স্টাফ রির্পোটার : রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তৎকালীন ছাত্রমৈত্রীর নেতা রেজওয়ানুল ইসলাম চৌধুরী সানি হত্যাকাণ্ডে আদালত ঘোষিত রায় প্রভাবিত করে খুনিদের বাঁচানোর অপচেষ্টা করা হলে- তা শক্ত হতে প্রতিহত করা হবে জানিয়েছেন রাজশাহী জেলা ও মহানগর ছাত্রমৈত্রীর সাবেক এবং বর্তমান নেতারা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর সাহেব বাজার বড় মসজিদ চত্বরে সানির হত্যার রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে আয়োজিত এক ছাত্র সমাবেশে এ কথা জানান তারা।
ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রমৈত্রীর সাবেক নেতা দেবাশিষ প্রামানিক দেবু। তিনি বলেন, ২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি সাম্প্রদায়িক অপশক্তি জামায়াত-শিবির থেকে আসা ‘ছাত্রলীগ’ নামধারী নিজাম ও তুষারসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে খুন হয়- রেজওয়ানুল ইসলাম চৌধুরী সানি। সর্বশেষ ২০১২ সালের শেষের দিকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি নিজাম-তুষারকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়।
দেবু বলেন, আদালত কর্তৃক দেয়া মৃত্যুদণ্ড রায়ের এতো বছর পার হলেও তা কার্যকরের প্রক্রিয়া অদৃশ্যমান। আমরা বিভিন্ন সূত্রে খবর পাচ্ছি- সানির খুনিদের বাঁচাতে প্রভাবশালী একটি কুচক্রি মহল তাদের অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তারা খুনিদের বাঁচিয়ে প্রকাশ্যে প্রমাণ করতে চায়- তারা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির গডফাদার। আমরা এই সমাবেশ থেকে তাদের হুঁশিয়ার করতে চাই, সানি হত্যাকারীদের রক্ষা করার জন্য যারাই অপচেষ্টায় লিপ্ত; তাদের শক্তহাতে প্রতিহত করা হবে।
ছাত্র সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- সেই দিনের হামলায় নির্মমভাবে আহত হওয়া তৎকালীন পলিটেকনিক শাখা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ও বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী আব্দুল মোতালেব জুয়েল। লোমহর্ষক সেই ঘটনার বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের প্রধান টার্গেট ছিলাম আমি। হামলার শিকার হয়ে আমি বেঁচে গেলেও সহযোদ্ধা শহিদ রেজওয়ানুল ইসলাম চৌধুরী সানি নিহত হয়।
সানির রক্তের দাগে লিখা সংগঠন, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী। সানি জীবন দিয়ে আমাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করা শিখিয়ে গেছে। জীবনের মোহ ত্যাগ করে মৃত্যুর শেষ পর্যন্ত নিজের আদর্শে দাগ পরতে দেয়নি। তার সেই ত্যাগ আমরা কোনদিনও বৃথ যেতে দিবো না। তার অসমাপ্ত লড়াই আমরা আরও সামনে এগিয়ে নিতে চাই। এসময় তিনিও সানির হত্যাকারীদের আদালতে দেয়া রায় বাস্তবায়নের দাবি জানান।
মহানগর ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ওহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে ছাত্র সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- রেজওয়ানুল ইসলাম চৌধুরী সানির বাবা মনোয়ারুল হক চৌধুরী নান্নু, মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. এন্তাজুল হক বাবু, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রমৈত্রীর নেতা আশরাফুল হক তোতা, সাবেক ছাত্রমৈত্রী নেতা ও ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমনি মতি। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ছাত্রমৈত্রীর রাজশাহী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ।
6