নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ মঙ্গলবার। দুপুর ২:১৯। ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫।

আজ ডাকসু নির্বাচন, প্রস্তুত ভোটকেন্দ্র

সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫ ৭:২১
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : ছয় বছর পর আবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মিনি পার্লামেন্ট খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন আয়োজনে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রোববার ছিল প্রচারণার শেষ দিন। সারাদিন ক্যাম্পাসজুড়ে ছিল প্রার্থীদের সরব উপস্থিতি, লিফলেট বিতরণ ও প্রচার-প্রচারণা। টিএসসি, মধুর ক্যান্টিন, অনুষদ ভবন ও আবাসিক হলগুলোতে কর্মীদের সরগরম পদচারণায় মুখর ছিল বিশ্ববিদ্যালয়।

এবারের নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ৬২ জন। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নারী প্রার্থীদের মধ্যে ভিপি পদে ৫ জন, জিএস পদে একজন ও এজিএস পদে ৪ জন প্রার্থী রয়েছেন।

এবার ভোট দেবেন মোট ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। বিকেল ৪টার মধ্যে কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়ানো শিক্ষার্থীরাও ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।

ছাত্রদলকে সমর্থন জানিয়ে সরে গেলেন ভিপি প্রার্থী

এদিকে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (ছাত্রদল) প্যানেলকে সমর্থন জানিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন হল সংসদ নির্বাচনের এক প্রার্থী। রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলের ভিপি প্রার্থী মাসুম বিল্লাল তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে মাসুম বলেন, ‘আমি মাসুম বিল্লাল। আমি আমার অবস্থান থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। আমি স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়িয়েছি। আমি জানি কর্মীর চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ।’

পৃথক ৩টি জরিপেই এগিয়ে শিবির

নির্বাচনের আগে প্রকাশিত তিনটি পৃথক জরিপে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটকে এগিয়ে দেখানো হয়েছে। তবে এসব জরিপের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, অন্তত দুটি জরিপ প্রতিষ্ঠান শিবির নিয়ন্ত্রণ করে। যদিও ছাত্রশিবির এ অভিযোগ নাকচ করেছে।

রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদের করা এক জরিপে দেখা যায়, প্যানেলভিত্তিক প্রতিযোগিতায় শিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট এগিয়ে থাকলেও সবচেয়ে বেশি সমর্থন পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ‘শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিভঙ্গি, অংশগ্রহণ ও প্রত্যাশা’ শিরোনামে ঢাবি সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলন করে এ জরিপের ফল প্রকাশ করে সংগঠনটি।

জরিপটি ২৯ আগস্ট থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিচালিত হয়। অনলাইন-অফলাইন মিলে মোট ৯০০ শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন। এতে ভোট দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ৮৪.৭৮%। সিদ্ধান্তহীনতায় আছেন ১৩.১১% এবং অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন ২.২২ শতাংশ। জরিপে সর্বোচ্চ ৩৮.৮৫% মতামত পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

আরও পড়ুনঃ  ৪২ বছর বয়সে ক্রিকেটকে বিদায় বললেন ভারতীয় ক্রিকেটার

জরিপে প্যানেল হিসেবে ২০.৯২ শতাংশ সমর্থনে এগিয়ে আছে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। জরিপে ছাত্রদল ১৬.৪২%, উমামা ফাতেমার নেতৃত্বাধীন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য ৫.৮৯%, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সমর্থিত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ ৪.৭৬%। এছাড়াও ছাত্র অধিকার পরিষদের ডাকসু ফর চেঞ্জ, ভোট ফর চেঞ্জ প্যানেল ২.২০%, সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ ১.৬০%, বামপন্থীদের জোট ‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ ০.৬০% এবং অন্যান্য প্যানেলসমূহ অবশিষ্ট ৯.৩৬ শতাংশ শিক্ষার্থীর সমর্থন লাভ করে।

এর আগে শনিবার ন্যারেটিভ এক জরিপ প্রকাশ করে। এতে ১৪টি হলের মোট ৫২০ জন শিক্ষার্থীর স্যাম্পল নেওয়া হয়।

এতে দেখা যায়, ভোট দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মোট ৯৪.৮ শতাংশ শিক্ষার্থী, যেখানে মাত্র ৫.১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোট দিতে অনাগ্রহী।

