রবিবার, জানুয়ারি ১৭, ২০২১
Somoyer Kotha
Advertisement
  • হোম
  • বাংলাদেশ
    • শিক্ষা
    • অর্থনীতি
    • নির্বাচন
    • তথ্য প্রযুক্তি
    • অপরাধ
  • জাতীয়
  • দেশজুড়ে
    • জেলার খবর
  • রাজনীতি
  • রাজশাহী বিভাগ
    • রাজশাহী জেলা
    • চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা
    • জয়পুরহাট জেলা
    • নওগাঁ জেলা
    • নাটোর জেলা
    • পাবনা জেলা
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধুলা
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
  • অন্যান্য
    • ধর্ম
    • বিনোদন
    • লাইফ স্টাইল
    • সম্পাদকীয়
    • কৃষি কথা
ফলাফল পাওয়া যায় নি
সকল ফলাফল দেখুন
  • হোম
  • বাংলাদেশ
    • শিক্ষা
    • অর্থনীতি
    • নির্বাচন
    • তথ্য প্রযুক্তি
    • অপরাধ
  • জাতীয়
  • দেশজুড়ে
    • জেলার খবর
  • রাজনীতি
  • রাজশাহী বিভাগ
    • রাজশাহী জেলা
    • চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা
    • জয়পুরহাট জেলা
    • নওগাঁ জেলা
    • নাটোর জেলা
    • পাবনা জেলা
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধুলা
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
  • অন্যান্য
    • ধর্ম
    • বিনোদন
    • লাইফ স্টাইল
    • সম্পাদকীয়
    • কৃষি কথা
ফলাফল পাওয়া যায় নি
সকল ফলাফল দেখুন
Somoyer Kotha
ফলাফল পাওয়া যায় নি
সকল ফলাফল দেখুন

হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রয়োজন সকলের সহযোগিতা

ডিসেম্বর ৭, ২০২০
0
হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রয়োজন সকলের সহযোগিতা

সেলিনা আক্তার : হিজরা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি ক্ষুদ্র অংশ হলেও আবহমান কাল থেকে এ জনগোষ্ঠী অবহেলিত ও অনগ্রসর গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিকে যে সংবিধান উপহার দিয়েছেন তাতে অনুন্নত সম্প্রদায়, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীসহ সকল নাগরিকের সমমর্যাদা ও অধিকার সুনিশ্চিত করার কথা উল্লেখ রয়েছে। তারই দেখানো পথ অনুসরণ করে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মাধ্যমে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। মূলধারায় সকল সম্প্রদায়ের মতো পিছিয়ে পড়া হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করতে বহুমাত্রিক তৎপরতা জোরদার করা হচ্ছে।

জন্মগতভাবে যৌন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, যাদের দৈহিক বা জেনেটিক কারণে নারী বা পুরুষ কোনো শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করা যায় না, সমাজে এই জনগোষ্ঠী হিজড়া হিসেবে পরিচিত। এদের সম্পর্কে কোনোপ্রকার সঠিক তথ্য আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষিত এমনকি অনেক ডাক্তাররা পর্যন্ত দিতে পারেন না। আমাদের দেশে এখনো পর্যন্ত প্রজনন এবং লিঙ্গ নির্ধারণভিত্তিক কথাবার্তা খুব ভীতি সহকারে এবং গোপনে আলোচনা করা হয় যার কারণে এরকম ব্যাপারগুলো খুবই স্পর্শকাতর বলে ভাবা হয়। ফলে আমরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকি ।

