হেলাল উদ্দীন,বাগমারা : আগামী ১৪ নভেম্বর শনিবার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ সাত বছর পর উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ নিউমার্কেটে অবস্থিত অডিটোরিয়ামে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ঘিরে নতুন সাজে সজ্জিত হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও রাস্তা-ঘাট। রাস্তার মোড়ে মোড়ে এখন শোভা পাচ্ছে রং বে রং এর তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড।
সম্মেলন উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সফল করতে ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে ইউনিয়ন ও পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক এমপি আব্দুর রহমান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য মন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ এমপি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাজশাহী মহানগর আ’লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বিশেষ অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন। সম্মেলন উদ্বোধন করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি মেরাজ উদ্দিন মোল্লা এবং সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, সাবেক এমপি বেগম আকতার জাহান, ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি, আয়েন উদ্দিন এমপি, ডাঃ মনসুর রহমান এমপি, আদিবা আনজুম মিতা এমপি, জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াদুদ দারা, রাজশাহী মহানগর আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ডাবলু সরকার, বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু, বাগমারা উপজেলা চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার।
কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের শুভেচ্ছা জানাতে ও সম্মেলন কে প্রানবন্ত করতে উপজেলা জুড়ে প্রায় শতাধিক তোরণ নির্মান করা হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের উপজেলা আওয়া লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন হবে স্বচ্ছ ও গনতান্ত্রিক। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দীর্ঘ সাত বছর পর সম্মেলনের আয়োজন করায় এবারের বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন একটি ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। আওয়ামী লীগ ছাড়াও আপামর বাগমারাবাসীর কৌতুহল রয়েছে এই সম্মেলন কে ঘিরে। সভাপতি পদে সাংসদ ইঞ্জিনিয়র এনামুল হক ছাড়া অপর কোন প্রার্থীর নাম শুনা না গেলেও সাধারন সম্পাদক পদে রয়েছে একাধিক প্রার্থী। তৃনমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে জয়লাভ করে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত সস্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ওই সম্মেলনে তার প্রতিদ্ব›দ্বী ছিলেন উপজেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুস সোবহান চৌধুরী। এছাড়াও সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. জাকিরুল ইসলাম সান্টু। এবারের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারন সম্পাদক পদে ভবানীগঞ্জ পৌর আ’লীগের সভাপতি ও মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, উপজেলা কৃষক লীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ও উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন সুরুজের নাম শোনা যাচ্ছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়েছে। দলের বাইরের লোকজনের মাঝেও রয়েছে ব্যাপক কৌতুহল। দলীয় সমর্থক নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা।
উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুল বলেন, ১৪ নভেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে।
এ বিষয়ে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি বলেছেন, এবারের সম্মেলন হবে অনেক উন্নত অনেক বলিষ্ঠ সম্মেলন। গত ২০১৩ সালে আমরা যেটা করতে পারিনি। এবারের সম্মেলনে তৃণমূলের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। নতুন পুরাতন মিলে আমরা একটি চমৎকার কমিটি উপহার দিতে চাই। যারা মানুষ ও দেশের কল্যাণে কাজ করবে। তৃণমূলের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে একটি শক্তিশালী কমিটি উপহার দেওয়ার মাধ্যমে বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগকে একটি মডেল সংগঠন হিসাবে দাঁড় করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করাই হবে এবারের সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য।