ভিপি পদে ২৪.৭ শতাংশ শিক্ষার্থী এখনো সিদ্ধান্ত নেননি কাকে ভোট দেবেন।

জরিপে এগিয়ে আছেন ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম। তিনি পেয়েছেন ৪১.৯ শতাংশ সমর্থন। শামীম হোসেন পেয়েছেন ১৬.৫ শতাংশ, ছাত্রদল মনোনীত আবিদুল ইসলাম ১৩.৯ শতাংশ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা পেয়েছেন ৮.৮ শতাংশ ভোটারের সমর্থন।

জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) পদে ৩৩.৯ শতাংশ শিক্ষার্থী সিদ্ধান্তহীন। শিবির সমর্থিত এস এম ফরহাদ ৩২.১ শতাংশ। ছাত্রদল সমর্থিত তানভীর বারি হামিম ও সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদের আরাফাত চৌধুরী উভয়েই পেয়েছেন ১৬.১ শতাংশ করে সমর্থন। এছাড়া আবু বাকের মজুমদার পেয়েছেন ১৩.৭ শতাংশ এবং মেঘমল্লার বসু ৯.১২ শতাংশ।

সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে এখনো ৪০.৮ শতাংশ শিক্ষার্থী সিদ্ধান্ত নেননি। মহিউদ্দিন খান পেয়েছেন ৫২.৯ শতাংশ সমর্থন। তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ১৫.৯ শতাংশ, আশরাফা খাতুন ৯.৪৯ শতাংশ এবং জাবির আহমেদ জুবেল ৪.০৭ শতাংশ।

এর আগে শুক্রবার ডাকসু নির্বাচন ২০২৫ নিয়ে জনমত যাচাই করতে সোচ্চার টর্চার ওয়াচডগ বাংলাদেশ জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে সর্বমোট অংশগ্রহণকারী ছিল ৯৯১ জন, যেখানে ৩৩% ছিল নারী শিক্ষার্থী।

প্রকাশিত জরিপে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের ৩২ শতাংশ শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েমকে ভোট দেবেন। ৭ শতাংশ ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান, ২২ শতাংশ মনে করেন বিজয়ী হবেন স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থী এবং ৩৪ শতাংশ শিক্ষার্থী এখনো কাকে ভোট দিবেন তা নিশ্চিত করেননি।

গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে কোনো ধরনের গুজবে কান না দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। রোববার বিকেলে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয়ের সামনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক জসীম উদ্দিন এ আহ্বান জানান।

আরও পড়ুনঃ  চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে পদদলিত হয়ে দুজনের মৃত্যু, আহত ৬

তিনি বলেন, ‘গুজব একটি সামাজিক ব্যাধি। কোনো ঘটনা ঘটেনি, কিন্তু চারদিকে গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের নির্বাচনকে ঘিরে কোনো ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। কোনো গুজব ছড়ালে সেটিকে গুরুত্ব না দিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে যোগাযোগ করার অনুরোধ করছি। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ, ওয়েবসাইটে খোঁজ রাখবেন।’

৮ কেন্দ্রের ৮১০ বুথে হবে ভোট গ্রহণ

ভোটকেন্দ্রে বুথ সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে অধ্যাপক জসীম উদ্দিন বলেন, বুথ সংখ্যা নিয়ে নির্বাচনের বিভিন্ন অংশীজনের মধ্যে শঙ্কা ছিল। আগে ৮ কেন্দ্রে ৭১০ বুথ ছিল। পরে সেটি বাড়িয়ে ৮১০ করা হয়েছে, যাতে আবাসিক-অনাবাসিক ভোটারদের কোনোভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে বিরক্ত হতে না হয়।

প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, নকল পরিচয়পত্র তৈরি করে ভোটের লাইনে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে আমাদের কাছে সংবাদ আসছে। তাদেরকে প্রতিহত করতে পরিচয় নিশ্চিত করে ভোটকেন্দ্রে ঢোকানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদি কেউ ধরা পড়ে, তাকে সরাসরি পুলিশে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

‘ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোট’

ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে উল্লেখ করে রিটার্নিং কর্মকর্তা সহযোগী অধ্যাপক শারমীন কবীর বলেন, ‘যেসব শিক্ষার্থীর দৃষ্টিপ্রতিবন্ধকতা রয়েছে এবং যাঁরা ব্রেইল পড়তে পারেন, তাঁদের জন্য প্রথমবারের মতো আমরা ব্রেইল পদ্ধতিতে ব্যালট পেপার ছাপিয়েছি।’

