স্টাফ রির্পোটার : নগরীতে এক ছাত্রাবাসের মালিকের বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রকিবুল ইসলাম রাকিব।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকালে মতিহার থানার বিনোদপুর এলাকায় ‘মন্ডলের মোড়’ সংলগ্ন ‘সুজন ম্যানশন’ ছাত্রাবাসে এ ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রকিবুল ইসলামকে মেসের সিট পরিবর্তন করতে বলে মেস মালিক। রাকিব রুম পরিবর্তন করতে অস্বীকার করায় কিল-ঘুষি মারে মেস মালিক সুজন। পরে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক লিয়াকত আলী ও পুলিশ উপস্থিত হন।
ভুক্তভোগী রকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘আমাদের বিভাগের পরীক্ষার জন্য গত কয়েকদিন পূর্বে ‘সুজন ম্যানশন’ মেসের মালিক সুজনকে ফোন দিয়ে ১০১ নং সিট দুই মাসের জন্য বুকিং দিয়েছি। এরপর রাজশাহী এসে সে রুমে থাকছি। রুম পরিষ্কার করে টেবিল, বেট সককিছু ঠিকঠাক করেছি।’ পরে মেস মালিক বললেন, গত ৮ সেপ্টেম্বর তিনি ওই সিট আরেকজনের নামে বুকিং দিয়েছে। ওই রুমে (১০১) ৪ দিন অবস্থানের পর মেস মালিক সুজন এসে আমাকে ১০৩ নম্বর রুমে যেতে বলে। আমার পরীক্ষা থাকায় আমি রুমটি পরিবর্তন না করার কথা জানাই মেস মালিককে। তখন তিনি আমাকে আর কিছু বলেনি। হঠাৎ শুক্রবার বিকালে এসে মেস মালিক সুজন আমাকে রুম ছাড়তে বলে। তখন আমি মালিককে আমার সমস্যার কথা বলে নতুন ছেলেকে অন্য রুমে তুলতে বলি। তখন মেস মালিক সুজন আমাকে তাৎক্ষণিক রুম ছেড়ে চলে যেতে বলে। রুম ছাড়ার কথা বলাতে আমি আমার টাকা ফেরত চাই। এসময় তিনি আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে এবং কিল-ঘুষি মারা শুরু করে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মেস মালিক সুজনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর লিয়াকত আলী বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীকে মেস মালিকের মারধরের ঘটনাটি জেনে সেখানে তাৎক্ষণিক উপস্থিত হয়েছি। আমি ঘটনাস্থলে আসার আগেই মেস মালিক পালিয়ে গেছে। তখন আমি মতিহার থানায় কল দিলে ওসি আনোয়ার আলীও ঘটনাস্থলে আসে এবং মারধরের শিকার হওয়া শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে।
তিনি আরো জানান, আমরা চেষ্টা করছি মেস মালিককে থানায় ডেকে এনে ঘটনাটি সমাধান করার। আশা করি এটি দ্রুত সমাধান হবে।
এ বিষয়ে মতিহার থানার ওসি আনোয়ার আলী বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার আগেই মেস মালিক পালিয়ে গেছে। আমরা বিষয়টি দেখছি। তাকে পাওয়া গেলে বিষয়টি সমাধান করা হবে বলে আশ^স্ত করেন।
4