ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলে সাঁড়াশী অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে দিনব্যাপী অভিযানে সেনা বাহিনী, র্যাব ও পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। অভিযানে অস্ত্র, গুলি, মাদকদ্রব্য, কঙ্কাল, নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন এবং এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
সূত্র জানায়, পদ্মা নদীর চরাঞ্চল ও বালু মহল দখল নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চল এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েক করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার হাসানুজ্জামান ওরফে কাঁকন বাহিনী। গত এক মাসের ব্যবধানে পদ্মা নদীর সাঁড়া ঘাট এলাকায় অসংখ্যবার প্রকাশ্যে গোলাগুলি ও মারপিটের ঘটনা ঘটায় তারা। ফিল্মি স্টাইলের সেই সমস্ত গুলি বর্ষণের ভিডিও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই মূলত টনক নড়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার খুউব সকাল থেকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা পদ্মা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করে। সেই অভিযানে সন্ত্রাসী কাকন বাহিনীর ৩টি বিদেশি পিস্তল, ৫০ রাউন্ড গুলি, বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য, একটি মানব কঙ্কাল, চারটি মোবাইল ফোন, প্রায় ১১ লাখ নগদ টাকা এবং সন্দেহভাজন এক নারীসহ তিনজনকে আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন ইঞ্জি. কাকন বাহিনীর সদস্য সন্ত্রাসী সোহাগ হোসেন (৪৫) ও বাপ্পি (৩৮)। আটক নারী তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। গ্রেপ্তারকৃতরা স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার সংঘবদ্ধ অপরাধচক্রের সদস্য বলে জানায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লক্ষীকুন্ডা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
অভিযানের কথা স্বীকার করে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, নদী ও চরাঞ্চল সন্ত্রাসমুক্ত করতেই এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।