অনলাইন ডেস্ক : ভারতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বিদেশি নাগরিকদের জন্য কড়া সতর্কবার্তা জারি করেছে। মূলত যারা আমেরিকান ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন তাদের জন্য এই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
দূতাবাস জানিয়েছে, হামলা, ঘরোয়া সহিংসতা বা অন্যান্য গুরুতর অপরাধে জড়ালে ভিসা তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল হতে পারে এবং ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ চিরতরে হারিয়ে যেতে পারে।
বুধবার (২৩ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক সরকারি বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “ভিসা হচ্ছে একটি সুযোগ, অধিকার নয়। আইন ভাঙলে এই সুযোগ বাতিল হয়ে যেতে পারে।”
তারা আরও জানিয়েছে, দেশে বা বিদেশে যেকোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে কঠোর ইমিগ্রেশন শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
এনডিটিভি বলছে, এই সতর্কবার্তা এসেছে এমন এক সময় যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রশাসনের ‘অপরাধের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা’ নীতি আরও জোরালো করছেন। তার লক্ষ্য হলো, যেসব বিদেশি নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে থেকে অপরাধে জড়াচ্ছেন, তাদের দ্রুত বিতাড়ন করা।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের ইউএনএইচসিএইচআর’র সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ২০ জানুয়ারি থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১ লাখ ৪২ হাজারের বেশি মানুষকে দেশছাড়া করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ও অঙ্গরাজ্য আইন অনুযায়ী, চুরি, দোকানদারি থেকে মাল সরানো, প্রতারণা, ডাকাতি বা বাড়িতে চুরির মতো অপরাধকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এসব অপরাধে সাজা নির্ধারণ হয় চুরি করা জিনিসের মূল্য ও অপরাধের ধরন অনুযায়ী।
বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যে দোকানমালিকদের শপলিফটারদের আটক করার অধিকার রয়েছে। একইসঙ্গে, দোকান বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চাইলে বিচারিকভাবে ক্ষতিপূরণের দাবিও করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ বলেছে, এমনকি যেসব অপরাধকে অনেকেই ‘তেমন কিছু না’ বলে মনে করেন, সেগুলোরও ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে ইমিগ্র্যান্টদের জন্য। এর মধ্যে ভিসা বাতিল, বহিষ্কারের নির্দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে প্রবেশ নিষেধের মতো বিষয়ও রয়েছে।