অনলাইন ডেস্ক : অলিখিত সেমিফাইনালে বাংলাদেশ হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান। ১১ রানের এই জয়ে এশিয়া কাপের ইতিহাসে প্রথমবার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত-পাকিস্তান ফাইনালে মুখোমুখি হবে। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে দুই দলের ১৭ ব্যাটার আউট হয়েছেন। যেখানে দুটি বাদে বাকি সব উইকেটই পড়েছে তালুবন্দী হয়ে।
এক ম্যাচে ১৫ ব্যাটারের ক্যাচ আউট হওয়া কি কোনো রেকর্ড? রেকর্ডের তালিকায় থাকলেও, এটি কোনো শীর্ষস্থানে থাকা কোনো ঘটনা নয়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এমন দৃশ্য প্রচলিত তো বটেই, এক ম্যাচে ১৭ ব্যাটারও ক্যাচ আউটের নজির রয়েছে। গতকাল আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলিং তোপে মাত্র ১৩৫ রান করেছে পাকিস্তান। যেখানে সালমান আগার দলের ৮ ব্যাটারই ক্যাচ আউট হন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
সেই লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে বাংলাদেশও ব্যাটিং বিপর্যয়ের নিদারুণ দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছে। ফলে ২০ ওভারে তাদের স্কোরবোর্ডে ওঠে ৯ উইকেটে ১২৪ রান। ১১ রানে হারের ম্যাচটিতে বাংলাদেশের ৯ ব্যাটারের ৭ জনই ক্যাচ আউট হয়েছেন। বাকি দুজন বোল্ড হন হারিস রউফের বলে। সবমিলিয়ে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে ১৭ জনের মধ্যে ক্যাচ আউট হন ১৫ ব্যাটার। যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২১তম ঘটনা।
তবে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে এতজন ব্যাটারের ক্যাচ আউটের ঘটনা যৌথভাবে সর্বোচ্চ। টুর্নামেন্টটিতে এর আগে সমান ১৫ ব্যাটারের ক্যাচ আউটের দৃশ্য দেখা গিয়েছিল ২০২১ সালে, বাংলাদেশ-ওমানের ম্যাচে। টি-টোয়েন্টিতে কেবল পাকিস্তান খেলেছে এমন চারটি ম্যাচেই ১৫ ব্যাটারের ক্যাচ আউটের নজির আছে।
এর বাইরে চারটি ম্যাচে ১৬ এবং এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৭ ব্যাটার ক্যাচ আউট হন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে। ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম আয়ারল্যান্ডের একটি টি-টোয়েন্টিতে ১৯ ব্যাটার আউট হন, যার ১৭ জনই ফিল্ডারদের হাতে ক্যাচ দেন। এ ছাড়া ১২ ইনিংসে সব ব্যাটারেরই (১০) ক্যাচ আউটের নজির আছে। ফলে গতকাল পাকিস্তানের ইনিংসে ৮ জনের ক্যাচ আউটের ঘটনা তালিকায় অনেক পেছনে।