উচ্চবিত্ত কিংবা নিম্নবিত্ত যেকোনো পরিবারেই হিজড়াদের জন্ম হতে পারে। যেসব পরিবার অনেক সচেতন, আধুনিকভাবে শিক্ষিত তারা তাদের সন্তানদের মানসিক সাপোর্ট দিতে পারে। তবে যেসব চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এদের সমাজের সকলের দৃষ্টিতে নিয়ে আসে, সেসবের অনেকগুলোই সহজাত, বদলানো যায় না। মানুষ যখন বুঝতে পারে এরা আর সব স্বাভাবিক মানুষের মতো নয়, সমস্যার শুরু হয় তখন থেকেই। সমাজ শান্তিতে থাকতে দেয় না এসব বৈশিষ্ট্যের মানুষগুলোকে। নানা কুৎসা, বাজে মন্তব্য, টিপ্পনী শুনতে শুনতে হিজড়া গোষ্ঠীর মধ্যে হিংস্রতা পরিলক্ষিত হয়। মানবিক গুণগুলো ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে থাকে। সমাজ, পরিবার থেকে ছিটকে পড়ে এরা খুঁজে নেয় তাদের সমগোত্রীয়দের। হিজড়া গোষ্ঠী অদ্ভুত ভাষা সংকেত ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে ভাবের আদান প্রদান করে। অনেক সাজগোজ পছন্দ করে এরা। বেশিরভাগ সময়েই শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ এবং আলগা চুল ব্যবহার করে থাকে এরা এবং এসব নিয়েই স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করে। সমাজে অন্যদের চেয়ে আলাদা বলেই মনে হয় এদের।

শিক্ষা সংস্কৃতি থেকে এরা এতটাই দূরে যে তাদের মধ্যে স্বাভাবিক মানসিকতা ফেরানো কঠিন এবং এর জন্য আমরাই দায়ী। আমরা কখনো বুঝতে চাইনা এরা সৃষ্টিকর্তারই সৃষ্টি, আমাদের মতোই রক্তমাংসের মানুষ এরা। এদেরও ভালোবাসার অধিকার আছে, আছে ভালোলাগার অনুভূতি। ব্যথা পেলে এরাও কাঁদে, আনন্দেও এরা হাসতে জানে। আমরাই এদের সুবিধাবঞ্চিত করেছি, ‘হিজড়া’ নাম দিয়েছি। একটু আদর ভালোবাসা দিলে এরাও ভালোবাসা ফেরত দিতে পারে, কাজ করতে পারে অনেক বিশ্বস্ততার সাথে। যদি এদেরকে ঘৃণা না করে ভালোবেসে সুস্থ জীবনে ফেরানো যায়, দেখানো যায় আলোর পথ, শেখানো হয় স্বাবলম্বী হবার কর্মকৌশল এবং সম্পৃক্ত করানো যায় বিভিন্ন সমাজিক, রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে, তাহলে এরা নিশ্চয়ই পরিণত হবে মানবসম্পদে। ফলে এ গোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে তৈরি হবে এক ধরনের দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেম।

২০১৩ সালের নভেম্বরে হিজড়া জনগোষ্ঠীকে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃত দেয় সরকার। সারা দেশে হিজড়ার সংখ্যা ১০ থেকে ১৫ হাজার। সমাজসেবা অধিদপ্তরের জরিপ মতে বাংলাদেশে হিজড়ার সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা সূত্রে জানা যায়, সারা দেশে ৫০ হাজার হিজড়া রয়েছে। ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি হিজড়াদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃত দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়। তাদের ভোটাধিকারও দেওয়া হয়েছে বর্তমান সরকারের আমলে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সরকার হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি দিলেও এতদিন জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট গ্রহণ করার ক্ষেত্রে হিজড়াদেরকে হয় নারী নয়তো পুরুষ লিঙ্গ বেছে নিতে হতো। ১১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে ভোটার তালিকা নিবন্ধন ফরম (ফরম-২) এর ক্রমিক নং ১৭ সংশোধন করে লিঙ্গ নির্বাচনের ক্ষেত্রে ‘পুরুষ’, ‘মহিলা’ এর পাশাপাশি ‘হিজড়া’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা হিজড়াদের জন্য এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড়ো স্বীকৃতি। সরকার হিজড়াদের ‘তৃতয়ি লিঙ্গ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় তাদের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই সময় ট্রাফিক পুলিশে তাদের চাকরি দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এছাড়া শিগগিরই ‘হিজড়া লিঙ্গ গেজেট’ আইন আকারে পাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

