স্টাফ রিপোর্টার : ‘সমাজতন্ত্রই মানুষে মানুষে সম্প্রীতি গড়ে তোলে। ১৯১৭ সালে দুনিয়া কাঁপানো মহান রুশ বিপ্লবের ফলেই পৃথিবীর অনেক দেশ স্বাধীনতার আলো দেখেছিল। তবে সেই চেতনা ভুলে গেলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে জাতিকে আবারো দাসত্বের শৃঙ্খলে বন্দী হতে হয়Ñআর তখনই সব অর্জন বৃথা হয়ে যায়’ শনিবার বিকেল ৪টায় মহান রুশ বিপ্লবের ১০৩তম বার্ষিকী স্মরণে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট রাজশাহী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
জননেতা আতাউর রহমান স্মৃৃতি পরিষদ আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী প্রেসক্লাব ও স্মৃতি পরিষদের সভাপতি সাইদুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলার সঞ্চালনায় এ সমাবেশে ঢাকা থেকে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, লমনোভস্কি স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন কৃতি শিক্ষার্থী আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
এসময় অন্যন্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রশান্ত কুমার সাহা, স্মৃতি পরিষদের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ইকবাল বাদল, সালাউদ্দীন মিন্টু প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বলশেভিক পার্টির নেতা ভøাদিমির ইলিচ লেনিন দুর্নীতিবাজদের নেতা নন, তিনি বিশে^র আপামর জনগণের নেতা ছিলেন। রুশ বিপ্লবে তার ৩০ হাজার কর্মী সমর্থককে জীবন দিতে হয়েছিল। তবুও তিনি থেমে যাননি। লড়াই চালিয়ে গেছেন, পূর্ব ইউরোপের রাশিয়াকে শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত ও মেহনতি মানুষের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বিশে^ যতদিন শোষণ-বঞ্চনা ও ধণী-গরিবের বৈষম্য থাকবে ততদিন সমাজতন্ত্র ও রুশ বিপ্লবের আবেদন থাকবেই। তারা বলেন, লেনিন মাত্র ৫৪ বছরের জীবনে ৪৩ খণ্ড বই লিখেছেন। সেগুলো নিয়ে এখনো গবেষণা হয়। তরুণ প্রজন্মকে সেগুলো জানতে হবে। তরুণদের জন্যই এ স্মরণ সমাবেশ। রুশ বিপ্লবের চেতনায় সবাইকে উদ্বুৃদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে সমাবেশ সমাপ্ত করা হয়।