অনলাইন ডেস্ক : বগুড়াসহ পাঁচ জেলা কারাগারের জেলারকে ৮-১১ মাসের মাথায় হঠাৎ বদলি করা হয়েছে। কোনও কারণ ছাড়াই বদলি হওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে সন্তানদের লেখাপড়া নিয়ে। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের জেলা ম্যাজিস্ট্রেসি পরিবীক্ষণ অধিশাখার পরিপত্র অনুসারে কোনও অনিয়মে জড়িয়ে না পরলে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মচারীদের ২-৩ বছরের আগে বদলি যায় না। এ নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিলেও হয়রানির ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। তারা বদলির এ আদেশটি বিবেচনা করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নতুন আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন। তিনি ৮ অক্টোবর দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। ৬ অক্টোবর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন তার স্থলাভিষিক্ত হন। ৭ অক্টোবর বিদায়ী আইজি প্রিজন্স একেএম মোস্তফা কামাল পাশা এক প্রজ্ঞাপনে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর, বগুড়া, নওগাঁ ও নীলফামারী কারাগারের জেলারদের বদলি করেন।
এদের মধ্যে বাগেরহাটের জেলার শেখ মহিউদ্দিন হায়দারকে বগুড়া জেলা কারাগার, গোপালগঞ্জের জেলার ফরিদুর রহমান রুবেলকে দিনাজপুর জেলা কারাগার, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাসুদুর রহমানকে নীলফামারী জেলা কারাগার, দিনাজপুরের জেলা কারাগারের জেলার তারেক কামালকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার, বগুড়ার জেলার শরিফুল ইসলামকে নওগাঁ জেলা কারাগার, নওগাঁর জেলার একেএম মাসুমকে বাগেরহাট জেলা কারাগার এবং নীলফামারীর ভারপ্রাপ্ত জেলার মোশফিকুর রহমানকে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে ভারপ্রাপ্ত জেলার হিসেবে বদলি করা হয়। এদের মধ্যে শেখ মহিউদ্দিন হায়দার বর্তমান কর্মস্থলে দু’বছরের বেশি ছিলেন। অন্য সবাই ৮-১১ মাস ছিলেন।
৭ অক্টোবর হঠাৎ করে সাত জেলারের বদলির আদেশ আসে। এতে কর্মস্থলে নতুন আসা জেলাররা বিপাকে পড়েন। নীলফামারীর বিদায়ী জেলার মোশফিকুর রহমানের স্ত্রী পঞ্চগড়ে শিক্ষকতা করেন। বাড়িতে অসুস্থ মা ও ছোট বাচ্চা রয়েছে। এ অবস্থায় তার বদলি হওয়ায় অনেক সমস্যা হচ্ছে।
বগুড়ার বিদায়ী জেলার শরিফুল ইসলাম জানান, তার দুই সন্তানকে স্থানীয় স্কুলে ভর্তি করেছেন। বাচ্চাদের কারণে তাকে বগুড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের রেখে যেতে হচ্ছে।
একই অবস্থা রাজশাহীর মাসুদুর রহমান, নওগাঁর একেএম মাসুমসহ অন্যদেরও।
নাম ও পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলার জানান, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের জেলা ম্যাজিস্ট্রেসি পরিবীক্ষণ অধিশাখার পরিপত্র অনুসারে কোনও অনিয়মে জড়িয়ে না পরলে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মচারীদের ২-৩ বছরের আগে বদলি করা যায় না। এরপরও তাদের কোনও অপরাধ ছাড়াই বদলি করা হল। এতে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে সন্তানদের লেখাপড়া নিয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে।
এছাড়া নতুন আইজি প্রিজন্স ৬ অক্টোবার যোগদান করলেও বিদায়ী আইজি প্রিজন্স ৭ অক্টোবর বদলির আদেশ দিয়েছেন। এতে তারা হতবাক হয়েছেন। ভুক্তভোগীরা তাদের বদলির আদেশ বিবেচনা করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।-বাংলা ট্রিবিউন