নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা বুধবার। রাত ২:২৩। ১৬ জুলাই, ২০২৫।

ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা

জুলাই ১৫, ২০২৫ ৮:২১
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন কোম্পানির একটি তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা হয়েছে। মঙ্গলবারের এই হামলায় তেলক্ষেত্রের কার্যক্রম স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে মার্কিন ওই কোম্পানি।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত ওই অঞ্চলে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে প্রায়ই হামলার ঘটনা ঘটেছে। কুর্দিস্তানের আঞ্চলিক সরকার বলেছে, দুহক প্রদেশের সারসাং তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা হয়েছে। কুর্দিস্তান অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে চালানো এই হামলাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে অভিহিত করেছে সরকার।

এর আগে, সোমবার প্রতিবেশী আরবিল প্রদেশের একটি বিমানবন্দরে একই ধরনের ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। ওই বিমানবন্দরে মার্কিন সৈন্যরা অবস্থান করছেন। তেল ক্ষেত্র পরিচালনাকারী মার্কিন কোম্পানি এইচকেএন এনার্জি বলেছে, সারসাং তেল ক্ষেত্রের একটি উৎপাদন স্থাপনায় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুনঃ  মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে ‘জুলাই অভ্যুত্থানে’র ইতিহাস

এক বিবৃতিতে মার্কিন এই কোম্পানি বলেছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ওই তেল ক্ষেত্রের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। ড্রোন হামলার পরপরই সেখানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এইচকেএন এনার্জি বলেছে, তেল ক্ষেত্রের জরুরি পরিষেবা দলের সদস্যরা আগুন নিভিয়ে ফেলেছেন। গত কয়েক সপ্তাহে কুর্দিস্তানে ড্রোন ও রকেট হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। সংঘাতে বিধ্বস্ত ইরাকে প্রায়ই এই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটে। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র ইসরায়েল-বিরোধী ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো এসব হামলার সঙ্গে জড়িত।

আরও পড়ুনঃ  দুই শিশুকে নিয়ে গুহায় বসবাস রাশিয়ান নারীর, উদ্ধার করল পুলিশ

সারসাং তেল ক্ষেত্রের বিস্ফোরণের এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটেছে; যার এক দিন আগেই কুর্দিস্তানে বিস্ফোরক বহনকারী অন্তত তিনটি ড্রোন হামলা হয়। এর মধ্যে কুর্দিস্তানের পার্শ্ববর্তী আরবিল প্রদেশের আরবিল বিমানবন্দরের কাছে একটি ড্রোন ভূপাতিত হয়।

আরবিল বিমানবন্দরে মার্কিন সৈন্যদের আবাস রয়েছে। বাকি দুটি ড্রোন খুরমালা তেলক্ষেত্রে আঘাত হানে। হামলায় সেখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী এসব হামলার দায় স্বীকার করেনি।

আরও পড়ুনঃ  পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

বর্তমানে ইরাকে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সৈন্য রয়েছেন। মার্কিন এই সৈন্যরা মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জোটের অংশ হিসেবে ইরাকে কাজ করছেন।
সূত্র: এএফপি।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।