স্টাফ রিপোর্টার: আগামী ১ আগস্ট শনিবার মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে। ঈদুল আজহা আসতে আরো ৮ দিন বাঁকি। এরমধ্যেই জমে উঠতে শুরু করেছে রাজশাহী অঞ্চলের পশুর হাটগুলো। হাটগুলোতে গরু-ছগলে ভরপুর থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা একেবারে কম। অনেকের কোরবানী দেয়ার ইচ্ছা থাকলেও করোনার সংক্রমণের ভয়ে আসছেনা।
ফলে পশু বেচা-কেনাও অন্যসব বছরের চেয়ে কয়েকগুণ কমেছে। হাটের ইজারাদারেরা জানান, কারোনার প্রভাব পশুহাটগুলোতেও পড়েছে। কোরবানী ঈদ উপলক্ষ্যে ছোট-বড় অনেক খামারীরা পশু হাটে উঠাতে শুরু করেছেন। ক্রেতা কম থাকায় বেচা-কেনা অন্যসব সব হাটের মতই হচ্ছে। ঈদে বাড়তি বিক্রি যেটা হয় এ বছর এখন সে রকম হয়নি। এদিকে, প্রতি বছর কোরবানীর কয়েক সপ্তহ আগে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকাররা এসে পছন্দের গরু-ছাগল কেনে থাকেন।
কিন্ত চলতি বছর একটু ব্যতিক্রম। কারোনার প্রভাবে পাইকারেরাও এবার আসছেনা। এতে বড় লোসানের শস্কায় ছোট খামারীরা। হাটে গরু বিক্রেতারা দাবি, গো-খাদ্যের দাম বাড়াই গরু পালনে খরচ বেশি হয়েছে। গরু পালনের খরচ ধরে বাজারে গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে। তবুও দাম ক্রেতাদের সার্ধের মধ্যে আছে। খরচ বাদে সামান্য লাভ পেলেই তারা গরু ছেড়ে দিবেন। তবুও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছেনা। গত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় গরু কম আসায় দেশি গরুর চাহিদা বেড়েছে। শুধু তাই না, কয়েক বছর ধরে খামারিরা লাভবানও হচ্ছিল। অনেকেই বাড়িতে ছোট আকারের খামারও তৈরি করেছেন লাভের আশায়। কিন্তুু এবার সে লাভ আশা ছেড়েই দিয়েছেন খামারীরা।
বুধবার থেকে গত একসপ্তহ ধরে সরেজমিন সিটি হাট, চৌবাড়ীয়া, কাঁকনহাট এবং মুণ্ডুমালা পশু হাটে গিয়ে একাধিক কোরবানি গরু কিনতে আসা ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ছোট সাইজের গরু (৮০ কেজি মাংস হবে) এমন গরুর দাম ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। মাঝারি সাইজের গরু (৯০ কেজি মাংস হবে) ৪৫ থেকে ৫০ হাজার ও বড় সাইজের গরু (১০০-১৪০ কেজি মাংস হবে) ৮০ থেকে ৯০ হাজার পর্যন্ত দাম হাকানো হচ্ছে। তবে ছাগলের দাম কিছুটা বাড়তি রয়েছে ১২ কেজি মাংস হবে এমন ছাগলের দাম ৮ থেকে ৯ হাজার, ১৫ থেকে ১৮ কেজির দাম ছাগল ১৩ থেকে ১৫ হাজার ও ২০ থেকে ২৫ কেজি মাংস হবে এমন ছাগলের দাম হাকানো হচ্ছে ১৭ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তানোর উপজেলার মুণ্ডুুমালা হাটে কোরবানীর জন্য গরু কিনতে এসেছিলেন পাঁচন্দর গ্রামের স্কুল শিক্ষক লিয়াকত আলী।
কথা হয় তার সাথে তিনি জানান, এবার গ্রামের অনেক মানুষ কোরবানী দিতে পারবেনা। সাত ভাগে কোরবানীর জন্য মানুষ খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। কারণ বলতে তিনি বলেন, করোনার প্রভাবে কর্মহীন অনেক মানুষ, এছাড়াও গ্রামের আমন রোপন মৌসুম চলছে। সেখানেও খরচ করে ফেলছে কৃষকেরা। এছাড়া বন্যা শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গে। তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা হাট ইজারাদার জানান, স্বাভাবিক দিনের তুলনায় চলতি সপ্তাহে গরু ও ছাগল হাটে বেশি উঠতে শুরু করেছে। তবে কেনাবেচা বাড়েনি।