হিজড়া জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি ক্ষুদ্র অংশ হলেও আবহমান কাল ধরে এ জনগোষ্ঠী অবহেলিত ও অনগ্রসর গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। সকল নাগরিক সুবিধা ভোগের অধিকার সমভাবে প্রাপ্য হলেও তারা পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে বৈষম্যের শিকার বলে প্রতীয়মান। সমাজে বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার এ জনগোষ্ঠীর পারিবারিক, আর্থসামাজিক, শিক্ষাব্যবস্থা, বাসস্থান, স্বাস্থ্যগত উন্নয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সর্বোপরি তাদেরকে সমাজের মূলস্রোতধারায় এনে দেশের সার্বিক উন্নয়নে তাদেরকে সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি সরকার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় “হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন

-২-

কার্যক্রম” বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ কার্যক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মূলত স্কুলগামী হিজড়া জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন স্তরে উপবৃত্তি প্রদান; প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হিজড়া জনগোষ্ঠীর দক্ষতা বৃদ্ধি ও আয় বর্ধনমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করে তাদের সমাজের মূলস্রোতধারায় আনা; হিজড়া জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও সামাজিক সুরক্ষা এবং পরিবার ও সমাজে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি।

২০১২-১৩ অর্থবছর হতে পাইলট কর্মসূচি হিসেবে দেশের ৭টি জেলায় এ কর্মসূচি শুরু হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এ কর্মসূচি ৬৪ জেলায় সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৬৪ জেলায় মোট বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ১১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে মোট বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ৫ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা।

যেকোনো জাতির উন্নয়নে শিক্ষা জরুরি। আর তাই হিজড়া সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে উপবৃত্তি চালু করেছে সরকার। সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত জরিপের মাধ্যমে শনাক্তকৃত হিজড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষার শ্রেণিবিন্যাসে চারটি স্তরে বিভক্ত করে উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। প্রাথমিক স্তরে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জনপ্রতি মাসিক ৭০০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জনপ্রতি মাসিক ৮০০ টাকা, উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জনপ্রতি মাসিক ১০০০ টাকা এবং স্নাতক হতে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জনপ্রতি মাসিক ১২০০ টাকা হারে উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। শুরুতে ১৩৫ জন হতে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে মোট ১,২৪৭ জনকে শিক্ষা উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া সরকারের পাশাপাশি দেশে এই প্রথম বেসরকারিভাবে হিজড়া জনগোষ্ঠীর (তৃতীয় লিঙ্গ) একটি আলদা মাদ্রাসা চালু হয়েছে। সেখানে বিনা খরচে তারা পড়তে পারবে। মরহুম আহমেদ ফেরদৌস বারী চৌধুরী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দাওয়াতুল কোরআন নামে তৃতীয় লিঙ্গের এই মাদ্রাসাটি চালু হয়েছে। ২০২০ সালে সরকার স্বীকৃত কওমি সিলেবাস অনুযায়ী মাদ্রাসাটি পরিচালিত হবে।

৫০ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের অক্ষম ও অসচ্ছল হিজড়াদের বিশেষ ভাতা প্রদান কর্মসূচির আওতায় ২,৫০০ হিজড়াকে জনপ্রতি মাসিক ৬০০ টাকা হারে বিশেষ ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কর্মক্ষম হিজড়া জনগোষ্ঠীর দক্ষতা বৃদ্ধি ও আয় বর্ধনমূলক কাজে সম্পৃক্ত করে সমাজের মূলস্রোতধারায় আনার লক্ষ্যে ৫০ দিন করে তাদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান এবং প্রত্যেককে প্রশিক্ষণোত্তর আর্থিক সহায়তা বাবদ ১০,০০০/-(দশ হাজার) টাকা প্রদান করা হয়। এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৬৫০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান ও প্রশিক্ষণের পর সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ১০ জেলায় হিজড়াদের জন্য আবাসনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

