অনলাইন ডেস্ক : প্রথমবারের মতো নিলামের মাধ্যমে ক্রিকেটার কিনেছে ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টির (আইএল২০) ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই টুর্নামেন্টে দল পেয়েছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ও তাসকিন আহমেদ। পাকিস্তানের বেশ কিছু ক্রিকেটারকেও কিনেছে দলগুলো। তবে দিন দুয়েক আগে পিসিবির এনওসি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত তাদের খেলার ক্ষেত্রে তুলে দিয়েছে বড় প্রশ্ন।
পাকিস্তানিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন তুলেছেন বাঁ-হাতি ব্যাটার ফখর জামান। ৮০ হাজার মার্কিন ডলারে তাকে দলে নিয়েছে ডেজার্ট ভাইপার্স। এর মাধ্যমে তিনি আইএল২০-এর নিলামে প্রথম বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে দল পাওয়ার রেকর্ড গড়েছেন। তবে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ভাইপার্সে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি।
একই দলে জায়গা পেয়েছেন পাকিস্তানের পেসার নাসিম শাহ। তাকেও ৮০ হাজার ডলারে দলে নেয় ভাইপার্স। প্রথমবারের মতো এই গতিতারকাকে আইএল২০-তে দেখা যাবে। এই তালিকায় আরেক চমক পাকিস্তানের তরুণ ক্রিকেটার হাসান নওয়াজ, যিনি ভিত্তিমূল্য ৪০ হাজার ডলারে ডেজার্ট ভাইপার্সে সুযোগ পেয়েছেন।
আইপিএল মালিকানাধীন দলগুলো সাধারণত পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের কেনে না। তবে এবার সেই ধারা ভেঙেছে এমআই এমিরেটস। তারা মাত্র ১০ হাজার ডলারে উসমান খানকে দলে নিয়েছে। পাকিস্তানের আরেক চমক আনক্যাপড স্পিনার উসমান তারিক। সদ্য সমাপ্ত ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে নজর কাড়ার পর তাকে ওয়াইল্ডকার্ড হিসেবে দলে টেনেছে আবুধাবি নাইট রাইডার্স।
এই পাঁচজন দল পেলেও পাকিস্তানের বেশ কিছু অভিজ্ঞ তারকা ক্রিকেটার দল পাননি। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- মোহাম্মদ আমির, ইমাদ ওয়াসিম, ফাহিম আশরাফ, সাইম আয়ুব ও মোহাম্মদ হারিস। প্রত্যেকেই ৮০ হাজার ডলারের ক্যাটাগরিতে থাকলেও কেউই দল পাননি। তবে যারা দল পেয়েছেন, তাদের খেলা নিয়েও আছে শঙ্কা।
এশিয়া কাপে খারাপ করায় পাকিস্তানের ক্রিকেটাদের দেশের বাইরের লিগে খেলতে এনওসি দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিসিবি। ফলে যারা দল পেয়েছেন, তারা শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টটিতে না খেলার সম্ভাবনা বেশি। প্রসঙ্গত, আইএল২০-এর চতুর্থ আসর শুরু হবে আগামী ২ ডিসেম্বর, শেষ হবে ৪ জানুয়ারি। ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে আবুধাবি, দুবাই ও শারজাহতে।