজেনের স্বল্পতায় অসংখ্য পুকুরের মাছ মরে গেছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। এখন মাছের দাম ভাল পেলে আমাদের জন্য ভাল হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই দাম পড়ে যাচ্ছে।
আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দাম ভাল থাকলে চাষিরা বেশি বেশি মাছ আনেন। তখন এই আড়ত থেকেই প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪০ লাখ টাকার মাছ বেচাকেনা হয়। রাজশাহীর চাহিদা মিটিয়ে এখনকার তাজা মাছ ট্রাকযোগে চলে যায় রাজধানীসহ দেশের নানা প্রান্তে।