অপরদিক, হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকারের আইসিটি বিভাগ তাদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়েছে। প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা পছন্দ ও যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ বেছে নিয়েছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করায় হিজড়াদের জীবনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার হিজড়াদের সমাজের মূল ধারায় এনে দেশের সার্বিক উন্নয়নে সম্পৃক্তকরণের জন্য সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হিজড়াদেরকে যোগ্যতা অনুযায়ী ড্রাইভার, পিয়ন, রাঁধুনি থেকে শুরু করে এক্সিকিউটিভ পদে নিয়োগ দিতে পারে। এইসব নিয়োগ সমাজে দৃষ্টান্ত তৈরি করবে। শুধু তাই নয় এর ফলে অন্যরাও আরো উদ্বুদ্ধ হবে। হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকারের আইসিটি বিভাগ তাদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়েছে। প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা পছন্দ ও যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ বেছে নিয়েছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করায় হিজড়াদের জীবনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। এখন আমাদেরই তাদের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তাদের জন্য প্রস্তুত করতে হবে একটি মানবিক সমাজ। যে সমাজ লৈঙ্গিক পরিচয়ের কারণে কাউকে অচ্ছুৎ করে রাখবে না। যে সমাজ হিজড়াদেরকেও নারী ও পুরুষের মতোনই সমাজ মর্যাদায় মানুষের মমতায় তাদের বুকে টেনে নেবে। আর এভাবেই সমাজে সামগ্রিক পরিবর্তন আসবে।

শুধু ভিক্ষাবৃত্তি নয়, হিজড়াদেরও চাই কর্মে যুক্ত হবার মনোবৃত্তি। পাকিস্তানের মতোন কট্টর দেশে বৃহন্নলা সংবাদ পাঠক এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মডেল কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। আমাদের দেশের মতো প্রতিবেশী ভারতে একজন কিন্নর জনপ্রতিনিধি হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছেন। অর্থাৎ নিজেদের যদি খেটে খাবার মানসিকতা থাকে তাহলে হিজড়াদের পক্ষেও সম্মানজনক জীবিকা বেছে নেয়া সম্ভব। হয়তো শুরুতে পথচলাটা কঠিন হতে পারে, কিন্তু বাধা যে অতিক্রম করা সম্ভব, আমাদের দেশে হিজড়ারা তা করে দেখিয়েছেন।

প্রশিক্ষণ ও কারিগরি শিক্ষা প্রদানসহ কাউন্সেলিং করা গেলে হিজড়াদের প্রতিভা বিকাশ সম্ভব। উন্নয়নের মূলধারায় এদের সম্পৃক্ত করার জন্য সমাজ এবং পরিবার- সবার মাঝেই সচেতনতা বাড়াতে হবে খুলে দিতে হবে আমাদের মনের সমস্ত বন্ধ জানালাগুলো। গণমাধ্যম এক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে সব মানুষের মধ্যেই নেতৃত্বের গুণাবলী থাকে। সেটাকে জাগিয়ে তুলতে পারলে কয়েকগুণ বেশি উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব, আর এ সম্ভাবনা থেকে হিজড়া সম্প্রদায়ও বাইরে নয়। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় হিজড়াদের অন্তর্ভুক্ত করলে সে যুদ্ধ জয় সহজতর হবে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তারা কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। এতে দেশ যেমন সমৃদ্ধ হবে, জাতি হিসেবেও আমরা ‍উদরতা, ভালোবাসা এবং মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপনে সক্ষম হবো।
-পিআইডি ফিচার

শেয়ার
  • 4
    Shares
  • ট্রেন্ডিং
  • মন্তব্য
  • নতুন
সোনা চোরাচালানের নতুন রুট রাজশাহী

আসামীদের স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দি দুইটি সোনার বার উদ্ধার

অক্টোবর ৭, ২০২০
নগরীতে ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

নগরীতে ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

নভেম্বর ১৯, ২০২০
নগরীতে ৫০০ পিস ইয়াবাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

নগরীতে ৫০০ পিস ইয়াবাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

অক্টোবর ৩১, ২০২০
সোনা চোরাচালানের নতুন রুট রাজশাহী

সোনা চোরাচালানের নতুন রুট রাজশাহী

অক্টোবর ৫, ২০২০
রাজশাহীর দুই পৌরসভায় আ.লীগ, অপরটিতে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী বিজয়ী

রাজশাহীর দুই পৌরসভায় আ.লীগ, অপরটিতে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী বিজয়ী

0

Burnley v Lincoln City Betting: Clarets set for more cup joy on home soil

0

Orlando City provides Jason Kreis a chance at redemption – will he take it?

