নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা মঙ্গলবার। বিকাল ৪:৩৪। ১৫ জুলাই, ২০২৫।

সেই মিয়ানমারেই ৩০ বছর পর আরেক ইতিহাস

জুলাই ৩, ২০২৫ ৫:৩৭
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশের ফুটবলের অবিচ্ছেদ্য এক অংশ মিয়ানমার। পুরুষ ফুটবলে প্রথম আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়ন ট্রফি এসেছিল ১৯৯৫ সালে মিয়ানমার থেকে। ৩০ বছর পর সেই একই ভূমিতেই ঋতুপর্ণা-আফিদারা প্রথমবারের মতো নারী এশিয়া কাপ নিশ্চিত করল। বাংলাদেশ এখন নারী ফুটবলে এশিয়ার শীর্ষ ১২ দেশের একটি।

৩০ বছর আগে-পরে ভিন্ন দুই টুর্নামেন্ট ও ভিন্ন প্রেক্ষাপট হলেও নানা মিলও রয়েছে। ১৯৯৫ সালে মোনেম মুন্না-নকীবরা স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়েই চার জাতি টুর্নামেন্টের ট্রফি জিতেছিল। ঋতুপর্ণা-রুপ্নারাও মিয়ানমারকে হারিয়েই এশিয়া কাপ নিশ্চিত করেছে। কাকতালীয়ভাবে দু’টি ম্যাচের ফলাফলই ২-১ এবং ভেন্যুও ইয়াঙ্গুন।

আরও পড়ুনঃ  সকাল ৯টার মধ্যে যেসব বিভাগে ঝড়বৃষ্টির আভাস

১৯৯৫ সালে মিয়ানমার ফুটবল ফেডারেশনের আমন্ত্রণে চারজাতি টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই টুর্নামেন্টের গ্রুপ ম্যাচে বাংলাদেশ মিয়ানমারের কাছে হারলেও ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছিল। ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব ও মামুন জোয়ার্দার গোল করেছিলেন। নকীব এখন মোহামেডান দলের ম্যানেজার। মামুন জোয়ার্দার প্রায় দুই দশক কানাডা প্রবাসী। মেয়েদের মিয়ানমার জয় মামুনকে ফিরিয়ে নিয়ে গেল সেই ত্রিশ বছর আগে। কানাডা থেকে তিনি জানান, ‘মিয়ানমারে মেয়েরা অসাধারণ খেলেছে। তাদের এই সাফল্য আমাদের সেই টুর্নামেন্টে ট্রফি জয়ের স্মৃতি মনে করাল। মিয়ানমার বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকল আরেকবার।’

২০১৯ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী টুর্নামেন্ট কাভার করতে এই প্রতিবেদক মিয়ানমার গিয়েছিল। তখন মিয়ানমারের সাবেক ফুটবলার টিন অং ওই হার নিয়ে এভাবেই আক্ষেপ করছিলেন, ‘বৃষ্টির মধ্যে ফাইনাল ম্যাচ হয়েছিল। যে বাংলাদেশকে আমরা ৪ গোলে হারিয়েছিলাম তাদের কাছেই ২-১ গোলে ট্রফি হারালাম। বাংলাদেশের কোচ অটো ফিস্টার ও অধিনায়ক মুন্না অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ছিল।’

আরও পড়ুনঃ  ঢাকায় এসিসির মিটিংয়ে যোগ দেবে ভারতসহ সব দেশ

ত্রিশ বছর পর সেই ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল মিয়ানমার নারী ফুটবল দলকে আরেকবার আক্ষেপে পুড়িয়েছে। যে মিয়ানমার এশিয়া কাপ নারী ফুটবল টুর্নামেন্টে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে সেই দলটি নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকেই বিদায়। তাদের আক্ষেপের বড় জায়গা ২০১৮ সালে বাংলাদেশকে ৫-০ গোলে হারিয়েছিল। অর্ধযুগ পর নিজেদের মাটিতে ২-১ গোলে হার।

আরও পড়ুনঃ  ইসরায়েলে যাওয়া ইমামরা ‘মুসলিমদের প্রতিনিধি নয়’ : আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল মিয়ানমার থেকে ইতিহাস সৃষ্টি করে দেশে ফিরবে। বাছাইপর্ব হওয়ায় কোনো ট্রফি বা দৃশ্যত কোনো স্মারক নেই এই টুর্নামেন্টে। ১৯৯৫ সালে মুন্না নকীবরা চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়ে এসেছিলেন। বাফুফে সংরক্ষণ করতে না পারায় সেই ট্রফির হদিস নেই।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।