স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে শিশু সুরক্ষা ও যৌন শোষণ প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে বিশেষ গণমাধ্যম সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত মহানগরীর একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে এ সংলাপের আয়োজন করে এ্যাসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি)।
অনুষ্ঠানটিতে সহযোগিতা করে ডাচ মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স, নেদারল্যান্ডস এবং ফ্রি অ্যা গার্ল, সুফাসেক-ডাউন টু জিরো অ্যালায়েন্স বাংলাদেশের অধীনে ‘স্টেপিং আপ দ্য ফাইট অ্যাগেইনস্ট সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন অব চিলড্রেন’ প্রকল্প।
তিন ঘণ্টাব্যাপী এ গোলটেবিল বৈঠকে মূলত শিশু যৌন নির্যাতন চিহ্নিতকরণ, উদ্ধার কার্যক্রম ও গণমাধ্যমের করণীয় বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে আলোচনা করা হয়। একইসঙ্গে শিশু সুরক্ষা নিয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. দিপকেন্দ্র নাথ দাস। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের রাজশাহী কার্যালয়ের উপপরিচালক এটিএম গোলাম মাহবুব। তিনি বলেন, আমাদের সমাজে শিশুরা সবচেয়ে অসহায়। তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম, সরকারি সংস্থা এবং নাগরিক সমাজকে একযোগে কাজ করতে হবে। গণমাধ্যমের দায়িত্ব শুধু সংবাদ প্রকাশে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সচেতনতা সৃষ্টি ও জনমত গঠনে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এসিডি টিম লিডার (অ্যাডভোকেসি, লবি অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং) সুব্রত কুমার পাল এবং সমন্বয় করেন প্রোগ্রাম অফিসার আব্দুল হান্নান। সংলাপে রাজশাহীর বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। গণমাধ্যমকর্মীরা তাদের অভিজ্ঞতা ও মতামত তুলে ধরেন। তারা বলেন, শিশু যৌন শোষণ প্রতিরোধে সংবাদ মাধ্যমের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা প্রয়োজন। একইসঙ্গে শিশু নির্যাতনের শিকার হওয়া শিশুদের জন্য টেকসই পুনর্বাসন কর্মসূচি থাকা জরুরি।
বক্তারা একমত হন যে, শিশু সুরক্ষায় গণমাধ্যম, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। উদ্ধার হওয়া শিশুদের জন্য পুনর্বাসন ও সমাজে পুনঃএকত্রীকরণের শক্তিশালী রেফারেল ব্যবস্থা গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। গোলটেবিল বৈঠক শেষে অংশগ্রহণকারীরা শিশু সুরক্ষা কার্যক্রমে সম্মিলিতভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং রাজশাহীকে শিশুবান্ধব শহর হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।