0

Why F1 must fight to restore the Nürburgring to the calendar

0
রাজশাহীর দুই পৌরসভায় আ.লীগ, অপরটিতে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী বিজয়ী

রাজশাহীর দুই পৌরসভায় আ.লীগ, অপরটিতে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী বিজয়ী

জানুয়ারি ১৬, ২০২১
২য় সামসুল ইসলাম মোল্লা স্মৃতি  ফুটবল টুর্ণামেন্টের পুরস্কার বিতরণ

২য় সামসুল ইসলাম মোল্লা স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্টের পুরস্কার বিতরণ

জানুয়ারি ১৬, ২০২১
বাঘার চাঞ্চল্যকর জহুরুল হত্যার রহস্য উদঘাটন : আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

বাঘার চাঞ্চল্যকর জহুরুল হত্যার রহস্য উদঘাটন : আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

জানুয়ারি ১৬, ২০২১
আড়ানী পৌরসভায় আবারও মেয়র নির্বাচিত মুক্তার আলী

আড়ানী পৌরসভায় আবারও মেয়র নির্বাচিত মুক্তার আলী

জানুয়ারি ১৬, ২০২১

আরও দেখুন

রাজশাহীর দুই পৌরসভায় আ.লীগ, অপরটিতে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী বিজয়ী

রাজশাহীর দুই পৌরসভায় আ.লীগ, অপরটিতে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী বিজয়ী

জানুয়ারি ১৬, ২০২১
২য় সামসুল ইসলাম মোল্লা স্মৃতি  ফুটবল টুর্ণামেন্টের পুরস্কার বিতরণ

২য় সামসুল ইসলাম মোল্লা স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্টের পুরস্কার বিতরণ

জানুয়ারি ১৬, ২০২১
বাঘার চাঞ্চল্যকর জহুরুল হত্যার রহস্য উদঘাটন : আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

বাঘার চাঞ্চল্যকর জহুরুল হত্যার রহস্য উদঘাটন : আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

জানুয়ারি ১৬, ২০২১
আড়ানী পৌরসভায় আবারও মেয়র নির্বাচিত মুক্তার আলী

আড়ানী পৌরসভায় আবারও মেয়র নির্বাচিত মুক্তার আলী

জানুয়ারি ১৬, ২০২১
পরবর্তী পোস্ট
বঙ্গবন্ধুর সব ম্যুরালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাইকোর্টের নির্দেশ

বঙ্গবন্ধুর সব ম্যুরালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : ইয়াকুব শিকদার
প্রধান কার্যালয় : বহরমপুর (সিটি বাইপাস), জিপিও-৬০০০, রাজপাড়া, রাজশাহী।

মেইল: newssomoyerkotha@gmail.com , editorsomoyerkotha@gmail.com মোবাইল : ০১৮১৭-১২২২৪৩

© 2020 সময়ের কথা ২৪ - Developed by B&M-IT.

Contact Us        Privacy And Policy          Terms of use          About us

ফলাফল পাওয়া যায় নি
সকল ফলাফল দেখুন
  • হোম
  • বাংলাদেশ
    • শিক্ষা
    • অর্থনীতি
    • নির্বাচন
    • তথ্য প্রযুক্তি
    • অপরাধ
  • জাতীয়
  • দেশজুড়ে
    • জেলার খবর
  • রাজনীতি
  • রাজশাহী বিভাগ
    • রাজশাহী জেলা
    • চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা
    • জয়পুরহাট জেলা
    • নওগাঁ জেলা
    • নাটোর জেলা
    • পাবনা জেলা
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধুলা
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
  • অন্যান্য
    • ধর্ম
    • বিনোদন
    • লাইফ স্টাইল
    • সম্পাদকীয়
    • কৃষি কথা

© 2020 সময়ের কথা ২৪ - Developed by B&M-IT.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Create New Account!

Fill the forms bellow to register

All fields are required. Log In

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In