এলইডি স্ক্রিনে দেখা যাবে ভোট গণনা-ফলাফল

ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গণণা করা হবে অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন (ওএমআর) মেশিনে। প্রত্যেক কেন্দ্রের বাইরে এলইডি স্ক্রিনে ফলাফল গণনা প্রদর্শিত হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রের ফলাফল সেখানেই ঘোষণা করা হবে, পাশাপাশি স্ক্রিণেও দেখা যাবে। সবশেষে সিনেট ভবন মিলনায়তনে সব কেন্দ্রের মোট ফলাফল ঘোষিত হবে। তবে এর আগেই সকল কেন্দ্রের ফলাফল যোগ করে যে কেউ মোট ফলাফল বের করতে পারবেন।

নির্বাচনে প্রতি ভোটারের জন্য একটি করে ৬ পৃষ্ঠার ওএমআর ফর্ম ব্যবহার হবে। এর মধ্যে ৫ পৃষ্ঠা কেন্দ্রীয় সংসদ এবং ১ পৃষ্ঠা হল সংসদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। এতে প্রার্থীদের নাম, ব্যালট নম্বর, পদবির নাম এবং ভোট দেওয়ার জন্য নির্ধারিত ঘর থাকবে। ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গণনা হবে ১৪টি অত্যাধুনিক স্ক্যানিং মেশিনে।

ঢাবি প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ডাকসু নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে হয় সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে এক ফেসবুক পোস্টে জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহীতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আলোচনা ও পরিচিতি সভা

বন্ধ রয়েছে ঢাবি মেট্রো স্টেশন

ডাকসুকে ঘিরে আজ সোমবার বিকেল থেকে বন্ধ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) মেট্রো স্টেশন। সোমবার বিকেল ৪টা থেকে ও ৯ সেপ্টেম্বর পুরো দিন স্টেশন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ডিএমটিসিএলের এক বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন সংলগ্ন যাতায়াতের জন্য বিকল্প পন্থা অবলম্বন করার আহ্বান জানানো হয়।

বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রবেশপথ

ডাকসু নির্বাচন ঘিরে সোমবার রাত ৮টা থেকে টানা ৩৪ ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রবেশপথ সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে, যা আগামী বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ থেকে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ (শাহবাগ, পলাশী, দোয়েল চত্বর, শিববাড়ি ক্রসিং, ফুলার রোড, উদয়ন স্কুল ও নীলক্ষেত) সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে।

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ আইডি কার্ডধারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রবেশ করতে পারবেন। এছাড়া শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরা নিজ নিজ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিচয়পত্রের ফটোকপি দেখিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত ও জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন (অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক, রোগী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সাংবাদিক ও ফায়ার সার্ভিসের যানবাহন) ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না।

হার-জিত যাই হোক, কোনো সংঘাত চান না ভিসি

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণের কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।

তিনি বলেছেন, ডাকসুকে ঘিরে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রক্টরিয়াল টিম, বিএনসিসি, ভলান্টিয়ার টিমসহ সবাই মাঠে রয়েছে। তথ্যের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সাংবাদিকরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। এটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আয়োজন। একইসঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। এবার দায়িত্বে আছেন সর্বজনস্বীকৃত গ্রহণযোগ্য শিক্ষকেরা। এছাড়া প্রার্থীদের নিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে বিতর্কের আয়োজন করা হয়েছে এবং ভোটকেন্দ্রের ফলাফল গণনার সময় সরাসরি ডিসপ্লেতে দেখানো হবে।

প্রার্থীদের উদ্দেশে ভিসি বলেছেন, ডাকসু একটি অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার পর থেকে মাত্র আটবার এই নির্বাচন হয়েছে। অনেক প্রশাসন এমন আয়োজন করতে আগ্রহী থাকে না। কিন্তু আপনারা এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জিতুন বা হারুন, সেটিই হবে আপনাদের বড় অবদান। তাই একে অপরের প্রতি সহনশীল হোন। হার-জিত যাই হোক, আমাদের মধ্যে এমন কিছু নেই যাতে বড় কোনো সংঘাত তৈরি হয়। যদি তবুও কেউ আইন ভঙ্গ করে, তবে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।