স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানাধীন গুড়িপাড়া গুলজারবাগ এলাকায় নিজ বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন মোঃ সুমন আলী (৪২) নামে শ্রমিক দল নেতা।সুমন আলী কাশিয়াডাঙ্গা জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল থানা কমিটির সভাপতি।
হামলাকারীরা হলেন মো:বুলবুল (৩০) পিতা মো:জয়নাল ও মো:সাগর (২৯), পিতা মো: ফাজা দুইজনেরই বাড়ি গুলজারবাগ গুড়িপাড়া এলাকায়।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিনি সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হন।পরে বাড়ির লোকজন ও স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেকে) ভর্তি করেন।
হামলার বিষয়ে আহত জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল নেতা সুমন আলী বলেন, আমি ফজরের নামাজ আদায় করে বাড়িতে ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ আমার বাড়ির কলিং বেল বেজে ওঠে। আমার স্ত্রীর জিজ্ঞেস করে কে আপনারা। এসময় বুলবুল ও সাগর বলে আমরা সুমন ভাইয়ের সাথে কথা বলবো। এরপর আমি বাড়ির গেট খুলতেই বুলবুলের হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে আমার গলায় কোপ দেয়।আমি মাথা সরিয়ে নিলে আমার বাম গালে চাকুর কোপ লাগে এবং সাথে সাথেই সাগরের হাতে থাকা রামদা দিয়ে আমাকে কোপ দিলে আমি গেট বন্ধ করে দিয়ে প্রাণে বেঁচে যায়। এরপর হামলাকারীরা সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে বাড়ির লোকজন ও এলাকাবাসী আমাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার বাম গালে ১৪ টি সেলাই করেন।আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে এ হামলা করা হয়েছে। এরা দুজনই ছাত্রলীগ করত, আমি কাশিয়াডাঙ্গা শ্রমিক দল থানা কমিটির সভাপতি হওয়ায় আমার প্রতি ক্ষোভ তাদের।আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, এদের পেছনে মদত দাতা আছে বলেও জানান শ্রমিক দল নেতা সুমন আলী।
স্থানীয়রা বলছেন, বুলবুল ও সাগর দুজনই বখাটে ছেলে, খুবই উশৃংখল চলাফেরা তাদের।দুজনের নামে একাধিক মামলাও রয়েছে, কিছুদিন আগে সেনাবাহিনী তুলে নিয়ে গিয়েছিল, জামিনে এসে আবার বেপরোয়া হয়ে পড়েছে তারা।
এ বিষয়ে কাশিয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, অবশ্যই যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং দুজনকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হবে।